জাতীয় যুব দিবসে স্বামীজীর বাণী এবং আদর্শকে মেনে এগিয়ে যাওয়ার অঙ্গিকার অরূপ-শশীর

পৈতৃক বাসভবন আজ হয়ে উঠেছে জাদুঘর ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্র

0
1

আজ জাতীয় যুবদিবস। ১৯৮৫ সালের ১২ জানুয়ারি প্রথম জাতীয় দিবস পালন করা হয়। যার জন্মদিনে এই দিন পালিত হয়, তিনি হলেন সমগ্র যুব সমাজের আদর্শ আমাদের সকলের স্বামী বিবেকানন্দ।

রবিবার সকাল থেকেই বিভিন্ন জায়গায় অনুষ্ঠানের আয়োজন। বেলুড় মঠ ও সিমলা স্ট্রিটে ভক্তদের ভিড়। স্বামীজীর জন্মদিনে তাঁকে শ্রদ্ধা জানাতে সিমলা স্ট্রিটে বিবেকানন্দের বাড়িতে আসেন রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস এবং শশী পাঁজা।

অরূপ বিশ্বাস বলেন, সময়ের সাথে সাথে সবকিছুর পরিবর্তন হয়ে যায় আর আমাদের দরকার স্বামীজীর বাণী এবং আদর্শ। তাই আজকে তার জন্মদিনে তার কথা যদি আমরা মেনে চলি তবে সেটাই হবে আমাদের সবচাইতে বড় পাওনা। আজকে স্বামীজীর কথা এবং বানীকে আমরা যদি আমাদের সম্পদ ভেবে নিই তবে সেটিই আমাদের কাছে অনেক অনেক মুল্যবান সম্পদ।মন্ত্রী শশী পাঁজা স্বামীজির আদর্শকে যুব সমাজকে মেনে চলার পরামর্শ দেন। তিনি বলেন, শুধু লোক দেখানো নয়। স্বামীজির আদর্শকে মন থেকে মানতে হবে। তবেই আরও এগিয়ে যাবে যুবসমাজ।

উল্লেখ্য , ১৮৬৩ সালের ১২ই জানুয়ারি পৌষ সংক্রান্তির দিন সকালে জন্ম গ্রহণ করে ‘ বিলে’ । সিমলেপাড়ার ৩ নং গৌরমোহন মুখার্জি স্ট্রিট তাঁর পৈতৃক বাসভবন আজ হয়ে উঠেছে জাদুঘর ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্র। এখানে দেশ-বিদেশের ভক্ত-অনুরক্তদের আনাগোনা।

গোটা উত্তর কলকাতাই ছিল নরেন্দ্রনাথ দত্তের ‘মুলুক’, এটা বললে অত্যুক্তি হয় না। ঢিল ছোড়া দূরত্বে হেদুয়া। রামতনু বসু লেনে তাঁর দিদিমার বাড়ি, সেখানেই ‘টঙের ঘর’-এ তাঁর সবন্ধু দুরন্তপনা, ধ্যান-ধ্যান খেলা। ছেলেবেলায় বিদ্যাসাগরের সুকিয়া স্ট্রিটের স্কুলে পড়েছেন, এরপর স্কটিশ চার্চ কলেজে।

স্বামীজি বলেছিলেন “নিজেকে কখনও দুর্বল ভেবো না।অনন্ত শক্তি তোমার ভিতরেই আছে।” এতবছর পর আজকের যুগে দাঁড়িয়েও তাঁর এই কথাগুলো ভীষণভাবে প্রাসঙ্গিক।