ব্রাত্য বসু, মন্ত্রী

প্রতুল মুখোপাধ্যায়। আমাদের প্রতুলদা চলে গেলেন। কিন্তু তিনি অমর। যতদিন বাংলা গান থাকবে, বাঙালির গান থাকবে- ততদিন প্রতুলদা বেঁচে থাকবেন।
প্রতুলদাকে (Patul Maukharjee) যখন প্রথম দেখি তখন আমি কলেজের ফার্স্ট ইয়ারে পড়ি। ডিরোজিও হল, তখন বেকার হল ছিল সেখানে গান গাইতে আসতেন। তাঁর গানের অন্যতম বৈশিষ্ট্য ছিল, তিনি কোনও যন্ত্রানুষঙ্গ নিতেন না। একবার আমারই একটি অনুষ্ঠানে এই বিষয়ে তাঁকে জিজ্ঞাসা করলে প্রতুলদা বলেন, পাখি যে গান গায়, তার কি কোনও মিউজিক লাগে! এটাই ছিলেন প্রতুলদা। প্রকৃত রূপ-রস-গন্ধ-মাটি-বাংলা মাখা এক সহজ জীবন ছিল তাঁর।

প্রতুলদার একটা নির্দিষ্ট রাজনৈতিক কমিটমেন্ট ছিল। অসম্ভব ভালবাসতেন, নির্ভর করতেন, স্নেহ করতেন আমাদের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তাঁর চিকিৎসার সব ব্যয়ভার বহন করেছে আমাদের সরকার। কিন্তু তার থেকেও বড় কথা হল প্রতুলদা এত বড় শিল্পী হয়েও মা-মাটি-মানুষের পাশে থেকেছেন। নানা ভাবে আমি তাঁকে দেখেছি- কখনও নন্দীগ্রামে, কখনও সিঙ্গুরে, কখনও সরকার তৈরি হওয়ার পরে। সরকারে বিভিন্ন জনমূখী প্রকল্পের প্রচারে।

২০০৯-১০ সালে ২১ ফেব্রুয়ারি ভাষা দিবস উপলক্ষ্যে দেশপ্রিয় পার্ক অনুষ্ঠানের সূচনা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই অনুষ্ঠানে প্রতুল দা গাইতেন। এবার ভাষা দিবস-এ আমরা আর শুনতে পাব না- “আমি বাংলায় গান গাই…. আমি বাংলার গান গাই”। আমাদের প্রাণের মানুষ চলে গেলেন। তবে, প্রতুলদা অমর। যতদিন বাংলার গান, বাঙালির গান থাকবে, ততদিন তিনি বেঁচে থাকবেন।

–

–

–

–

–

–

–
