শিয়ালদহ- ডানকুনি শাখার ট্রেন বাতিলে ভোগান্তি, বালি ব্রিজ বন্ধেও সমস্যায় নিত্যযাত্রীরা 

৯৫ বছরের পুরনো সেতুর গার্ডার প্রতিস্থাপনের জন্য শিয়ালদহ-ডানকুনি (Sealdah -Dankuni) শাখায় ১০০ ঘণ্টা ট্রেন বন্ধ। অন্যদিকে পূর্ব নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী বালি ব্রিজ ও বালি হল্ট স্টেশনে কাজের কারণে বন্ধ বিবেকানন্দ সেতু (Bally Bridge)। আর এই দুই মিলে ট্রেন ও সড়কপথে চূড়ান্ত ভোগান্তি নিত্যযাত্রীদের। রেলের অফিসিয়াল অ্যাপের (UTS) মাধ্যমে অনলাইনে ডানকুনি- শিয়ালদহ শাখার টিকিট কাটা যাচ্ছে, অথচ নির্ধারিত সময়ের পাঁচ থেকে দশ মিনিট আগে ট্রেন বাতিল দেখানো হচ্ছে। ফলে এক দিকে স্টেশনে এসে নাকাল হচ্ছেন যাত্রীরা পাশাপাশি টিকিটের টাকাটাও জলে যাচ্ছে। যদি ট্রেন পরিষেবা মিলবেই না তাহলে সেটা কেন আগে থেকে অ্যাপে দেখানো হচ্ছে না, বা কেন টিকিট কাটার অপশন দেওয়া হচ্ছে- এ প্রশ্ন তুলছেন অনেকেই। আগামী পাঁচ দিনে প্রায় ৩০০ ট্রেন বাতিলে ভোগান্তি আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা যাত্রীদের।

অন্যদিকে বৃহস্পতিবার থেকে বালি ব্রিজ বন্ধ থাকার কারণে শুরু হয়েছে হয়রানি। ২৩ জানুয়ারি ছুটির দিন হওয়ায় অতটা ভোগান্তি বুঝতে পারেননি নিত্যযাত্রীরা। কিন্তু শুক্রবার সকাল থেকে কাজে বেরিয়ে সমস্যায় পড়তে হয়েছে তাঁদের। অনেকটা ঘুর পথে রাজচন্দ্রপুর পর্যন্ত যেতে হচ্ছে অফিস যাত্রীদের। কেউ কেউ বলছেন, বাস ধরতে বালিখাল থেকে হাঁটতে হাঁটতে টোল ট্যাক্স পর্যন্ত যেতে হচ্ছে যার জন্য প্রায় ৪৫ থেকে ৫০ মিনিট সময় লেগে যাচ্ছে। বয়স্কদের পক্ষে কোনভাবেই এতটা পথ এভাবে যাওয়া সম্ভব নয়। পাশাপাশি বাস ধরার জন্য যে ব্রিজে উঠতে হচ্ছে সেই সিঁড়ি অত্যন্ত সংকীর্ণ এবং খাঁড়াই হওয়ায় ভিড়ে বড় দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন সকলেই। শিয়ালদহ বিভাগের দমদম জংশন এবং বালি হল্টের মধ্যে রেল ওভার ব্রিজের ৭টি পয়েন্টে স্টিল গার্ডার প্রতিস্থাপনের কাজ শুরু হয়েছে। সেকশনের পুরো ট্র্যাক ব্লাস্ট করা হচ্ছে। যার ফলে ওই রুটের সব ট্রেন বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে। রেল এবং সড়ক পথের জোড়া দুর্ভোগে ক্ষোভ বাড়ছে যাত্রীদের।