মিটার থেকে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করার পরে প্রকাশ্যে এলো। নাহলে এক যুবতীর মৃতদেহ আরও কত মাস বা বছর ভাড়া বাড়ির ফ্রিজের ভিতর ভরা থাকত তা আন্দাজ করেই আঁৎকে উঠছেন মধ্যপ্রদেশের দেওয়াসের (Dewas) বাসিন্দারা। লিভ-ইন পার্টনারকে খুন করে ফ্রিজে ঢুকিয়ে এভাবেই জুন মাস থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত কাটিয়ে দিয়েছিলেন ইন্দোরের বাসিন্দা যুবক। ঘটনা প্রকাশ্যে আসতে পুলিশ গ্রেফতার করে যুবককে।
মধ্যপ্রদেশের (Madhyapradesh) দেওয়াসে এক ব্যক্তির বাড়িতে ভাড়া নেয় ইন্দোরের সঞ্জয় পতিদার নামে এক যুবক। সেই বাড়িতেই যুবকের সঙ্গে তার লিভ-ইন পার্টনারও (live-in partner) থাকত। ২০২৪-এর জুন মাসে বাড়ি খালি করে চলে যায় সঞ্জয়। শুধু তার জিনিস দুটি ঘরে রাখা ছিল। তাই সেই দুটি ঘর তালা দেওয়া থাকত। সম্প্রতি নতুন ভাড়াটিয়া আসায় ঘুর খুলে দেখান বাড়ির মালিক। সেই সময় তিনি লক্ষ্য করেন সঞ্জয় জিনিস রাখা দুটি ঘরের মিটার (meter) ডাউন করা নেই। তাই তিনি মিটার থেকে বন্ধ করে দেন।
এরপরই আসল ঘটনা প্রকাশ্যে আসে। প্রতিবেশীরা দুর্গন্ধ পেয়ে বাড়ির মালিককে খবর দেন। তাঁরা এসে তালা খুলে ফ্রিজের (fridge) ভিতরে শাড়ি পরা মহিলার দেহ আবিষ্কার করেন। পুলিশে খবর দেওয়া হলে জানা যায়, জুন মাস থেকে ঘর ছেড়েছে ভাড়াটিয়া (tenant) সঞ্জয়। মাঝে দু একবার তালা খুলে জিনিস নিয়ে গিয়েছে। তবে তার সঙ্গিনীকে এতদিন কেউ দেখেনি। কিন্তু এই ছয়মাস মিটার চালু থাকায় ফ্রিজটি চলেছে। ফলে সেখানে পচন না ধরে লোক জানাজানি হয়নি।
দেহ উদ্ধারের পরে ব্যাঙ্ক নোট প্রেস থানার (Bank Press Note police station) পুলিশ জানায়, মৃতার বয়স আনুমানিক ৩০। তার গলায় বাঁধা ফাঁসের সঙ্গে বাঁধা ছিল হাত-পা। ধৃত সঞ্জয়কে জিজ্ঞাসাবাদ করে খুনের প্রকৃত কারণ জানা সম্ভব হবে বলে জানায় পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তে অনুমান লিভ-ইন পার্টনার বিয়ের জন্য চাপ দিতে খুনের পরিকল্পনা করে সঞ্জয়।
–
–
–
–
–
–