মহমেডানে ডামাডোল পরিস্থিতি অব্যাহত। শনিবার মোহনবাগানের সঙ্গে মিনি ডার্বি। তার আগে মহমেডান স্পোর্টিংয়ের কোচের পদ থেকে ইস্তফা দিলেন আন্দ্রে চের্নিশভ। সকাল থেকেই রুশ কোচের পদত্যাগের কথা শোনা যাচ্ছিল। দুপুর গড়াতেই সেই খবরে সিলমোহর পড়ল। মহমেডানের কোচের পদ থেকে সরে দাঁড়ালেন চের্নিশভ। বুধবার টিম হোটেলও ছেড়ে দেন। এদিন সকালে অনুশীলন ছিল মহামেডানের( MAHAMEDAN)। সেখানে ফুটবলারদের সামনেই তিনি পদত্যাগের কথা জানিয়ে দেন। জানা গিয়েছে, দিন পনেরো আগেই পদত্যাগ করতে চেয়ে চিঠি দিয়েছিলেন চেরনিশভ। ফিফা, দুই ইনভেস্টর শ্রাচী ও বাঙ্কারহিলের কাছে সেই চিঠি গিয়েছে। এদিন সোশ্যাল মিডিয়াতেও কোচের পদ ছাড়ার কথা জানান তিনি। সেখানে চেরনিশভ অভিযোগ করেন, কোচের পদ ছাড়তে বাধ্য হচ্ছি। পরিস্থিতিই এই অবস্থায় আসতে বাধ্য করেছে। পেশাদার হিসেবে তিন মাস মাইনে না পেয়ে কাজ চালানো সম্ভব নয়।

বাঙ্কারহিল কর্তা দীপক কুমার সিং কোচের পদত্যাগের খবর স্বীকার করে নিয়েছেন। সেই সঙ্গে তার বক্তব্য, আমরা ওঁর চিঠি পেয়েছি। কিন্তু চেরনিশভের পদত্যাগ আমরা এখনও গ্রহণ করিনি। আজ সন্ধ্যায় ওঁর সঙ্গে আলোচনায় বসব। চেরনিশভকে আমরা এই সিদ্ধান্ত না নেওয়ার জন্য বোঝাব। মহামেডান ক্লাবের কার্যকরী সভাপতি কামারুদ্দিন আহমেদ বলেন, এতদিন আমাদের বদনাম ছিল, মহামেডান কর্তারা কোচদের সরিয়ে দেয়। এবার দেখা গেল ইনভেস্টাররাও কোচেদের তাড়ায়।
বর্তমানে আইএসএল-র পয়েন্ট টেবিলে মহমেডান এসসি ১৩ নম্বরে রয়েছে। ১৭ ম্যাচে তারা মাত্র ১১ পয়েন্টই সংগ্রহ করতে পেরেছে। জিতেছে মাত্র ২ ম্যাচে। ড্র করেছে পাঁচটি। আর ১০ ম্যাচে দেখতে হয়েছে লজ্জার হার। আর সেকারণেই হেড কোচের পরিকল্পনা নিয়ে একাধিক প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছিল। এই প্রশ্নের কোনও জবাব অবশ্য চেরনিশভের কাছে ছিল না। গত ম্যাচে তারা মুম্বই সিটি এফসি-র বিরুদ্ধে তিন গোলে পরাস্ত হয়েছে। আর এই পরাজয়ের পরই ধৈর্য্যের যাবতীয় বাঁধ ভেঙে যায়। শেষপর্যন্ত অবসরের সিদ্ধান্তেই সম্পর্ক ছিন্ন করলেন এই রাশিয়ান কোচ।

–

–

–

–

–

–

–

–

–
