চূড়ান্ত অব্যবস্থা, কুম্ভমেলায় ফের আগুন

রান্নাঘরে রাখা আরও দু’টি সিলিন্ডার ফেটে বিস্ফোরণ ঘটে

পদপিষ্টের ঘটনার রেশ কাটার আগেই ফের বিপত্তি কুম্ভমেলায়। এবার আগুন লাগল মেলার সেক্টর ২২-এ। এভাবে আগুন লাগার ফলে পুড়ে গেল বেশ কয়েকটি তাঁবু। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছল দমকল বাহিনী। প্রশাসনের আধিকারিকেরাও সেখানে রয়েছে। জানা গিয়েছে তাঁবুতে সেই সময় কোনও মানুষ ছিলেন না বলে প্রাণহানির ঘটনা ঘটেনি। যদিও এভাবে আগুনের কারণ এখনও জানা যায়নি।

প্রসঙ্গত, গত ১৯ জানুয়ারি আগুন লেগেছিল কুম্ভমেলার(kumbhamela) সেক্টর ১৯-এ। সেই সময়ের ঘটনায় প্রায় ১৮০টি তাঁবু পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছিল। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে কুম্ভমেলার সেক্টর ২২-এর প্রথমে একটি তাঁবুতে আগুন লাগে। সেখান থেকেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে। জুনা আখড়ার চমনগঞ্জের কাছে প্রায় ১৫টি তাঁবু পুড়ে গিয়েছে।

প্রসঙ্গত, বুধবারই কুম্ভে শাহী স্নান উপলক্ষে পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়েছে কমপক্ষে ৩০ জনের। মৌনী অমাবস্যা উপলক্ষে কুম্ভমেলায় ‘শাহি স্নান’-এর জন্য মঙ্গলবার রাত থেকে ভিড় বাড়ে। রাত ২টো নাগাদ ব্যারিকেড ভেঙে যায় ভিড়ের চাপে। মঙ্গলবার গভীর রাত থেকে মাইক নিয়ে দ্রুত পুণ্যস্নান করার আবেদন জানানো হচ্ছিল। সরকারি হিসাব অনুযায়ী সে সময় কুম্ভমেলায় আট কোটিরও বেশি ভক্ত উপস্থিত ছিল। প্রশাসনের আবেদনে সাড়া দিয়ে সিংহভাগ ভক্ত একসঙ্গে গঙ্গা, যমুনা এবং সরস্বতী নদীর সঙ্গমের দিকে এগিয়ে যান। এর ফলেই ঘটে বিপত্তি। ধাক্কাধাক্কিতে অনেকে পড়ে যান। সেই সময়ে বাকিরা তাঁদের মাড়িয়ে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন কারণ দাঁড়ানোর অবকাশ নেই। এই ঘটনার পর ‘শাহি স্নান’ দীর্ঘক্ষণ বন্ধ ছিল। তার পরের দিন ফের আগুন লাগার ঘটনা প্রতিনিয়ত যোগী সরকারের প্রশাসনিক অপদার্থতা তুলে ধরছে। ১৯ জানুয়ারির অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় কুম্ভে প্রায় ১৮০টি তাঁবু পুড়ে গিয়েছিল। গীতা প্রেসের(gita press) রান্নাঘরে চা তৈরির সময় গ্যাস লিক করে আগুন লেগেছিল বলেজানা যায়। রান্নাঘরে রাখা আরও দু’টি সিলিন্ডার ফেটে বিস্ফোরণ ঘটে।

এর আগেও বহু বার কুম্ভমেলায় পদদলিত হয়ে মৃত্যুর ঘটনা ঘটলেও জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলায় কোনও সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা যে ছিল না প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং মুখ্যমন্ত্রী আদিত্যনাথের সরকারের সেই বিষয়ে সন্দেহের অবকাশ নেই। কুম্ভমেলায় বারংবার বিপত্তির ফলে এবার প্রশ্নের মুখে পড়েছে উত্তরপ্রদেশের যোগী আদিত্যনাথ সরকার।