আরজি কর আন্দোলনের টাকার হিসেব চাইতেই গায়েব জুনিয়র ডাক্তারদের ওয়েবসাইট

কলকাতার আরজি কর হাসপাতালে (RG Kar Medical College and Hospital) চিকিৎসক তরুণীর সঙ্গে ঘটে যাওয়া নির্মম ঘটনায় সাধারণ মানুষের আবেগকে কাজে লাগিয়ে ‘প্রতিবাদী’ আন্দোলনের নামে নিজেদের স্বার্থ চরিতার্থ করতে পরিকল্পিতভাবে কোটি কোটি টাকা তোলার পর গায়েব হয়ে গেল জুনিয়র ডাক্তারদের (WBJDF) ‘অফিসিয়াল’ ওয়েবসাইট! জাস্টিসের দাবিতে কর্মবিরতির নামে হাজার হাজার মানুষকে চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত করা, পোস্টমর্টেমকে ছাড়পত্র দেওয়ার পর আবার সেই রিপোর্ট নিয়েই প্রশ্ন তোলা জুনিয়র ডাক্তারবাবুদের হঠাৎ করে মহাশূন্যে বিলীন হতে হল কেন? কয়েক কোটি টাকা দুর্নীতির আঁচ সকলেই পেয়েছিলেন। বিশেষ করে প্রোগ্রেসিভ হেলথ অ্যাসোসিয়েশন (PHA) আসার পর থেকেই জুনিয়র ডাক্তারদের আর্থিক অনিয়ম ও তাঁদের কর্মকাণ্ড নিয়ে একের পর এক প্রশ্ন তুলেছে। যার কোনও সদুত্তর নেই জেডিএফের (WBJDF) কাছে। ফলে এই পেজ গায়েব হওয়ারই ছিল। বক্তব্য পিএইচএ-র সম্পাদক করবী বড়ালের। এক কথায় দ্রোহের চিটফান্ড থেকে তো আর টাকা আসবে না, তাই তিলোত্তমাকে শিখণ্ডী করে গোটা বিষয়টাকে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা প্রতিবাদের নামে রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করা ডাক্তারবাবুদের।

আরজি কর আন্দোলনের নামে পরিকল্পনা করে টাকা তোলা হয়েছিল। যার কোনও হিসেব দেওয়া হয়নি। টাকার উৎস ও ব্যবহারের প্রশ্নে সঠিক উত্তর তো দিতেই পারেননি ডাক্তার বাবুরা, এবার হঠাৎ জুনিয়র ডক্টর্স ফ্রন্টের ওয়েবসাইটিও গায়েব হয়ে গেল। সেটির কোনও অস্তিত্ব এখন আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। ক্রাউড ফান্ডিংয়ের নামে বেশ কয়েকটি অ্যাকাউন্টে কোটি কোটি টাকা ঢুকেছে। জেডিএফের হর্তা¬কর্তা-বিধাতারা সেই অ্যাকাউন্ট দেখভাল করত। ফলে যা ইচ্ছে তাই হয়েছে। কেউ প্রশ্ন করতে গেলেই ধমকে থামিয়ে দেওয়া হয়েছে। এবার এক-এক করে কুকীর্তি সামনে আসছে। তাই ওয়েবপেজ না সরালে বিপদ আরও দ্রুত ঘনিয়ে আসতে পারে তা আঁচ করেই গায়েব করে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু ওয়েবপেজ গায়েব করে কি আর অপরাধ ধামাচাপা দেওয়া যায়! ইতিমধ্যেই পুলিশের নজরে এসেছে গোটা বিষয়টি। তাঁরা নিজেদের মতো করে খোঁজখবর করছে। একটা সময় মিডিয়ার সামনে বলা হয়েছিল, নির্যাতিতার পরিবারকে সাহায্য, আইনি লড়াই ও আন্দোলন করতে এই টাকা ব্যবহার করা হবে। কার্যক্ষেত্রে জুনিয়র ডাক্তারদের অ্যাসোসিয়েশন এর কোনওটাই করেনি। শুধুমাত্র নিজেদের স্বার্থে সেই টাকার ব্যবহার হয়েছে। নয়ছয়ও হয়েছে। যার কোনও হিসেব নেই, অডিট নেই। ফলে এবার পেজটাই ভ্যানিশ!