আমাদের যা করার ছিল করেছি। কিন্তু কপিলমুনির মন্দিরের সামনে সাগর মাঝেমাঝেই এগিয়ে আসে। মন্দির তিনবার সাগরে ডুবেও গিয়েছিল। যদি কংক্রিটের করে দেন, যাতে জলে ডুবে না যায়। সোমবার, গঙ্গাসাগরে (Gangasagar) কপিলমুনির আশ্রমে গিয়ে আশ্রম কর্তৃপক্ষের কাছে এই আবেদন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। কপিলমুনির মোহান্তি তাতে সম্মত হয়েছেন।

এদিন মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব-সহ প্রশাসনের উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের নিয়ে গঙ্গাসাগর মেলার প্রস্তুতি খতিয়ে দেখেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রথমে বাংলাদেশে আটকে পড়া মৎস্যজীবীদের সাহায্য-উপহার তুলে দেন মমতা। সেখান থেকে প্রথমে যান ভারত সেবাশ্রম সংঘে। তার পরে যান কপিনমুনির আশ্রমে। সেখানে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee) বলেন, ফি-বছর গঙ্গাসাগর মেলায় কোটি কোটি পুণ্যার্থী আসেন। তাঁরা কপিল মুনির আশ্রমে দানও করেন। সেই দানের পুরো টাকাটাই চলে যায় উত্তরপ্রদেশে অযোধ্যার মূল মন্দিরে। মমতার কথায়, “কপিলমুনির মোহন্তিকে এবারে আমি একটা রিকোয়েস্ট করেছিলাম, যে মেলাকে কেন্দ্র করে যেভাবে ১ কোটির ওপর মানুষ আসেন, সেখান থেকে যা আয় হয় তার সবটা অযোধ্যায় না পাঠিয়ে ২৫ শতাংশ টাকা দিয়ে মন্দিরটা যদি কংক্রিটের করে দেন, যাতে জলে ডুবে না যায়। উনি রাজি হয়েছেন।”

মুখ্যমন্ত্রীর আহ্বানে সাড়া দিয়ে মন্দির কর্তৃপক্ষর তরফে জানানো হয়, এবারে পুণ্যার্থীদের থেকে যে টাকা আয় হবে তার ২৫ শতাংশ টাকা মন্দিরকে ক্রংক্রিটের করার কাজে ব্যবহার করা হবে।

মমতা বলেন, আগে তো গঙ্গাসাগরে কিছু ছিল না, তিন বার মন্দির ডুবেছে। সমুদ্র এগিয়ে আসছে। তবু আমরা সব চেষ্টা করছি। মুড়িগঙ্গায় সেতু নির্মাণের জন্য দেড় হাজার কোটি টাকা দিয়েছি। ২-৩ বছর পর থেকে মানুষকে আর কষ্ট করে জল পেরিয়ে আসতে হবে না।


–


–

–

–

–

–
