জেলে বসেই জঙ্গি তৈরির ট্রেনিং! এবার তারিকুলকে হেফাজতে নিয়ে জেরা বেঙ্গল STF-এর

আব্বাস আলি এর আগে পকসো (POCSO) মামলায় জেলবন্দী থাকার সময় তারিকুলের সঙ্গে তার যোগাযোগ হয়। এই সূত্র পাওয়ার পরে তারিকুলকে হেফাজতে নিয়ে জেরার পরিকল্পনা বেঙ্গল এসটিএফের (Bengal STF)

প্রতীকী ছবি

খাগড়াগড় কাণ্ডে গ্রেফতার হয়েছিল তারিকুল ইসলাম। ২০১৫ সাল থেকে বহরমপুর কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে বিচার বিভাগীয় হেফাজতে রয়েছে এই জঙ্গি। কিন্তু জেলে বসে কীভাবে নিজের কার্যসিদ্ধি করছিল তারিকুল তার হদিশ পেতেই এবার তাকে হেফাজতে নিয়ে জেরার কাজ শুরু করছে। সোমবার ৭ দিনের জন্য তারিকুলকে এসটিএফ (Bengal STF) হেফাজতের অনুমতি দেয় বহরমপুর আদালত। অন্যদিকে অসম এসটিএফ-ও (Assam STF) এবার তারিকুলকে জেরার জন্য প্রস্তুতি শুরু করেছে।

সম্প্রতি বাংলাদেশ পরিস্থিতিতে আনসারুল্লা বাংলা টিমের (ABT) একাধিক সদস্য গ্রেপ্তার হয়েছে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে। কীভাবে ভারতে বসে নাশকতার সঙ্গে যুক্ত হল এই সদস্যরা, তার খোঁজ শুরু করতেই বেঙ্গল এসটিএফের নজরে আসে ২০১৪ সালে গ্রেফতার হওয়া তারিকুল ইসলাম। মুর্শিদাবাদ থেকে গ্রেফতার জঙ্গি আব্বাস আলি এর আগে পকসো (POCSO) মামলায় জেলবন্দী থাকার সময় তারিকুলের সঙ্গে তার যোগাযোগ হয়। এই সূত্র পাওয়ার পরে তারিকুলকে হেফাজতে নিয়ে জেরার পরিকল্পনা বেঙ্গল এসটিএফের (Bengal STF)।

বহরমপুর সংশোধনাগারে তারিকুলকে জিজ্ঞাসাবাদের পরই তাকে হেফাজতে নেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়। সেই মতো সোমবার বহরমপুর আদালতে আবেদন করলে বিচারক ১৩ জানুয়ারি পর্যন্ত তারিকুলের এসটিএফ হেফাজত মঞ্জুর করেছে। অন্যদিকে সোমবারই বহরমপুর আদালতে তারিকুলকে নিজেদের হেফাজতে চায় অসম এসটিএফ। ১৩ জানুয়ারি তারিকুলকে ফের আদালতে পেশ করতে হবে। সেই সময় তাকে অসম এসটিএফের হাতে তুলে দেওয়া হবে কিনা সিদ্ধান্ত নেবে আদালত।

তবে যেভাবে জঙ্গি সদস্য বৃদ্ধির কাজ জেলের ভিতর বসে খাগড়াগড় কাণ্ডের অন্যতম চক্রী তারিকুল শুরু করেছিল, তার সূত্র খুঁজে বের করেছে বেঙ্গল এসটিএফ। এবার সেই সূত্রে আরও কাদের প্রভাবিত করেছিল তারিকুল তার খোঁজ চালাবে রাজ্যের পুলিশ।