পড়ুয়াদের ট্যাবের টাকা রাজ্য সরকারের কোষাগার থেকে পড়ুয়াদের অ্যাকাউন্টে যাওয়ার আগেই গায়েব। এই জালিয়াতিতে (fraud) অভিযুক্তদের তদন্তের মাধ্যমে দ্রুত বিচার প্রক্রিয়ায় নিয়ে আসার নির্দেশ দিয়েছিলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি সরকারি প্রকল্পের টাকা উপভোক্তাদের অ্যাকাউন্টে (bank account) দিতে সব রকমের সতর্কতা নেওয়ার প্রক্রিয়াও শুরু করেছে রাজ্যের প্রশাসন। সেক্ষেত্রে গোটা প্রক্রিয়ার মধ্যে থেকেই কেউ যে এই জালিয়াতি পরিচালনা করছে, এমনটাও সন্দেহ করা হয়েছিল। পুলিশের জালে সেই তদন্তে উঠে এলো উত্তর দিনাজপুরের (North Dinajpur) এক ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক। গোটা জালিয়াতির মাস্টারমাইন্ড এই ব্যক্তিই, দাবি পুলিশের। এমনকি তদন্ত শুরু হতেই অভিযুক্ত মুফতাজুলের পালানোও স্পষ্ট করে দিচ্ছে জালিয়াতিতে তার ভূমিকা।

ইসলামপুরের (Islampur) মাঝিয়ালি হাইস্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মুফতাজুল ইসলাম ওরফে জুয়েলকে ভারত-নেপাল সীমান্তের কোটগাছ এলাকা থেকে গ্রেফতার করে রাজ্য পুলিশ। এই জুয়েল স্কুলে শিক্ষকতার পাশাপাশি বাড়িতে সাইবার ক্যাফে চালাতো। সেখানেও জালিয়াতিতে জড়িয়েছিল সে, তদন্তে উঠে এসেছে। বিভিন্ন মানুষের নথি থেকে ঠিকানা ও পরিচয়পত্রের নকল করা থেকেই দুর্নীতিতে প্রবেশ জুয়েলের।

বাংলায় স্কুল পড়ুয়াদের ট্যাবের টাকা অ্য়াকাউন্ট থেকে গায়েব হওয়ার পরই ভিনরাজ্যের জালিয়াতচক্র উঠে আসতে থাকে রাজ্য পুলিশের জালে। কিন্তু স্কুল পরিচালনার ভিতরে থেকে কারা এর সঙ্গে জড়িত, তা নিয়েও তদন্ত চলতে থাকে পাশাপাশি। সেই তদন্তেই মাথা হিসাবে উঠে আসে ইসলামপুরের মহম্মদ মুফতাজুল ইসলামের নাম। চাঞ্চল্যকরভাবে ট্যাব জালিয়াতি (tab fraud) তদন্ত শুরু হতেই স্কুলে ছুটি নেয় জুয়েল। অন্য এক শিক্ষককে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব দিয়ে গা ঢাকা দেয়। তাঁকে খুঁজতে খুঁজতে চোপড়ার কোটগাছে পৌঁছায় পুলিশ। সেখান থেকেই গ্রেফতার করা হয় তাকে। অন্যান্য স্কুলগুলির শিক্ষকদের সঙ্গে যোগাযোগ করে গোটা চক্রও সে চালাতো বলে তদন্তে দাবি।

–

–

–

–

–

–

–

–