Saturday, August 23, 2025

ওড়িশার বাঘ নিজেরা ফেরাক, রাখতে না পরলে চিরকালের মতো পাঠাক: বার্তা অসন্তুষ্ট মমতা

Date:

বাংলার বন দফতর বাঘিনী জিনাতকে (tigress zeenat) ফেরৎ পাঠাতে যে পথ অবলম্বন করেছে তা একটি মডেল। সেই স্বীকৃতি বিজেপি শাসিত ওড়িশা (Odisha) থেকে পাওয়া যায়নি। উপরন্তু জিনাতকে সুস্থভাবে ফেরৎ পাঠানোর এক সপ্তাহ যেতে না যেতেই ফের বাংলার সীমানায় বাঘের আতঙ্ক। বাংলার জনজীবনকে বারবার যেভাবে ওড়িশার বন্যপ্রাণীর কারণে ব্যাহত হতে হচ্ছে, এবার তাতেই ওড়িশা প্রশাসনের উপর তোপ দাগলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। ওড়িশা সরকারের বাঘের মতো বন্যপ্রাণকে রক্ষা করার ক্ষমতা নেই, অভিযোগ করেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)।

ঝাড়খণ্ডের (Jharkhand) সরাইকেলা জেলায় ফের গবাদি পশু বন্যপ্রাণীর হাতে মারা যাওয়ার ঘটনায় আতঙ্ক ছড়ায়। ঝাড়খণ্ডের বন দফতর ট্র্যাপ ক্যামেরা (trap camera) বসিয়ে নজরদারি শুরু করে। সম্প্রতি তিন বছরের জিনাতের অত্যাচারে বাংলার পাঁচ জেলার মানুষের জনজীবন ব্যাহত হওয়ার পরে নতুন করে বাঘের আতঙ্ক ছড়ানোয় স্বভাবতই ক্ষুব্ধ বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। তিনি অভিযোগ করেন, ওড়িশা সরকার বাঘ পাঠালে চিরকালের জন্য পাঠাক। আমরা রেখে দিচ্ছি। ওদের জায়গা না থাকলে আমাদের টাইগার রেসকিউ সেন্টার (tiger rescue center) আছে, আমাদের গভীর জঙ্গল আছে আমরা রেখে দিচ্ছি। ওদের রাখবার জায়গা নেই।

সম্প্রতি বাংলার বন দফতর যেভাবে জিনাতকে উদ্ধার করে ওড়িশা (Odisha) সরকারের হাতে তুলে দেয় ফের একবার তার ভূয়সী প্রশংসা করেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। তিনি দাবি করেন, যে কায়দায় ধরেছে সেটা একটা মডেল (model)। কোনওভাবে বাঘটিতে আহত না করে ধরা হয়েছে। সেই সঙ্গে অভিযোগ করেন, বাঘটাকে নিয়ে গিয়ে জলের মধ্যে ছেড়ে দিলে। জল পেরোতে কতক্ষণ। আবার একটা চলে এসেছে।

রাজ্যের বন কর্মীদের হয়রানির পাশাপাশি সাধারণ মানুষের বাঘের কারণে অসহায়তার কথা তুলে ধরেন তিনি। তিনি তুলে ধরেন, আমাদের লোকেরা পাঁচদিন ধরে পাঁচ রাত না ঘুমিয়ে। পাঁচটি জেলা (five districts) বন্ধ রেখে, মানুষ ঘর থেকে বেরোতে পারেনি। স্কুল বন্ধ রাখতে হয়েছে। সবসময় আমাদের দোষ দেবেন না।

তবে এবার ওড়িশা প্রশাসনকেই তাঁদের বাঘ উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়ার অনুরোধ করেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। তিনি ক্ষোভের সঙ্গে বলেন, নিজেদের বন দফতরের (forest department) দল পাঠান। আর নিজেদের বাঘ উদ্ধার করুন। যাতে আমাদের মানুষ অসুবিধায় না পড়েন। কারণ আমাদের পাঁচ জেলার মানুষ খুব দুর্ভোগে পড়েছেন। বন্যজন্তুদের আমরা ভালোবাসি, তাদের নিরাপত্তা দেওয়া আমাদের কাজ। তেমনই একটা মানুষের জীবনেরও দাম আছে। মানুষের জীবনও রক্ষা করতে হবে।

Related articles

চলন্ত বাইকে চূড়ান্ত রোমান্স যুগলের! দিতে হল চড়া মাশুল

চলন্ত বাইকে (Bike) যুবক ও যুবতীর রোমান্স যা হার মানাবে বড় বড় বলিউড সিনেমাকে। একে অপরকে জড়িয়ে বাইকের...

রাজ্যে ভোটার তালিকা সংশোধনী, বুথ পুনর্বিন্যাসে বৈঠকে ডাক সব রাজনৈতিক দলকে

ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধনী ঘিরে প্রস্তুতিতে নেমেছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। ইতিমধ্যেই বুথের পুনর্বিন্যাস করা হয়েছে। এবার সেই...

আইন কলেজ গণধর্ষণে ৫৮ দিনে চার্জশিট পেশ: নাম মনোজিৎ-সহ চারজনের

কসবা আইন কলেজে ছাত্রীর গণধর্ষণের ঘটনার ৫৮ দিনের মাথায় চার্জশিট পেশ করল কলকাতা পুলিশ। শনিবার আলিপুর আদালতে প্রায়...

ভালো শুরু করেও প্রথমার্ধে পিছিয়ে পড়ল ডায়মন্ডহারবার এফসি

সেই আলাদিন আজারের(Aladdin Ajaraie) ম্যাজিকেই পিছিয়ে পড়ল ডায়মন্ডহারবার এফসি(DHFC)। ফাইনালে বাংলার দল হিসাবে নর্থইস্ট ইউনাইটেডের বিরুদ্ধে নেমেছিল ডায়মন্ডহারবার...
Exit mobile version