Monday, November 3, 2025

ক্ষমতায় এসেই একেবার নাম করে তিন দেশের উপর শুল্ক চাপিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump)। এবার পাল্টা প্রতিক্রিয়া শুরু ট্রাম্পের নিশানায় থাকা দেশগুলির। আমেরিকার (USA) শুল্ক চাপানোর ঘোষণার পরেই পাল্টা শুল্ক চাপানো হুঁশিয়ারি দেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো (Justin Trudeau)। একই পথে এবার শুল্ক বাড়িয়ে দেওয়ার ঘোষণা চিনের। ভারতের বাজেট পূর্ববর্তী পরিস্থিতিতে বিশ্ব জুড়ে শুল্ক-যুদ্ধে জল মাপছে ভারত। বাজেট ঘোষণার সময়ে প্রথম ধাপ পেশ হলেও জিএসটি (GST) সংক্রান্ত ঘোষণা স্থগিত রেখেছেন অর্থমন্ত্রী নির্মল সীতারমন (Nirmala Sitharaman)। আমেরিকার শুল্ক যুদ্ধের উপর নজর রেখেই সেই ঘোষণা হবে, বলে অনুমান অর্থনীতিবিদদের।

মাত্র তিন-চারদিন আগেই চিনের (China) সব ধরনের দ্রব্যের উপর ১০ শতাংশ শুল্ক (tariff) চাপিয়েছিল আমেরিকা। এমনকি ট্রাম্পের দফতর থেকে হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়েছিল, চিনে তৈরি জিনিসের (Chinese product) উপর ৬০ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক চাপানো হতে পারে বলেও। মঙ্গলবার থেকে চিনের উপর এই শুল্ক নীতি আরোপ হতেই পাল্টা ঘোষণা জিন পিং সরকারের। ঘোষণা করা হয় আমেরিকার কয়লা (US coal) ও প্রাকৃতিক গ্যাসে (LNG) ১৫ শতাংশ ও জ্বালানি তেলে (crude oil) ১০ শতাংশ শুল্ক চাপানো হল। এছাড়াও আমেরিকান সংস্থা অ্যালফাবেট (Alphabet), কেলভিন ক্লেইন (Calvin Klein), ইলুমিনা-র (Illumina) মতো সংস্থার বিরুদ্ধে তদন্তও শুরু করেছে জিন পিং সরকার।

ইতিমধ্যেই কানাডার (Canada) উপর ২৫ শতাংশ শুল্ক চাপানোর ঘোষণা করেছিলেন ট্রাম্প। মঙ্গলবার থেকে তাও লাগু হওয়ার কথা ছিল আগামী ৩০ দিনের জন্য। রবিবার পাল্টা কানাডা প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো আমেরিকার সব পণ্যে ২৫ শতাংশ শুল্ক (tariff) চাপানোর ঘোষণা করে। এরপরই মঙ্গলবার কানাডার উপর শুল্কের ঘোষণা স্থগিত করে দেন ট্রাম্প। তবে চিনের শুল্ক চাপানোর পরে কোনও প্রতিক্রিয়া দেয়নি আমেরিকা।

আবার ইতিমধ্যেই ইউরোপের (Europe) দেশগুলি থেকে গাড়ি, কৃষিদ্রব্য কেনা বন্ধ করারও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ট্রাম্প। এর ফলে ব্যাপক প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা ইংল্যান্ডের অর্থনীতিতে। যদিও ইংল্যান্ড প্রধানমন্ত্রী কিয়ের স্টার্মার (Keir Starmer) আমেরিকার সঙ্গে কোনও দ্বন্দ্বে যাওয়ার পথে যাবেন না বলেই জানিয়েছেন।

কার্যত ক্ষমতায় এসেই গোটা বিশ্বের অর্থনীতিকে আমেরিকার স্বার্থে যেভাবে পরখ করে দেখে নিতে চাইছেন ট্রাম্প, তাতে উথালপাথাল বড় অর্থশালী দেশগুলি। এই পরিস্থিতিতেই ভারতের বাজেট পেশ হয়েছে। বাজেট পেশের আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ভারতের অর্থনীতিতে বিদেশি প্রভাবের উল্লেখ করেছিলেন। যা আমেরিকা ও চিন দুই শক্তিধর দেশের উপরই অনেকাংশে নির্ভরশীল। দেশের অর্থনীতিবিদদের দাবি, গত একমাস ধরেই আমেরিকা ও চিনের অর্থনৈতিক দ্বন্দ্বের দিকে নজর রেখেছে ভারতীয় অর্থনীতিবিদরা। এই দ্বন্দ্বের ফলে ভারতের মধ্যে প্রতিযোগিতার মানসিকতা বাড়ার সম্ভাবনা দেখেছেন অর্থনীতিবিদরা। তবে সব থেকে উল্লেখযোগ্য, আমেরিকা (USA) ও চিনের (China) বাজারে চাপ পড়ার ফলে ভারতের ইলেক্ট্রনিক্স, ওষুধ, বস্ত্রশিল্প, গাড়ির যন্ত্রাংশ ও কেমিক্যাল দ্রব্যের বাজার খুলতে পারে। সেক্ষেত্রে বাজেটে জিএসটি সংক্রান্ত ঘোষণা যেভাবে স্থগিত রেখেছেন নির্মলা সীতারমন, তা এই দ্রব্যগুলির চাহিদার উপর নজর রেখেই ঘোষণা করা হতে পারে।

Related articles

গ্রুপ সি ও ডি নিয়োগে অযোগ্যদের তালিকা প্রকাশ করল এসএসসি

রাজ্যের স্কুল সার্ভিস কমিশন (এসএসসি) গ্রুপ সি ও গ্রুপ ডি পদে অযোগ্য প্রার্থীদের তালিকা প্রকাশ করল। কমিশনের প্রকাশিত...

তিন জেলায় চলবে নজরদারি! এসআইআর পরিদর্শনে আসছে কমিশনের বিশেষ দল

ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধনী (এসআইআর) প্রক্রিয়া চলাকালীন রাজ্যে আসছে নির্বাচন কমিশনের বিশেষ পরিদর্শক দল। কমিশন সূত্রে জানা...

এসআইআর চলাকালীন এলাকায় থাকতে হবে মন্ত্রীদের, কড়া নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর

রাজ্যজুড়ে মঙ্গলবার থেকে শুরু হচ্ছে ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধনী প্রক্রিয়া (এসআইআর)। এই প্রক্রিয়ায় বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটারদের...

বিশ্বকাপ জিতেই মোটা অঙ্কের আর্থিক পুরস্কার, আয়ে পলাশকে কতটা টেক্কা দিলেন স্মৃতি?

বিশ্বকাপ জিতেই বিয়ের পিঁড়িতে বসার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন স্মৃতি মান্ধানা (Smriti Mandhana) । আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই জীবনের দ্বিতীয় ইনিংস...
Exit mobile version