Thursday, November 6, 2025

কলকাতা-সহ দেশের ৩ জায়গায় ৪ শিশুর দেহে HMPV! আতঙ্কিত না হওয়ার বার্তা স্বাস্থ্য দফতরের

Date:

কর্নাটক (Karnatak), গুজরাটের (Gujrat) পরে এবার কলকাতাতেও (Kolkata) শিশুর শরীরে মিলল HMPV! বাইপাসের ধারে এক বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ৬ মাসের এক শিশুর শরীরে হিউম্যান মেটানিউমো ভাইরাস মিলেছে বলে সূত্রে খবর। সোমবার সকালে প্রথমে কর্নাটকের দুটি শিশুর শরীরে এই ভাইরাস মিলেছে বলে জানায় ICMR। পরে গুজরাটের এর শিশুর শরীরে এই ভাইরাস মেলে। এখনও পর্যন্ত দেশে ৪ জনের শরীরে HMP ভাইরাসের অস্তিত্ব মিলল। রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের তরফে অযথা আতঙ্কিত না হওয়ার কথা বলা হয়েছে। HMPV মোকাবিলার প্রস্তুতি নিচ্ছে রাজ্যের সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালগুলি।

প্রথমে বেঙ্গালুরুর একটি আট মাসের শিশুর দেহে এই ভাইরাসের সন্ধান মিলেছে বলে সূত্রের খবর। হাসপাতালে ভর্তি ওই শিশু। রুটিন পরীক্ষা করতে গিয়েই এই ভাইরাসের হদিশ পাওয়া গিয়েছে বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। কর্নাটকেরই আরও এক শিশুর শরীরেও এই ভাইরাসের অস্তিত্ব মিলেছে বলে খবর ICMR সূত্রে। ভারত সরকারের নথি অনুযায়ী, বেশ কিছু বছর আগেও দেশে HMPV পাওয়া গিয়েছিল। শিশুটি ব্রঙ্কোনিউমোনিয়ায় আক্রান্ত ছিল। হাসপাতালে তার চিকিৎসা চলাকালীন রুটিন পরীক্ষাতে তার শরীরে এই ভাইরাসের অস্তিত্ব পাওয়া যায়। যদিও এই শিশুর বিদেশ ভ্রমণের কোনও রেকর্ড নেই বলেও জানায় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। বর্তমানে শিশুটিকে হাসপাতাল থেকে ছেড়েও দেওয়া হয়েছে। তবে আরও এক আট মাসের শিশু ব্রঙ্কোনিউমোনিয়া আক্রান্ত হওয়ায় তাকেও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার নমুনা পরীক্ষাতেও এইচএমপিভি-র অস্তিত্ব পাওয়া যায়। বর্তমানে সে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ও স্থিতিশীল বলেও স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে।

কলকাতার বাইপাসের ধারে বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন শিশুর শরীর থেকে নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। PCR টেস্ট হলে বোঝা যাবে, ঠিক কোন প্রজাতির ভাইরাস তার শরীরে বাসা বেঁধেছে। আপাতত শিশুকে সর্বক্ষণের জন্য পর্যবেক্ষণে রেখেছেন চিকিৎসকরা। তবে এটি চিনের ভ্যারিয়েন্ট কি না, তা এখনও নিশ্চিত নয়। মাস দুই আগে মুম্বই থেকে কলকাতায় আসা ৫ মাসের এক শিশুও HM ভাইরাসে আক্রান্ত হয়। চিকিৎসার পর সুস্থ হয়ে সে বাড়ি ফিরে গিয়েছে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। সময়মতো ধরে চিকিৎসা হলে সেরে উঠবে রোগী।

রাজ্য়ের ৫ সরকারি হাসপাতাল ছাড়াও কয়েকটি হাসপাতালকে অবিলম্বে ফিভার ক্লিনিক খোলার কথা বলা হয়েছে। HMPV-র উপসর্গ দেখা দিলে সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসার করাতে হবে। প্রয়োজনে আইসোলেশনে রেখে চিকিৎসা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে দাবি করা হয়েছে, বর্তমানে শ্বাসকষ্ট জনিত রোগ ইলি বা সারি-র কোনও মহামারি আকার ধারণ করার কোনও ইঙ্গিত ভারতে নেই। তবে এইচএমপিভি সংক্রান্ত স্ক্রিনিং দেশজুড়ে চালানো হবে বলেও আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে বিশ্বের অনেক দেশে এই ভাইরাসের ছড়িয়ে পড়া লক্ষ্য করেই সতর্কতা অবলম্বন করা হচ্ছে বলেও জানানো হয়েছে।

Related articles

রাত পোহালে প্রথম দফার নির্বাচন বিহারে: হিংসা ঠেকানোই চ্যালেঞ্জ

নির্বাচনের এক সপ্তাহ আগে পরপর খুন। রাজনৈতিক নেতা থেকে সমর্থক। বিহার বিধানসভা নির্বাচনে তাই শান্তি বজায় রাখাই চ্যালেঞ্জ...

বাংলা কথায় দক্ষতা, কোন পদে পান তৃপ্তি? দীপ্তিকে নিয়ে স্মৃতির ঝাঁপি খুললেন ‘অভিভাবক’ মিঠু

সন্দীপ সুর বাংলার প্রথম ক্রিকেটার হিসাবে আইসিসি একদিনের বিশ্বকাপ জিতেছেন রিচা ঘোষ কিন্তু ভারতীয় দলের আরও এক ক্রিকেটারের সঙ্গে...

দিঘার জগন্নাথ ধামে প্রথম রাস উৎসবে ভক্তদের ঢল 

দিঘার জগন্নাথ ধামে এবারই প্রথম পালিত হল রাস উৎসব, আর সেই উপলক্ষে সকাল থেকেই উপচে পড়েছে ভক্তসমুদ্র। উৎসবের...

বেঁচে আছেন, তাই জানতে পারলেন ‘দোষী নন’: আজব বিচার উত্তরপ্রদেশে

বিচারের বাণী নীরবে নিভৃতে কাঁদে। উত্তরপ্রদেশের আলিগড়ের (Aligarh) মিঠু সিংয়ের জীবনে যেন সেটাই সত্যি হতে বসেছিল। অবশেষে ৫৫...
Exit mobile version