ফের মিথ্যাচার বিরোধী দলনেতার। বাংলার মা-মাটি-মানুষের সরকারের উন্নয়ন পরিকল্পনায় কুলকিনারা না পেয়ে আবার একবার কুৎসার রাজনীতিকেই বেছে নিয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তাঁর সেই মিথ্যাচারের মুখোশ ফের একবার টেনে খুলে দিল তৃণমূল। বীরভূমের দেউচা-পাঁচামি (Deocha-Pachami) নিয়ে তিনি যে অপপ্রচার শুরু করেছিলেন, তৃণমূলের তদন্তে সেই নোংরা রাজনীতির পর্দা ফাঁস হয়ে গেল। সামনে এল প্রকৃত সত্য।

সম্প্রতি দেউচা-পাঁচামিতে শুরু হয়েছে ব্যাসল্ট (basalt) উত্তোলনের কাজ। ভারতের বৃহত্তম কয়লা খনিকে (coal block) ঘিরে বিপুল কর্মসংস্থানের জোয়ার আসতে চলেছে বাংলায়। তৃণমূল সরকারের এই সাফল্যে ঈর্ষাকাতর হয়ে কুৎসা ও মিথ্যাচারের রাজনীতিকে অবলম্বন করে বিজেপি। দেউচা-পাঁচামি নিয়ে গদ্দার অধিকারী বিধানসভায় সাংবাদিক সম্মেলন করে বীরভূমের (Birbhum) মূলনিবাসী মানুষ বলে যাদের পরিচয় দিয়েছিলেন, তাঁরা আসলে উত্তর চব্বিশ পরগনার ব্যারাকপুরের (North 24 Parganas) বাসিন্দা। ব্যারাকপুরের মানুষকে বীরভূমের বাসিন্দা বলে পরিচয় দিয়ে নোংরা রাজনীতি করতে নেমেছিলেন বিরোধী দলনেতা। তৃণমূল কংগ্রেস তাঁদের প্রকৃত পরিচয় সামনে এনে দিয়েছে।

যাদেরকে নিয়ে মিথ্যাচারের রাজনীতি করতে গিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari), তাঁদের একজন হলেন বীরেন হাঁসদা। আমডাঙার মড়িচা গ্রাম পঞ্চায়েতের বাসিন্দা। পেশায় স্কুল শিক্ষক। দ্বিতীয় জন হলেন আনন্দ বেসরা। উত্তর ২৪ পরগনার (North 24 Parganas) বীজপুরের কাঁচরাপাড়া নিউ কলোনির বাসিন্দা। বিধানসভায় সাংবাদিক বৈঠকে অর্জুন সিংয়ের (Arjun Singh) পাশে যে মহিলাটিকে দেখা গিয়েছিল, তিনি বীরেনের স্ত্রী। বীরেন হরবাটি পশরডাঙ্গা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চাকরি করেন। তা আমডাঙাতেই অবস্থিত। এইসব বহিরাগতদের নিয়ে গিয়ে দেউচা-পাঁচামি (Deoacha Pachami) নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করেছেন বিরোধী দলনেতা।

তৃণমূল সাংসদ সামিরুল ইসলাম (Samirul Islam) তাঁর টিম নিয়ে বিষয়টি খতিয়ে দেখেন। তখনই এই চক্রান্তটি সামনে আসে। সামিরুল দলকে বিস্তারিত জানিয়েছেন। তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই সত্য তুলে ধরেন। একই সঙ্গে ফাঁস করে দেন শুভেন্দুর মিথ্যাচার। তৃণমূলের সঙ্গে রাজনীতিতে এঁটে উঠতে না পেরে বারবার মিথ্যাচার আর কুৎসার রাজনীতি করতে গিয়ে পচা শামুকে পা কাটছে বিরোধী দলনেতার। তবুও তাঁর শিক্ষা হচ্ছে না। তৃণমূলের তদন্তে আবারও একবার তাঁর মুখ পুড়ল।
–

–

–

–

–

–
