কুম্ভে পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে যোগী সরকারকে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। প্রশ্ন তুলেছে ঘটনাস্থলে কেন ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং দল পাঠাচ্ছে না কেন্দ্র? কোথায় গেল জাতীয় মানবাধিকার কমিশন? রাজ্যসভায় তৃণমূলের দলনেতা ডেরেক ও’ব্রায়েনের প্রশ্ন, এতবড় ঘটনা, কিন্তু কেন্দ্র বা যোগীপ্রশাসনের এমন রহস্যজনক নীরবতা কেন? বুধবার মধ্যরাত ও বৃহস্পতিবার ভোরে প্রয়াগরাজে কুম্ভ মেলায় যেভাবে পদপিষ্ট হয়েছেন অগণিত পূণ্যার্থী, তা দেখার পরে প্রশ্ন উঠে গিয়েছে কুম্ভ মেলার আয়োজক উত্তরপ্রদেশ সরকারের ভূমিকা নিয়ে৷

যোগী সরকার বড় মুখ করে বারবার তাদের পরিকাঠামোর জয়গান করলেও আসলে যে তা ছিল ফাঁকা বুলি, তা প্রমাণ হয়ে গিয়েছে বুধবার মধ্য রাতের দুর্ঘটনাতেই৷ সঠিক কতজন প্রাণ হারিয়েছেন মহাকুম্ভে, তার সংখ্যা জানানো দূরে থাক, আহতের সঠিক সংখ্যাও গোপন করেছে যোগী সরকার৷ নীরব কেন্দ্রও। এই বিন্দুতেই প্রশ্ন তুলেছেন ডেরেক ও ব্রায়ান৷ বৃহস্পতিবার দিল্লিতে ডেরেক ও ব্রায়ান বলেন, আমাদের রাজ্যের গঙ্গাসাগর মেলায় যদি কুম্ভ মেলার মত দুর্ঘটনা ঘটত, হয়তো প্রাণ হারাতেন অগুণতি লোক, তাহলে এতক্ষণে গোটা বিজেপি শিবির ঝাঁপিয়ে পড়তো৷ রাজ্যে এতক্ষণে পৌঁছে যেতেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সদস্যরা৷ গঙ্গাসাগরে পাঠানো হত একাধিক ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম৷ কেন যোগীরাজ্যে কোনও ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং দল পাঠানো হচ্ছে না? এই প্রসঙ্গেই ডেরেক ও ব্রায়ানের দাবি, বড় মেলার আয়োজন নির্বিঘ্নে কি করে করতে হয়, গঙ্গাসাগর মেলার সাফল আয়োজনের মাধ্যমে তা দেখিয়ে দিয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন বাংলার সরকার।

আরও পড়ুন- জিবি সিন্ড্রোম নিয়ে অযথা গুজব না ছড়ানোর আবেদন চিকিৎসকদের

_

_

_

_
_

_

_

_

_
