Sunday, August 24, 2025

অমৃতস্নানে মৃত বাসন্তীর ডেথ সার্টিফিকেটও দেয়নি যোগী সরকার! ক্ষোভ উগরে পরিবারকে সাহায্যের আশ্বাস অরূপ

Date:

Share post:

অমৃতস্নানে ঘিরে পদপিষ্ট হয়ে মৃতদের মধ্যে রয়েছেন এই বাংলার দুই প্রৌঢ়া। পশ্চিম মেদিনীরপুর ও বিজয়গড়ের বাসিন্দা তাঁরা। খবর পেয়েই কলকাতার বিজয়গড়ের বাসিন্দা বাসন্তী পোদ্দারের (Basanti Poddar) বাড়িতে যান রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস (Arup Biswas)। আর সেখানেই তিনি শুনলেন, মহাকুম্ভের ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা। কুম্ভমেলায় চূড়ান্ত হেনস্থার শিকার হচ্ছেন মৃতার পুত্র। তাঁর অভিযোগ, মায়ের ডেথ সার্টিফিকেটই দেয়নি উত্তরপ্রদেশের সরকার (Utterpradesh Government)। ফলে কলকাতায় এনে কীভাবে দেহ সৎকার হবে। তা নিয়ে চিন্তায় পরিবার। তবে, শোকস্তব্ধ পরিবারের পাশে দাঁড়িয়ে সব রকম সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন অরূপ।

ছেলে, মেয়ে ও বোনের সঙ্গে মহাকুম্ভে অমৃতস্নানে গিয়েছিলেন বাসন্তী পোদ্দার। কিন্তু অভিশপ্ত রাতে অব্যবস্থা ও ভিড়ের চাপে পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়েছে তাঁর। সেখানেই শেষ নয়। মায়ের দেহ নিয়েও যোগী রাজ্যে চূড়ান্ত সমস্যায় পুত্র। তাঁর অভিযোগ, ডেথ সার্টিফিকেট দেয়নি উত্তরপ্রদেশের সরকার। মেলেনি দেহ হস্তান্তরেরও কোনও নথি। তাও দেহ নিয়ে কলকাতায় ফিরছে পরিবার। ইতিমধ্যে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ যে ২৫ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করেছেন, তা পাওয়া যাবে কি না তা নিয়েও সংশয়ে পোদ্দার পরিবার। কারণ, যে সার্টিফিকেট তাঁদের দেওয়া হয়েছে, তাতে স্পষ্ট কিছুই লেখা নেই।
আরও খবর: মোদি-যোগী সরকারের অপদার্থতায় মহাকুম্ভে মৃত্যুমিছিল, সুপ্রিম আদালতে দায়ের জনস্বার্থ মামলা

এই শোকস্তব্ধ পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছে বাংলার সরকার। বৃহস্পতিবার, দুপুরে বিজয়গড়ে বাসন্তী দেবীর বাড়ি গিয়ে পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন মন্ত্রী অরূপ (Arup Biswas)। তাঁর কথায়, যাঁর কেউ নেই তাঁর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আছেন। যোগী সরকারের চরম অব্যবস্থার বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে অরূপ বলেন, “এটা ডেথ সার্টিফিকেটের নিয়ম নয়। এভাবে হয় না। কুম্ভ তো জাতীয় মেলা, কেন্দ্র কোটি কোটি টাকা দিয়েছে। তাও এমন হল। ওরা ব্যর্থ, ওরা ভক্তদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ। এখানে তো সড়ক পথে যাওয়া যায়, গঙ্গাসাগর তো জলপথ পেরিয়ে যেতে হয়। দেখে শেখা উচিত।”

বাসন্তীদেবীর ছেলে জানান, মঙ্গলবার রাতে মৌনী অমাবস্যার অমৃত স্নানের জন্য যাচ্ছিলেন তাঁরা। আশেপাশে পুলিশের কেউ ছিল না। হঠাৎই হাজার দশেক লোক এক জায়গায় এসে পড়ে। তুমুল দৌড়াদৌড়ি-ধাক্কাধাক্কি শুরু হয়ে যায়। সেই ধাক্কাতেই মাকে নিয়েই নীচে পড়ে যান তাঁরা। অভিযোগ, সাহায্য় করতে কেউ এগিয়ে আসেনি। মাকে হাসপাতালেও নিয়ে যেতে পারেননি। ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়। কথা বলতে গিয়ে কান্নায় গলা বুজে আসে পুত্রের।

তবে, সব রকম সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন অরূপ। দেহ এলে কোনও সমস্যা হলে, সে বিষয়ে পদক্ষেপ করা হবে।

spot_img

Related articles

পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য ‘শ্রমশ্রী’ প্রকল্পে নাম নথিভুক্তি শুরু

পরিযায়ী শ্রমিকদের সুবিধার্থে এবার আরও এক পদক্ষেপ রাজ্য সরকারের। ‘আমাদের পাড়া আমাদের সমাধান’ কর্মসূচির আওতায় দুয়ারে সরকার শিবিরেও...

‘নিখুঁত ভুলগুলি’, উৎপল সিনহার কলম

একটা দুঃখের কথা পথে ও বিপথে ঘুরে প্রত্যাখ্যাত হতে হতে গান হয়ে ওঠে ...একটি দুঃখের কথা পথে ও বিপথে ঘুরে প্রত্যাখ্যাত হতে হতে গান...

ষোলতেই ১৩০ কেজি! ছেলের খাবার জোগাতেই নাজেহাল বাবা-মা

মুর্শিদাবাদ জেলার সাগরদিঘি থানার কাবিলপুর পঞ্চায়েতের মথুরাপুর গ্রাম। এখানেই থাকেন দিনমজুর মুনশাদ আলি। তাঁর ছোট ছেলে জিশান আলি...

কবে থেকে শুরু জয়েন্টের কাউন্সেলিং? দিনক্ষণ জানিয়ে দিল বোর্ড

ফলপ্রকাশের পর এবার ১৫ দিনের মধ্যেই কাউন্সেলিং প্রক্রিয়া তথা ভর্তি প্রক্রিয়া শেষ করবে জয়েন্ট এন্ট্রান্স বোর্ড। এবার কাউন্সেলিং...