ঢাকা হাইকোর্টে চিন্ময়কৃষ্ণের জামিন মামলার শুনানি ২০ জানুয়ারি

তার মুক্তির দাবিতে কার্যত বাংলাদেশে চলছে বিক্ষোভ

চট্টগ্রামের নিম্ন আদালতে বারবার পিছিয়েছে তার শুনানি মামলা।আইনজীবীরা ঠিকমতো সওয়াল করতে না পারায় জেল থেকে বের হতে পারেননি ইসকনের সন্ন্যাসী চিন্ময়কৃষ্ণ। যদিও জামিন খারিজের পর তার আইনজীবীরা উচ্চ আদালতে আপিল করার সিদ্ধান্ত নেন। সেই আবেদন অনুযায়ী জানানো হয় ঢাকা হাইকোর্টে।শেষ পর্যন্ত ২০ জানুয়ারি হাইকোর্টের শুনানির দিন নির্ধারিত হয়েছে।প্রসঙ্গত, গত ২৫ নভেম্বর চট্টগ্রাম যাওয়ার পথে বিমানবন্দর থেকে গ্রেফতার করা হয় বাংলাদেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মুখ চিন্ময়কৃষ্ণ প্রভু। জাতীয় পতাকার অবমাননা সহ একাধিক অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছিল চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে। সেদিন থেকেই জেলবন্দি রয়েছেন সন্ন্যাসী চিন্ময়কৃষ্ণ দাস। তার মুক্তির দাবিতে কার্যত বাংলাদেশে চলছে বিক্ষোভ।

শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকারের শাসনে সংখ্যালঘু নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে বাংলাদেশে। পাল্টা নয়া আইন এনে বাংলাদেশের সংখ্যালঘু মুখ সন্ন্যাসী চিন্ময় প্রভুকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাতে পরিস্থিতি আরও জটিল হচ্ছে।আগামী সোমবার হাইকোর্টে ৩১৭ সিরিয়াল নম্বর হিসেবে চিন্ময়কৃষ্ণের জামিনের শুনানির আবেদন গৃহীত হয়েছে। এর আগে চট্টগ্রাম আদালতে চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের শুনানি হয় বাতিল হয়ে গিয়েছে নয়তো আইনজীবী উপস্থিত না হওয়ায় শুনানিই শুরু করা যায়নি। চিন্ময়কৃষ্ণের আইনজীবীরা হাইকোর্টে একাধিকবার জামিনের শুনানির আবেদন করেছেন। এতদিনে তা গৃহীত হয়েছে।

কলকাতা ইস্কনের ভাইস প্রেসিডেন্ট রাধারমণ দাস এনিয়ে বলেন, চট্টগ্রাম নগর দায়রা আদালতে যে জামিনের শুনানি হয়নি তা হাইকোর্টে হতে পারে। এমনটাই আশা করা হচ্ছে। চিন্ময়কৃষ্ণের আইনজীবীদের দাবি ছিল, চিন্ময়কৃষ্ণ একজন দেশপ্রেমী। সবসময় দেশকে অগ্রাধিকার দিয়ে এসেছেন। তিনি সন্ন্যাসী। এসবের সঙ্গে যুক্ত নন। এর পরও চিন্ময়কৃষ্ণের জামিনের আবেদন খারিজ হয়ে যায়। এরপর হাইকোর্টে আবেদন করেন চিন্ময়কৃষ্ণের আইনজীবীরা। সোমবার সেই মামলার শুনানি হবে।