এবার থেকে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে রান্নার জন্য শুধুমাত্র এলপিজি ব্যবহার করতে হবে

এবার থেকে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে রান্নার জন্য শুধুমাত্র এলপিজি ব্যবহার করা যাবে। সম্প্রতি বালুরঘাটে এক অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীর কাঠের উনুন থেকে আগুন লেগে দগ্ধ হয়ে মৃত্যুর ঘটনার প্রেক্ষিতে রাজ্য সরকার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। রাজ্যের নারী,শিশু ও সমাজ কল্যাণ মন্ত্রী শশী পাঁজা জানিয়েছেন ,নিজস্ব রান্নাঘর আছে এমন অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রগুলিতে প্রথমে কাজ শুরু হয়েছে। রাজ্যে এরকম ৮১ হাজার ৩২১ টি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র আছে, যেখানে এলপিজি কানেকশন দিতে মোট খরচ হবে ৩৭ কোটি ৮১ লক্ষ ৪২ হাজার ৬৫০ টাকা। বর্তমানে রাজ্যের অধিকাংশ অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে এই এলপিজি কানেকশন দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে। আগামী আর্থিক বছরেই গোটা রাজ্যে সব অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে এই এলপিজি কানেকশনের কাজ শেষ করা হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।
প্রসঙ্গত গত ৭ ফেব্রুয়ারি, বালুরঘাট রুরাল এলাকার একটি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে রান্নার সময় ঘটে যায় এক ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড। ১৮ বছর ধরে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে কর্মরত এক ৫৫ বছর বয়সী কর্মী কাঠের উনুনে রান্না করার সময় আচমকা তাঁর কাপড়ে আগুন লেগে যায়। আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে, এবং তিনি অগ্নিদগ্ধ হন। সেইসময় মাঠে কাজ করা এক কৃষক ঘটনাটি দেখতে পান এবং তৎক্ষণাৎ তাঁকে উদ্ধার করতে ছুটে আসেন। তবে শেষ রক্ষা হয় না। ওই কর্মীর মুখ বাদে শরীরের অন্যান্য অংশ আগুনে গুরুতরভাবে ঝলসে যায়। দ্রুত তাকে খাসপুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়, কিন্তু অবস্থার অবনতি হলে সেখান থেকে স্থানান্তরিত করা হয় বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে। দীর্ঘ লড়াইয়ের পর, সেখানেই ওই কর্মীর মৃত্যু হয়।

অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে এর আগে কখনও এমন মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটেনি। এই দুঃখজনক ঘটনার পর জেলা প্রশাসন শোক প্রকাশ করেছে এবং মৃত কর্মীর পরিবারকে দু’লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ঘোষণা করা হয়েছে।