জাল পাসপোর্ট চক্রে হুগলি থেকে গ্রেফতার ২!

বাংলাদেশ ইস্যুতে রাজ্যে জঙ্গি – অনুপ্রবেশকারীদের সংখ্যা বাড়ছে। এর মধ্যেই জাল পাসপোর্ট তৈরির চক্রের তদন্তে একাধিক গ্রেফতারি হয়েছে। এতদিন পর্যন্ত উত্তর ২৪ পরগনা জুড়ে এই কাজ চলত বলে জানা গেছিল। এবার জাল ছড়াল হুগলিতেও (hooghly)। সিঙ্গুর থেকে দুজনকে গ্রেফতার করল বর্ধমান থানার পুলিশ। ধৃতরা হলেন গণেশ চক্রবর্তী ও অনির্বাণ সামন্ত (Ganesh Chakraborty & Anirban Samanta)। তাঁদের বর্ধমান আদালতে পেশ করে হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ।

রাজ্যের বুকে জাল পাসপোর্ট চক্রের শিকড় কতটা গভীর তা জানতে মরিয়া পুলিশ। জানা যায়, বর্ধমান শহরের বাসিন্দা রিঙ্কা দাস পাসপোর্টের জন্য আবেদন করেছিলেন। সেই পাসপোর্টের নথি পরীক্ষার সময় পুলিশ‌ জানতে পারে রিঙ্কার জন্মের সংশাপত্র জাল। রিঙ্কাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে বর্ধমান শহরেরই স্বরূপ রায় নামে একজনের নাম সামনে আসে। এই স্বরূপকে চেপে ধরতেই বেরিয়ে আসে গণেশ চক্রবর্তী ও অনির্বাণ সামন্তর নাম।বর্ধমানের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) অর্ক বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, তাঁদের হেফাজতে নিয়ে এই চক্রে আর কেউ জড়িত কিনা জানার চেষ্টা চলছে। পাসপোর্ট কাণ্ডে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার হয়েছেন এই চক্রের অন্যতম মূল মাথা মনোজ গুপ্ত। দশ বছরের বেশি সময় ধরে ট‍্যুর ট্রাভেলের ব‍্যবসা সামনে রেখে আড়ালে পাসপোর্ট জালিয়াতি চালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ তাঁর বিরুদ্ধে। মনোজকে জেরা করে একাধিক নাম উঠে এসেছে বলে পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে। গ্রেফতার হয়েছেন কলকাতা পুলিশের সিকিওরিটি কন্ট্রোল বিভাগের সদ্য অবসরপ্রাপ্ত সাব ইন্সপেক্টর আবদুল হাই। তাঁকে জেরা করে চাঞ্চল্যকর তথ্য পেয়েছেন তদন্তকারীরা। জেরায় উঠে এসেছে, হোমগার্ডদের কাজে লাগিয়ে টাকার বিনিময়ে ভুয়ো নথিকে আসল বলে সই করে দিতেন এই আধিকারিক। মোট ৫১টি এরকম পাসপোর্টর ভেরিফিকেশনে ছাড়পত্র দিয়েছিলেন আবদুল, যার বিনিময়ে এক এক জনের কাছ থেকে মোটা টাকা নিয়েছেন। পাসপোর্ট জালিয়াতির সঙ্গে আর কোনও পুলিশকর্মী যুক্ত আছেন কি না তাও খুঁজে দেখছেন গোয়েন্দারা।