মেদিনীপুরে প্রসূতি মৃত্যুর ঘটনায় চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে খুনের মামলা সিআইডির

তদন্তকারীদের নজরে রয়েছেন আরও কয়েকজন চিকিৎসক

মেদিনীপুরে প্রসূতি মৃত্যুর ঘটনায় ইতিমধ্যে সিআইডি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য। ইতিমধ্যে অভিযুক্তদের গাফিলতির কথা জানিয়ে রাজ্যকে রিপোর্ট জমা দিয়েছে রাজ্য গোয়েন্দা দফতর। শুক্রবার সকালে অভিযুক্ত চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ১০৫ ধারায় অনিচ্ছাকৃত খুনের মামলা রুজু করেছেন তদন্তকারীরা। বৃহস্পতিবারই মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজের ১২ জন চিকিৎসককে সাসপেন্ডের কথা ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার অভিযুক্ত চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে খুনের মামলা করল সিআইডি।  মেদিনীপুরে প্রসূতি মৃত্যুর ঘটনায় ইতিমধ্যে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজের সুপার জয়ন্ত কুমার রাউত, প্রসূতি বিভাগের আরএমও সোমেন দাস, দিলীপ কুমার পাল, অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর হিমাদ্রী নায়েক,  মহম্মদ আলাউদ্দিন, পল্লবী বন্দ্যোপাধ্যায় (সিনিয়র আরএমও), মৌমিতা মণ্ডল (পিজিটি), ভাগ্যশ্রী কুণ্ডু (পিজিটি),সুশান্ত মণ্ডল (ফার্স্ট ইয়ার পিজিটি), পূজা সাহা (ফার্স্ট ইয়ার পিজিটি), মনীশ কুমার (ফার্স্ট ইয়ার পিজিটি) এবং জাগৃতি ঘোষ (সেকেন্ড ইয়ার পিজিটি)কে সাসপেন্ড করা হয়েছে। একই সঙ্গে সিআইডির পাশাপাশি রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের ১৩ সদস্যের প্রতিনিধি দলও ঘটনার তদন্ত করছে। জানা গিয়েছে, ঘটনায় সাসপেন্ড চিকিৎসকের সংখ্যা বাড়তে পারে। তদন্তকারীদের নজরে রয়েছেন আরও কয়েকজন চিকিৎসক।

সম্প্রতি মেদিনীপুরে এক প্রসূতির মৃত্যু এবং চার প্রসূতির গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ার ঘটনাকে ঘিরে চাঞ্চল্য তৈরি হয়। পরে মৃত্যু হয় এক সদ্যোজাতরও।এরপরই মেদিনীপুরের সুপার-সহ ১২ চিকিৎসককে সাসপেন্ডের ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। তখনই মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, গাফিলতির অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় অনিচ্ছাকৃত খুনের মামলা রুজু হবে। শুক্রবার সেটাই করলেন তদন্তকারীরা। পরিষেবার ক্ষেত্রে কারও গাফিলতি যে বরদাস্ত করা হবে না, বৃহস্পতিবার তা স্পষ্ট করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, মানুষের জবাব চাওয়ার অধিকার আছে। যেখানে অন্যায় হয়, সেখানে কথা উঠবেই। আমরা যেমন চিকিৎসকদের প্রতি সহানুভূতিশীল, তেমনি মানুষের দিকটাও দেখতে হবে।