দিল্লির নির্বাচনে ক্ষমতা ধরে রাখতে পারেনি অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আম আদমি পার্টি (AAP)। ২৬ বছর পরে জয় পেয়েছে বিজেপি। এই নিয়ে বৃহস্পতিবার, সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বিজেপিকে তীব্র আক্রমণ করেন তৃণমূলের (TMC) সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। একই সঙ্গে আপের ব্যর্থতাও তুলে ধরেন তৃণমূল সাংসদ। তাঁর কথায়, ”বিজেপি মানুষকে ভুল বোঝাতে সিদ্ধহস্ত। এখন বিজেপি দিল্লিবাসীকে বুঝিয়েছে, কেজরিওয়াল ২০১২-১৩ সাল থেকে ছিল কিন্তু কিছু করেনি। আম আদমি পার্টির লোক পিছিয়ে থেকেছে কারণ ভুয়ো প্রচারকে কাউন্টার করতে পারিনি। তারও কারণ, একটা নির্বাচিত সরকারকে কাজ করতেই দেওয়া হয়নি।” বাংলায় জোট নিয়ে তৃণমূল সুপ্রিমোর সুরেই অভিষেক বলেন, “দিদি তো বলেই দিয়েছেন। আমরা তো আগের নির্বাচনগুলো একাই লড়েছি। একা লড়ে আমরা ভালো ফল করেছি। আগামী নির্বাচনও একাই লড়ব।”

দিল্লির নির্বাচন (Assembly Election) নিয়ে অভিষেক বলেন, ”বিজেপির একটা বিশেষ ব্যাপার হল, BJP মানুষকে ভুল বোঝাতে সিদ্ধহস্ত। এখন বিজেপি দিল্লিবাসীকে বুঝিয়েছে, কেজরীওয়াল ২০১২-১৩ সাল থেকে ছিল কিন্তু কিছু করেনি। আম আদমি পার্টির লোক পিছিয়ে থেকেছে কারণ ভুয়ো প্রচারকে কাউন্টার করতে পারিনি। তারও কারণ, একটা নির্বাচিত সরকারকে কাজ করতেই দেওয়া হয়নি।” দিল্লিবাসীকে সঠিক তথ্য দিতে না পারা আপের ব্যর্থতা বলে মনে করেন অভিষেক।

বাংলার বিধানসভা নির্বাচনে (Assembly Election) জোট প্রসঙ্গে তৃণমূল সভানেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েই দিয়েছেন, তৃণমূল একা লড়বে। এই প্রসঙ্গে অভিষককে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “দিদি তো বলেই দিয়েছেন। আমরা তো আগের নির্বাচনগুলো একাই লড়েছি। একা লড়ে আমরা ভালো ফল করেছি। আগামী নির্বাচনও একাই লড়ব।” তাঁর কথায়, ”আমি মনে করি, একা লড়ো, একসঙ্গে লড়ো, মানুষ যদি আপনার সঙ্গে থাকে, তাহলে জিতব। যেমন উদাহরণ বাংলা। আমরা তো এখানে একাই লড়েছি, একাই জিতেছি।”
আরও খবর: ভোট দিলে লাড্ডু, না দিলে বঞ্চনা: কেন্দ্রের বাজেটকে ধুয়ে বাংলার BJP সাংসদদের নিশানা অভিষেকের

২০২৬-এর বিধানসভা নির্বাচনে বাংলা বিশাল ব্যবধানে জয়ের দাবি করছে বিজেপি। এই দাবিকে তীব্র কটাক্ষ করে অভিষেক বলেন, দিল্লির বিধানসভা ভোট জেতার পর রাজ্য বিজেপি দাবি করেছে, তারা বিপুল ভোটে জিতে রাজ্যে ক্ষমতায় আসবে। গেরুয়া শিবিরকে কটাক্ষ করে অভিষেক বলেন, “বিজেপি তো ‘২১ বিধানসভা ভোটেও বলেছিল তারা বাংলাতে ২০০-র বেশি আসন পাবে। লোকসভা নির্বাচনেও বলেছিল ৩০টি আসন জিতবে। দেশের মধ্যে বাংলাতে সবচেয়ে ভালো ফল করবে এমন কথাও শোনা গিয়েছিল। কিন্তু তাদের আসন সংখ্যা ১৮ থেকে নেমে ১২ হয়েছে। মুখে বলা ও করে দেখানোর মধ্যে বিস্তর পার্থক্য রয়েছে। ওরা ২৯৪ আসনের মধ্যে ২৯৪টিই জিতবে বলতেই পারে।”
–

–

–

–

–

–

–
