রোহিত-বিরাটের অবসর নিয়ে এবার মুখ খুললেন গম্ভীর, কী বললেন টিম ইন্ডিয়ার হেড কোচ ?

এই নিয়ে ম্যাচ শেষে সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, “ কারও ভবিষ্যৎ নিয়ে আমি কিছু বলতে পারব না।

১০ বছর পর বর্ডার-গাভাস্কর ট্রফি হাতছাড়া ভারতের। বর্ডার-গাভাস্কর ট্রফির মূল কারণই হল ব্যাটিং ব্যর্থতা। মূলত টপ অর্ডারের ব্যাটিং একেবারেই ব্যর্থ। রান পাননি বিরাট কোহলি , রোহিত শর্মারা। আর এরপরই দুই ক্রিকেটারের টেস্ট ক্রিকেটের ভবিষ্যৎ নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। বিরাট-রোহিত টেস্ট খেলা চালিয়ে যাবেন কি না, তা নিয়ে জল্পনা চলছে। আর এই নিয়েই এবার মুখ খুললেন টিম ইন্ডিয়ার হেড কোচ গৌতম গম্ভীর। গম্ভীর এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার ভার দুই ক্রিকেটারের উপরেই ছেড়ে দিয়েছেন। তাঁর মতে, কারও ব্যক্তিগত সিদ্ধান্তে তিনি হস্তক্ষেপ করতে পারেন না।

এই নিয়ে ম্যাচ শেষে সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, “ কারও ভবিষ্যৎ নিয়ে আমি কিছু বলতে পারব না। সেটা ওদের উপরেই নির্ভর করছে। তবে একটা কথা বলতে পারি, খেলার প্রতি ওদের আবেগ, খিদে একই রকম রয়েছে। আশা করি আগামী দিনে ওরা ভারতীয় ক্রিকেটকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবে। আমরা সবাই জানি, ওরা যা-ই ঠিক করে থাকুক সেটা ভারতীয় ক্রিকেটের ভালর কথা ভেবেই করবে।“

শুধু তাই নয় সিডনি টেস্টে রোহিতের বাদ পড়া নিয়েও মুখ খুলেছেন গম্ভীর। তিনি বলেন, “এটা নিয়ে এত কথা বলা হয়েছে। অন্তত আরও একটু দায়িত্বশীল হওয়া উচিত ছিল আমাদের। যদি একজন অধিনায়ক বা ধরুন একজন নেতা নিজের আগে দলকে রেখে কোনও সিদ্ধান্ত নেয়, তা হলে আমার মনে হয় না কিছু খারাপ কাজ করেছে। অনেক কিছু বলা এবং লেখা হয়েছে। তবে এটা কোনও দলের নয়, একজনের ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। সেটাও দলের স্বার্থকে মাথায় রেখেই নেওয়া হয়েছে।”

বর্ডার-গাভাস্কর ট্রফিতে শুধু প্রথম টেস্টে জয়। তারপর শুধুই হার হার। এই সিরিজ নিয়ে ভারতীয় দলের হেড কোচ বলেন, “ খুব কঠিন সময় গিয়েছে তাতে সন্দেহ নেই। শেষ আটটা টেস্টে এই ফল হবে এটা আমরা আশা করিনি। তবে খেলাটাই এ রকম। লড়াই চালিয়ে যেতে হবে। শুধু ক্রিকেটার নয়, সাপোর্ট স্টাফদেরও দায়িত্ব নিতে হবে। যেটা ঠিক মনে হবে সেটাই করতে হবে। ফলাফল আমাদের পক্ষে যায়নি এটা মেনে নিতেই হবে।“

এদিকে ম্যাচ হারের পর দলের ক্রিকেটারদের ঘরোয়া ক্রিকেট খেলার পরামর্শ টিম ইন্ডিয়া হেড কোচ। তিনি বলেন, “ আমি সব সময় চাই সবাই ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলুক। ঘরোয়া ক্রিকেটকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া উচিত। স্রেফ একটা ম্যাচ নয়। যারা আরও বেশি খেলতে পারবে এবং যাদের লাল বলের ক্রিকেটের প্রতি দায়বদ্ধতা রয়েছে তাদের সকলের খেলা উচিত। যদি আপনি ঘরোয়া ক্রিকেটকে গুরুত্ব না দেন, তা হলে টেস্ট ক্রিকেটে খেলার মতো ক্রিকেটার খুঁজে পাবেন না।“

আরও পড়ুন- এখনই অবসর নয় কোহলির, খেলবেন ২০২৭ পর্যন্ত : সূত্র