২৪ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও উদ্ধার হয়নি কেউ: শ্রীশৈলমে সুড়ঙ্গ বিপর্যয়ে নামল সেনা

১৪ কিমি এলাকায় ধ্বস নামায় আট শ্রমিক সেখানেই আটকে পড়ে। শনিবার রাতেই উদ্ধার কাজ শুরু হলেও সমস্যা তৈরি করে কৃষ্ণা নদীর (Krishna river) জল

তেলেঙ্গানার শ্রীশৈলমে (Srisailam) সুড়ঙ্গ বিপর্যয়ে ২৪ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি আটকে পড়া আট শ্রমিককে। এমনকি তাঁদের জীবিত থাকার খবরও দিতে পারেনি প্রশাসন। ইতিমধ্যেই এনডিআরএফ-এর (NDRF) পাশাপাশি ভারতীয় সেনাকেও (Indian Army) নামানো হয়েছে উদ্ধারের কাজে। তবে সুড়ঙ্গে জমে থাকা জলে কাজ যে আরও কঠিন হয়েছে তা বলাই বাহুল্য। কিন্তু ১৪ কিমি ভিতরে আটকে পড়া শ্রমিকদের পরিবারকে আরও কতক্ষণ উৎকণ্ঠার সঙ্গে অপেক্ষা করতে হবে তা এখনও জানাতে পারছে না উদ্ধারকারীরা।

শ্রীশৈলমে এসএলবিসি (SLBC) সুড়ঙ্গে শনিবার আচমকা ধ্বস নামে। তড়িঘড়ি উদ্ধার করে আনা হয় ৪৩ জন শ্রমিককে। কিন্তু ১৪ কিমি এলাকায় ধ্বস নামায় আট শ্রমিক সেখানেই আটকে পড়ে। শনিবার রাতেই উদ্ধার কাজ শুরু হলেও সমস্যা তৈরি করে কৃষ্ণা নদীর (Krishna river) জল। এই বাঁধ কৃষ্ণানদীর জল পার্শ্ববর্তী নালগোন্ডা জেলায় জল পাঠানোর জন্যই তৈরি হচ্ছিল। ফলে জলের উপস্থিতি এখানে অবশ্যম্ভাবী। আর সেখানেই প্রাথমিক উদ্ধার কাজ আটকে যায়।

প্রাথমিকভাবে জল বের করার কাজ শুরু করে সুড়ঙ্গের (tunnel) মধ্যে প্রয়োজনীয় বাতাস চলাচলের পথ তৈরির কাজ করা হয়। দিন কয়েক আগেই এই ড্যামের দুরবস্থা নিয়ে কেন্দ্রকে জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী রেবন্ত রেড্ডি (Revant Reddy)। স্বাভাবিকভাবেই দুর্ঘটনার পরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি রেবন্তকে উদ্ধারে যাবতীয় সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দেন। সেই মতো এনডিআরএফ-এর (NDRF) তিনটি দল উদ্ধারে হাত লাগায়।

রবিবার সকাল থেকে ১৩ কিমি সুড়ঙ্গের (tunnel) কাছে শুরু হয় ধ্বসে আটকে যাওয়া পাহাড়ের ভাঙা অংশ সরানোর কাজ। যদিও দূরত্বের কারণে কাজ অত্যন্ত ধীর গতিতে করতে বাধ্য হয় এনডিআরএফ কর্মী ও ভারতীয় সেনা। তবে রবিবার বিকাল পর্যন্ত বোঝা সম্ভব হয়নি ধ্বসে আটকে পড়া অংশে জল ঢুকেছে কি না। বা আটকে পড়া আট শ্রমিক জীবিত রয়েছেন কি না। জানা গিয়েছে আটকে পড়া আটজনের মধ্যে যেমন শ্রমিক রয়েছেন তেমনই রয়েছেন ইঞ্জিনিয়াররাও। অনেকে ভিন রাজ্যের বলেও জানা গিয়েছে।