আইএসএল-এ ফের হারের হ্যাটট্রিক ইস্টবেঙ্গল এফসির। গতকাল অ্যাওয়ে ম্যাচে এফসি গোয়ার কাছে ১-০ গোলে হারের অস্কার ব্রুজোর দল। আর এফসি গোয়ার কাছে রবিবার হারার পর সেরা ছয়ে ওঠার আশা যে কার্যত শেষ, তা বুঝেই গিয়েছেন লাল-হলুদ কোচ।

এই নিয়ে ম্যাচ শেষে সাংবাদিক সম্মেলনে অস্কার বলেন, “সেরা ছয়ে ওঠা কঠিন। আগেই বলেছি, টানা তিনটে ম্যাচ না জিততে পারলে তা সম্ভব নয়। তাই এটা এখন খুবই উচ্চাকাঙ্খা বলা যায়। আমাদের আরও কার্যকরী হয়ে উঠতে হবে। “ এরপর অস্কার আরও বলেন, “ সারা ম্যাচে ২৮টা ক্রস দিয়েছি আমরা, তাও গোল পাইনি। এটাও কম হতাশাজনক নয়। পরিসংখ্যান দেখুন, প্রায় ১৫টা সুযোগ তৈরি করেছি আমরা। তা সত্ত্বেও আমাদের স্ট্রাইকাররা গোল করতে পারেনি। কারণ, ওদের সেন্টার ব্যাকরা ওদের বক্সে কার্যকরী হয়ে ওঠে।”
এরপর এফসি গোয়া ম্যাচ নিয়ে অস্কার বলেন, “এফসি গোয়া আমাদের চেয়ে কার্যকরী ফুটবল খেলেছে, সে জন্য ওদের অভিনন্দন। দুর্ভাগ্যজনক বলব না। গত দু’সপ্তাহেও এমন হয়েছে। কিছু কিছু সময়ে আমরাই খেলার নিয়ন্ত্রণ পুরোপুরি ভাবে করেছি। কিন্তু এই ধরনের ম্যাচে ফয়সালা হয় বক্সের মধ্যে। সেটাই হয়েছে।”

দ্বিতীয়ার্ধে দলের উন্নত পারফরম্যান্স নিয়ে লাল-হলুদ কোচ বলেন, “বিরতিতে ছেলেদের বলি, যে রকম খেলছ, সে রকমই খেলো। কিন্তু মাঝমাঠে আরও নিয়ন্ত্রণ আনার চেষ্টা করো। দ্বিতীয়ার্ধে মহেশ সামনে খেলোয়াড়দের সঙ্গে বেশ ভালই যোগাযোগ রাখছিল। আমরা ওদের সেন্টার ব্যাকদের সহজেই বল মুভ করাতে দিইনি। দুই সেন্টার ব্যাকের মধ্যে সংযোগটা বন্ধ করে দেওয়ায় ওরা উঠে খেলতে বাধ্য হয় এবং আমরা আরও গোলের সুযোগ তৈরি করতে সফল হই। এই আইডিয়াটা কাজে লেগেছে”

প্লে-অফে ওঠার আশা না থাকলেও সম্মানের সঙ্গে মরশুম শেষ করতে চান লাল-হলুদ কোচ। এই নিয়ে অস্কার বলেন, “আমরা এমন অবস্থায় রয়েছি, যেখানে আমাদের ড্র করলেও চলবে না, পুরো পয়েন্ট পেতে হবে। তাই পরের ম্যাচগুলোতেও আমাদের সেই চেষ্টাই চালিয়ে যেতে হবে। যখন চোট সারিয়ে সবাই ফিরে আসবে, তখন নিশ্চয়ই আমরা আরও ভাল খেলব। গোয়ার বিরুদ্ধে কী রকম দল নামিয়েছিলাম, সে তো নিজেরাই দেখেছেন। সাতজন আক্রমণাত্মক খেলোয়াড়কে নামাতে হয়েছে। তাও প্রথমার্ধে এফসি গোয়াকে আমরা ভালই আটকে রাখতে পেরেছিলাম। কিন্তু প্রথম গোলটা হয়ে যাওয়ার পর আমাদের পরিকল্পনা ভেস্তে যায়। আমাদের দুর্ভাগ্য যে, তার পরেও ৬০-৬৫ মিনিট ধরে গোলের চেষ্টা করেও গোল পাইনি।”

আরও পড়ুন- বিয়ে করলেন অলিম্পিক্সে সোনার পদকজয়ী নীরজ চোপড়া, পাত্রী কে ?

–

–

–

–

–

–

–
