মুখে বারবার সুশাসনের কথা বলে বিজেপি। যে সব রাজ্যে বিজেপির সরকার ক্ষমতায় আছে সেখানে বাস্তবে ‘রামরাজ্য’ চলছে, দাবি করেন ছোট বড় বিজেপির সর্বস্তরের নেতারা। তাদের এই দাবি যে কতখানি ভুয়ো তার প্রমাণ মিলেছে উত্তরপ্রদেশের সরকারি সূত্রে প্রাপ্ত তথ্যে। এই সূত্রের দাবি, রাজধানী লখনৌ সহ উত্তরপ্রদেশের বিভিন্ন প্রান্তে অত্যন্ত খারাপ গুণমানের জিনিসপত্র দিয়ে তৈরি হাজার হাজার সরকারি ফ্ল্যাট বিক্রি হচ্ছে না। বারবার বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে বিজ্ঞাপন দিয়েও এই ফ্ল্যাট গুলির কোনও ক্রেতা খুঁজে পাচ্ছে না উত্তরপ্রদেশ সরকার। এর জেরই বিরাট আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছে যোগী আদিত্যনাথের নেতৃত্বাধীন উত্তরপ্রদেশ সরকার। ফ্ল্যাট তৈরির পিছনে বিনিয়োগ করা সরকারি কোষাগারে শত শত কোটি টাকা উঠবে কি করে, তা অনিশ্চিত বুঝতে পেরেই চূড়ান্ত ব্যাকফুটে যোগী সরকার। কিভাবে পরিস্থিতির মোকাবিলা করা যাবে, তা ভেবে কূল কিনারা মিলছে না কিছুতেই। যে সব সরকারি আবাসন তৈরিতে খারাপ নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে, সেখানে সরকারি তদন্তকারী দল পাঠানোর পরে দেখা গিয়েছে অভিযোগ সত্য৷ এর পরেই বেড়েছে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব ক্ষতির আশঙ্কা।

উত্তরপ্রদেশের সরকারি সূত্রের দাবি, যে সব সরকারি আবাসনের ফ্ল্যাট অবিক্রিত হয়ে পড়ে আছে তার মধ্যে লখনৌ ডেভেলপমেন্ট অথরিটির ফ্ল্যাটের সংখ্যা প্রায় ২০০০। উত্তরপ্রদেশ হাউজিং বোর্ডের আওতায় নির্মিত অবিক্রিত সরকারি ফ্ল্যাটের সংখ্যা ১১৫০০-র বেশি। একইরকমভাবে লখনৌ উন্নয়ন পর্ষদের উদ্যোগে নির্মিত অবিক্রিত সরকারি ফ্ল্যাটের সংখ্যা ১৪০০-র বেশি। রাজধানী দিল্লি লাগোয়া গাজিয়াবাদে ফ্ল্যাট ও জমির দাম মারাত্মক বেশি। সেখানেও তুলনামূলক কম দামে কেউ উত্তরপ্রদেশ সরকারের তৈরি ফ্ল্যাট কিনতে নারাজ। এর জেরেই গাজিয়াবাদে সরকারি উদ্যোগে তৈরি হওয়ার পরে আছে অবিক্রিত ৩৭১৯টি ফ্ল্যাট। মেরঠ এক্সপ্রেসওয়ের ধারে অবিক্রিত সরকারি ফ্ল্যাটের সংখ্যা ১৪৮৮।

আরও পড়ুন- প্রবল গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব! জেলা কার্যালয়ে তালা ঝোলানোয় শ্রীরামপুরে সাসপেন্ড ৫ বিজেপি নেতা

_
_

_

_

_

_

_

_
