বাড়ির অমতে পালিয়ে গিয়ে মেয়ে বিয়ে করেছে, তাই পরিবারের লোকের আক্রোশ গিয়ে পড়ল পাত্রের বাবার উপরে। কনের শ্বশুরবাড়িতে পৌঁছে ছেলের বাবাকে পিটিয়ে খুন করার অভিযোগ যুবতীর বাড়ির লোকেদের বিরুদ্ধে। নৃশংস ঘটনাটি ঘটেছে জলপাইগুড়ির ধূপগুড়িতে (Dhupguri, Jalpaiguri)। অভিযুক্তদের শাস্তি না দিয়ে মৃতের পরিবারের তিনজনকে আটক করার ঘটনায় পুলিশের বিরুদ্ধে বাড়ছে ক্ষোভ।

জলপাইগুড়ি ধূপগুড়ি ব্লকের অন্তর্গত সাকোয়াঝোরা ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের জোৎস্নাপাড়া এলাকার বাসিন্দা মুরারি মজুমদারের ছেলে সুমিত মজুমদারকে (Sumit Majumdar) ভালবেসে বিয়ে করেন পাশের ব্লক ফালাকাটা ধনিরামপুর ১ নম্বরের যুবতী। তিনি জানতেন, তাঁর পরিবার কখনওই সুমিতকে মেনে নেবেন না। তাই কাউকে কিছু না জানিয়ে গত ১৫ জানুয়ারি বাড়ি থেকে পালিয়ে যান যুবতী। মেয়ের বিয়ের খবর জানাজানি হতেই থানার দ্বারস্থ হন পরিবারের সদস্যরা। এমনকী ছেলের বাড়িতে গিয়ে হামলাও করেন বলে অভিযোগ। গোটা বিষয়টি জানতে পেরে পাত্রপক্ষের তরফেও বাড়ির ছেলের খোঁজ করা শুরু হয়। সুমিতের খোঁজ মিলতেই নবদম্পতিকে নিয়ে জলপাইগুড়ি আদালতের দ্বারস্থ হন পরিবারের সদস্যরা। দুজনেই প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় নিজেদের মতে বিয়ে করা নিয়ে আইনগত কোনো সমস্যা নেই। অগত্যা আগাম জামিন মঞ্জুর করেন বিচারক। এরপরই ঘটে আসল ঘটনা। বৃহস্পতিবার পাত্রের বাড়িতে চড়াও হয়ে মেয়েকে ফিরিয়ে আনতে যান যুবতীর পরিবারে সদস্যরা। অভিযোগ তাঁরা সকলে সুমিতের বাড়ির লোকেদের বেধড়ক মারধর করেন। হামলাকারীদের হাতে নিগ্রহের শিকার হন সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা মহিলা। সুমিতের বাবা মুরারি মজুমদারকে মাটিতে ফেলে নৃশংসভাবে পিটিয়ে গুরুতর যখন করা হয়। পরে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। এরপরই এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।

–

–


–


–

–

–

–

–

–

–