মিথ্যাচার! তথ্য তুলে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীকে কড়া জবাব মুখ্যমন্ত্রীর

তিনি মনে করিয়ে দেন, বাংলার বাড়ি (Banglar Bari), গ্রামীণ সড়ক, আর একশো দিনের কাজে (MGNREGA) দেশে বাংলা ছিল প্রথম পরপর পাঁচবার

কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের আমলে বারবার একাধিক প্রকল্পে বাংলাকে বঞ্চনার অভিযোগ সংসদ পর্যন্ত গড়িয়েছে। আর সেই অভিযোগ কতটা সত্যি তা তৃণমূল নেতৃত্বের প্রশ্নের উত্তরে কেন্দ্রের স্বৈরাচারী শাসকের নীরবতায় স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। শেষ পর্যন্ত লোকসভায় (Loksabha) দাঁড়িয়ে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন (Nirmala Sitharaman) সাফাই দিতে বাংলাকে বদনামের পথ বেছে নিয়েছেন। রাজ্য বিধানসভায় দাঁড়িয়ে তারই কড়া জবাব মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee)। তারপরেও কেন্দ্রের বঞ্চনায় কখনও ‘ভিক্ষা’ করবেন না বলেও স্পষ্ট করে দেন মুখ্যমন্ত্রী।

পুরোনো পরিসংখ্যান তুলে ধরেই লোকসভায় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন (Nirmala Sitharaman) বাংলায় প্রকল্পে বরাদ্দ বন্ধে যুক্তি দিয়েছিলেন। সেই পরিসংখ্যানই রাজ্য বিধানসভায় তুলে ধরেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি মনে করিয়ে দেন, বাংলার বাড়ি (Banglar Bari), গ্রামীণ সড়ক, আর একশো দিনের কাজে (MGNREGA) দেশে বাংলা ছিল প্রথম পরপর পাঁচবার। এরপরই কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের চক্রান্তের পর্দাফাঁস করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, তাই হিংসুটিরা দেখল আরে বাংলার নাম তো আগে এসেছে। বাংলা যদি থাকে তাহলে আমার ডবল ইঞ্জিন সরকার ত্রিপল ইঞ্জিন সরকারের কী হবে।

যে জবকার্ডে (job card) অস্বচ্ছতা নিয়ে নির্মলা সীতারমন প্রশ্ন তুলেছিলেন সেখানেই মুখ্যমন্ত্রীর কড়া জবাব, নির্মলাদেবী কত বড় মিথ্যাচার করলেন। এখানে না কি জবকার্ড ভুয়ো ছিল। সেই সঙ্গে পরিসংখ্যান তুলে ধরেন, বাংলার প্রশাসন আগেই সার্ভে করে আগেই পাঁচ হাজারের কাছাকাছি জবকার্ড বাদ দিয়ে দিয়েছিল। তারপরেও ১৫৩টি কার্ড নিয়ে রাজনীতি করেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী।

সেখানেই বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর প্রশ্ন, বাংলা থেকে সার্ভে (survey) করে জবকার্ডের (job card) বিষয়টি সংশোধন করা হলেও কেন বাংলাকে ভুয়ো বললেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। সেইসঙ্গে তাঁর প্রশ্ন, তারপরেও কেন বাংলার প্রকল্পের টাকা আটকে রইল। তবে বাংলাকে বঞ্চনা করে যদি কেন্দ্রের সরকার ভেবে থাকে বাংলা তাঁদের সামনে ভিক্ষা করবে, তা হওয়ার নয়, তাও এদিন বুঝিয়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি স্পষ্ট বলেন, ভিক্ষে কেন চাইব। আমি চাই ভিক্ষা যেন কেউ না আনে, সসম্মানের সঙ্গে বাঁচে।

এমনকি রাজ্যের টাকায় প্রকল্প শুরু করে কেন্দ্রের ভোটে জেতার পর্দাও এদিন বিধানসভায় (assembly) দাঁড়িয়ে ফাঁস করে দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রকল্পের নাম নিয়ে যে আক্রমণ নির্মলা সীতারমন করেছিলেন তার পাল্টা মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, কেন্দ্রের নাম রাখলে খুব সুবিধা। লোকসভায় লোকের সামনে বলবে। ৯০ শতাংশ রাজ্যের আর ১০ শতাংশ কেন্দ্রের ঢুকিয়ে দিয়ে ভোট নিয়ে চলে যাবে। বাংলায় যে নাম জলস্বপ্ন সেই নামই থাকবে।