Sunday, August 24, 2025

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) হাত ধরে বাংলায় স্বাস্থ্য বিপ্লব ঘটেছে। তার মস্তিষ্কপ্রসূত স্বাস্থ্য সাথী (Swasthya Sathi) প্রকল্প নতুন দিগন্তের সূচনা করেছে চিকিৎসা পরিষেবায়। এই প্রকল্পের আওতাভুক্ত হয়ে প্রান্তিক মানুষেরাও পাচ্ছেন উন্নতমানের চিকিৎসা। স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্প বিপ্লব ঘটিয়েছে দুরারোগ্য ক্যান্সার চিকিৎসার ক্ষেত্রে। ক্যান্সার চিকিৎসায় ৯০ শতাংশের বেশি রোগী রাজ্যে স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন। গত অর্থবর্ষে স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের মাধ্যমে ক্যান্সার চিকিৎসায় বাংলার সরকার প্রায় দুই কোটি টাকা ব্যয় করেছে।

স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের আওতায় প্রতিবছর প্রতিটি পরিবার পাঁচ লক্ষ টাকার চিকিৎসা বিনা পয়সায় পায়। তা স্বাস্থ্য পরিষেবার ক্ষেত্রে মানুষের আর্থিক বোঝা কমাতে সাহায্য করে। রাজ্য সরকারের কাছ থেকে আর্থিক সাহায্য পেয়ে প্রান্তিক দরিদ্র শ্রেণির মানুষেরাও সময়মতো স্ক্রিনিং করাতে পারেন। তাঁদের মানসম্পন্ন পরিষেবা দিতে রাজ্য সরকারও বদ্ধপরিকর। সরকারের নির্দেশে এই প্রকল্পের আওতায় ক্যান্সারের অস্ত্রোপচার কেবলমাত্র গ্রেড এ বিশেষজ্ঞ হাসপাতালগুলিতে করা হয়। যেখানে বিশেষ অঙ্কলজি পরিষেবা রয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে এক্স হ্যান্ডেলে সেই উন্নয়নের খতিয়ান তুলে ধরা হয়েছে। সেই পরিসংখ্যান বলছে, ২০২২ সালের এপ্রিল মাস থেকে ২০২৩ সালের মার্চ মাস পর্যন্ত ক্যান্সারের চিকিৎসায় ৩৫৮.৬ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। যার ফলে স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের আওতায় ১.৬ লক্ষের বেশি রোগী উপকৃত হয়েছেন। রাজ্যের প্রায় ২৫টি হাসপাতালে ক্যান্সার চিকিৎসার জন্য বিশেষ ইউনিট রয়েছে এবং ৬১ হাসপাতালে কেমোথেরাপি এবং রেডিও থেরাপি-সহ প্রাথমিক সুযোগ-সুবিধা উপলব্ধ রয়েছে। স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্প ক্যান্সার চিকিৎসায় উল্লেখযোগ্যভাবে সাধারণ মানুষকে পরিষেবা দিয়ে চলেছে।

Related articles

পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য ‘শ্রমশ্রী’ প্রকল্পে নাম নথিভুক্তি শুরু

পরিযায়ী শ্রমিকদের সুবিধার্থে এবার আরও এক পদক্ষেপ রাজ্য সরকারের। ‘আমাদের পাড়া আমাদের সমাধান’ কর্মসূচির আওতায় দুয়ারে সরকার শিবিরেও...

‘নিখুঁত ভুলগুলি’, উৎপল সিনহার কলম

একটা দুঃখের কথা পথে ও বিপথে ঘুরে প্রত্যাখ্যাত হতে হতে গান হয়ে ওঠে ...একটি দুঃখের কথা পথে ও বিপথে ঘুরে প্রত্যাখ্যাত হতে হতে গান...

ষোলতেই ১৩০ কেজি! ছেলের খাবার জোগাতেই নাজেহাল বাবা-মা

মুর্শিদাবাদ জেলার সাগরদিঘি থানার কাবিলপুর পঞ্চায়েতের মথুরাপুর গ্রাম। এখানেই থাকেন দিনমজুর মুনশাদ আলি। তাঁর ছোট ছেলে জিশান আলি...

কবে থেকে শুরু জয়েন্টের কাউন্সেলিং? দিনক্ষণ জানিয়ে দিল বোর্ড

ফলপ্রকাশের পর এবার ১৫ দিনের মধ্যেই কাউন্সেলিং প্রক্রিয়া তথা ভর্তি প্রক্রিয়া শেষ করবে জয়েন্ট এন্ট্রান্স বোর্ড। এবার কাউন্সেলিং...
Exit mobile version