মস্করার রাজনীতি এবার বন্ধ হোক

রবিবার আরজি কর হাসপাতালে ঢুকে বিশৃঙ্খলা তৈরির চেষ্টা। এর পিছনে কিছু বাম-অতিবাম-সহ বিরোধী দলের লোকেরা। দাবি, আরজি কর হাসপাতালের ভিতর মিছিল নিয়ে তাদের ঢুকতে দিতে হবে। সেখানে চিকিৎসক কম, রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীদের ভিড় বেশি। কিছু কমরেড, রামরেড চোখে পড়েছে।

এ এক অদ্ভূত আবদার। সকলকে ঢুকতে দিতে হবে। প্রোগ্রাম করবে। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। কারা চেয়েছিল? যারা ঢুকতে চেয়েছে তারাই চেয়েছিল। কেন্দ্রীয় বাহিনী বাধা দিয়েছে। তাই নিয়ে নাটক টিভি-ক্যামেরার সামনে। এক শ্রেণির মিডিয়ার ন্যক্কারজনক ভূমিকা। তারা বলছে, কেন বাধা? ভাবখানা এই রকম, গেট খুলে দেওয়া হবে, আর তারা হইহই করে ঢুকবে! কোন আন্দোলনকারী? ক’জন ডাক্তার রয়েছেন? ৭০ শতাংশ লোক বাইরের, শূন্যয় নেমে আসা কয়েকটি রাজনৈতিক দলের কর্মী। নকশাল, কংগ্রেস, বিজেপিকে ঢুকতে দিতে হবে? কোন দোষ করেছে বাহিনী বা পুলিশ? তারা তো ঠিক কাজ করেছেন। বলছে বিচার চাই। কীসের বিচার? কলকাতা পুলিশ গ্রেফতার করেছিল ধর্ষক-খুনি সঞ্জয় রাইকে। সিবিআই তার তদন্তে তাকে মান্যতা দিয়েছে। ট্রায়াল কোর্টে বিচার হয়েছে। সাজা হয়েছে। যাবজ্জীবন হয়েছে। রাজ্য ফাঁসি চেয়েছে। সুপ্রিম কোর্ট মনিটর করছে। এগুলো বিচার নয়? বিচার ছিনিয়ে আনব! উত্তেজনা তৈরির চেষ্টা? বিচারকে গুলিয়ে দেওয়ার চেষ্টা? কোর্ট তো সাজা দিয়েছে। রাজ্য ফাঁসি চেয়েছে। তখন বলা হচ্ছে ফাঁসি চাই না। এটা কোন ধরনের মস্করা? মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করা হচ্ছে। মানুষের আবেগ নিয়ে ধান্দাবাজি করা হচ্ছে। নিজেদের রাজনৈতিক অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে এই মস্করার রাজনীতি এবার বন্ধ হোক। মানুষ নাটক দেখতে চাইছেন না।

আরও পড়ুন- কেতুগ্রামে বোমা বিস্ফোরণ! কেঁপে উঠল এলাকা, উড়ে গেল শৌচালয়

_

 

_

 

_

 

_

 

_

 

_

 

_

 

_

 

_