Saturday, August 23, 2025

মমতাকে বহিষ্কারের ‘প্রায়শ্চিত্ত’-স্বীকারোক্তি প্রদীপের, ‘ভুল’ নিয়ে তোপ তৃণমূলের

Date:

লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যে কংগ্রেসের ভরাডুবি। বিজেপি বিরোধী শক্তি হিসাবে দেশে মাথা তুলে দাঁড়াতে গিয়েও আঞ্চলিক দলের কাছে রীতিমত হাত পাততে হচ্ছে বর্তমান কংগ্রেসকে (Congress)। সেখানে গোটা দেশকে পথ দেখাচ্ছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সভানেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় (Mamata Banerjee)। সেই পথই যে কংগ্রেসকে দেখানোর এই মুহূর্তে কেউ নেই, কার্যত তা-ই মেনে নিলেন প্রবীণ কংগ্রেস নেতা প্রদীপ ভট্টাচার্য (Pradip Bhattacharya)। তাঁর দাবি, কংগ্রেস আজও দল থেকে তৃণমূল নেত্রীকে বহিষ্কারের প্রায়শ্চিত্ত করছে।

জোট তৈরি করেও কংগ্রেসের নেতৃত্বের কারণে একাধিক রাজ্যে ব্যর্থ হয়েছে বিজেপি বিরোধী শক্তি। কংগ্রেসের কোনও পন্থাই বিজেপিকে প্রতিহত করতে ফলপ্রসু হচ্ছে না। এই পরিস্থিতিতে প্রদীপ ভট্টাচার্যের আক্ষেপ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বহিষ্কার (expel) নিয়ে। সেই দিনটি স্মরণ করে এক দলীয় সভায় প্রদীপ বলেন, “যেদিন বাংলার বর্তমান মুখ্যমন্ত্রীকে বহিষ্কার করা হয় তখন সোমেন মিত্রর (Somen MItra) ফোন এলো। সীতারাম কেশরীর ফোন এল, ওকে বহিষ্কার করতে হবে। কারণ আমরা বলেছি। আমি সোমেনকে বলেছিলাম তুমি কোরো না। কিন্তু সোমেনের উপর এমন চাপ তৈরি হয়েছিল যে করতে বাধ্য হয়েছে। তার প্রায়শ্চিত্তটা কংগ্রেস দলকে আজও করতে হচ্ছে। আমি জানি না এই খাদ থেকে আমরা কখন কীভাবে উঠে আসব।”

আদতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee) স্বীকৃতি না দিয়ে কংগ্রেস সেদিন যে ভুল করেছিল তার জন্যই আজ বাংলায় সিপিএমের (CPIM) অপশাসনের অবসানে উন্নয়ন সম্ভব হয়েছে বলে দাবি রাজ্যের শাসকদলের। রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh) স্মরণ করিয়ে দেন, “মমতা সিপিএমের অপশাসনের বিরুদ্ধে লড়তে যাচ্ছিলেন। আর কংগ্রেস (Congress) সিপিএমের সঙ্গে হাত মিলিয়ে ঘর করে চলছিল। বাংলার মানুষের উপর অত্যাচার অবিচারের প্রতিবাদে সিপিএম বিরোধী আন্দোলন করছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কংগ্রেস থেকে বারবার তাঁকে বাধা দেওয়া হয়েছে। লাগাম টেনে ধরা হয়েছে।”

তবে ঠিক যেভাবে বর্তমানে গোটা দেশের রাজনীতিতে কংগ্রেসের প্রাসঙ্গিকতা প্রশ্নের মুখে, সেভাবেই বাংলাতেও অস্তিত্ব সংকটে কংগ্রেস। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পথকেই বাংলার মানুষ বেছে নিয়েছেন দাবি করে কুণাল কংগ্রেসকে মনে করিয়ে দেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়কে কংগ্রেস স্বীকৃতি দেয়নি মর্যাদা দেয়নি। কোণঠাসা করেছে, বহিষ্কার করেছে। তার কুফল কংগ্রেস ভুগছে। আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নতুন দল তৈরি করেছিলেন বলেই আজ সিপিএমের পতন হয়েছে। এবং বাংলার মানুষ উন্নয়ন দেখতে পাচ্ছেন। কংগ্রেস মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে মর্যাদা দিতে, লড়াইয়ের স্পিরিটটাকে স্বীকৃতি দিতে ভুল করেছিল। বাংলার মানুষ মমতার বহিষ্কারকে আদৌ সঠিকভাবে নেয়নি। তাই তাঁকে বাংলায় প্রতিষ্ঠা দিয়েছে।”

Related articles

বাংলা দখলে প্রধানমন্ত্রীর ‘হতাশার আর্তনাদ’! ভিডিও দেখিয়ে তোপ তৃণমূলের

বাংলার মানুষকে দিনের পর দিন বঞ্চিত রেখে বাঙালির কাছেই ভোট ভিক্ষা! বাঙালিকে একের পর এক রাজ্যে হেনস্থা করে...

সঠিক পরিকল্পনাই ডায়মন্ডহারবারের সাফল্যের চাবিকাঠি, মনে করছেন আকাশ বন্দ্যোপাধ্যায়

মাত্র তিন বছরের ক্লাব। কিন্তু কী অসাধারণ সাফল্য। কলকাতা লিগ, আইলিগ থ্রি থেকে আইলিগ টু জিতে এবার আইলিগের...

অসংগঠিত শ্রমিক-ক্ষেত্রে পথ দেখাচ্ছে বাংলা: সাহায্য পেলেন ৭২০ শ্রমিক

একের পর এক নতুন প্রকল্প, অসংগঠিত শ্রমিকদের দাবিদাওয়া নিয়ে লাগাতার আলোচনা, তাঁদের পরিবারের প্রতি নজর রাখার ব্যাপারে তৎপর...

প্রাপ্য চায় বাংলা, উপহার না: মোদিকে জবাব তৃণমূলের

বাংলার মানুষ উপহার চায় না, প্রাপ্য চায়। উপহার দিয়ে বাংলার মানুষকে অপমান করবেন না। বাংলায় বরাদ্দ নিয়ে শুক্রবার...
Exit mobile version