সাংবাদিকতার ব্যস্ততার মধ্যে সময় বের করে সাহিত্যচর্চা করেন সন্দীপ চক্রবর্তী (Sandip Chakraborty)। পরপর দু’বছর কলকাতা বইমেলায় (Kolkata Book Fair ) প্রকাশিত হল তাঁর লেখা বই। গতবছর ভগিনী নিবেদিতার উপর বই লিখেছিলেন সন্দীপ। এবার মহাভারতের দুই উপেক্ষিত চরিত্র নকুল ও সহদেবকে বিষয় করে বই লিখলেন তিনি। নাম ‘মাদ্রীপুত্র’। বৃহস্পতিবার বইমেলায় ‘টাইমলাইন পাবলিকেশনের’ স্টলে বইটি প্রকাশ করলেন সাহিত্যিক-বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারী। ছিলেন প্রকাশক বিক্রম সরকার, মনিকা চৌধুরী, অমর মিশ্র, পৌলমী বসু দাস।

মহাভারতের (Mahabharata) পঞ্চপাণ্ডব। এঁদের নিয়েই কাহিনীর আবর্ত আর এঁদের দিয়েই মহাকাব্যের শেষ। কিন্তু আলোচনায় সবসময় থাকেন কুন্তীর তিন পুত্র যুধিষ্ঠির, ভীম, অর্জুন।মাদ্রীর দুই পুত্রের চর্চা প্রায় নেই। তাঁরাও বীর, তাঁরাও সুপুরুষ, তাঁরাও একইভাবে ভ্রাতৃ আজ্ঞা পালন করেছিলেন। কিন্তু মায়ের মতোই তাঁদের নিয়ে সাহিত্যে চর্চা খুবই কম। লক্ষ্মণের স্ত্রী উর্মিলা বা কৃষ্ণের দুই পত্নীকে নিয়ে যেমন আলোচনা কম, কাব্যে তাঁরা ‘উপেক্ষিতা’। ঠিক একইভাবে নকুল ও সহদেবও ‘কাব্যে উপেক্ষিত’। তাঁদেরকেই সাহিত্যচর্চার বিষয় করলেন সাংবাদিক সন্দীপ। সাংবাদিকের অনুসন্ধিৎসু মন নিয়েই এই চর্চা। সেই কারণেই বেছে নিয়েছেন মাদ্রীপুত্রদের।

৬১৬ নম্বর স্টলে প্রকাশিত হল লেখক-সাংবাদিক সন্দীপ চক্রবর্তীর (Sandip Chakraborty) পুরাণ নির্ভর এই সাহিত্য। নকুল ও সহদেব মহাভারতের দুই অসামান্য চরিত্র। চরিত্র দুটির বহু কাহিনিই অজানা। মাদ্রীপুত্ররা পাণ্ডবের অংশ হয়েও ‘দ্বয়’ হয়েই যেন একটু স্বতন্ত্র। ছোট থেকে বিমাতার স্নেহ পরশে লালিত হয়েও গর্ভধারিণীর জন্য ছিল চিরকালীন আকুতি। আবার প্রথম পাণ্ডবত্রয়ের ছায়ায় থেকেও নিজস্বতায় সমুজ্জ্বল। সাতটি পর্বে দুই চরিত্রকে নতুন করে তুলে ধরা হয়েছে। প্রথমে চ্যবন পর্ব। মাঝে পাণ্ডু, মাদ্রী, পাঞ্চালী, বনবাস অজ্ঞাতবাস, কুরুক্ষেত্র ও শেষে মহাপ্রস্থান পর্ব। মাদ্রীপুত্রদের অজানা বা অনালোচিত অধ্যায় বইটির মুদ্রিত দাম ২০০ টাকা।

–

–

–

–

–

–

–

–

–