মহাকুম্ভ নিয়ে মহাযাঁকজমক। তার জেরে কোটি টাকার ব্যবসা। বিনিময়ে নিরপরাধ বহু পুন্যার্থীর প্রাণ গিয়েছে প্রয়াগরাজে। তারপরেও কী মহাকুম্ভে (Mahakumbh) মানুষের বিশ্বাসের মর্যাদা দেওয়া হয়েছে। যে ১৪৪ বছর পরে মহাকুম্ভ ঘিরে এত আয়োজন, তা নিয়ে বিশেষজ্ঞদের মতামত চেয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার মুখ্যমন্ত্রীর সেই দাবিকে কার্যত মান্যতা দিলেন শঙ্করাচার্য অভিমুক্তেশ্বরানন্দ সরস্বতী (Shankaracharya Avimukteshwaranand)। তাঁর দাবি এখন ‘সরকারি কুম্ভ’ চালাচ্ছে যোগি প্রশাসন। পুণ্যার্থীদের বিশ্বাস নিয়ে ডবল ইঞ্জিন সরকারের ছিনিমিনি খেলার পর্দা ফাঁস করলেন তিনি।

মহাকুম্ভ (Mahakumbh) নিয়ে এর আগে যোগী রাজ্যের প্রশাসনিক ব্যর্থতা নিয়ে তোপ দেগেছিলেন শঙ্করাচার্য অভিমুক্তেশ্বরানন্দ (Shankaracharya Avimukteshwaranand)। মানুষের মৃত্যুতে তিনি ডাবল ইঞ্জিন প্রশাসনের ব্যর্থতাকে দায়ী করেছিলেন। এবার বুধবার শেষ হওয়া মহাকুম্ভকে সরকারি মহাকুম্ভ বলে দাবি করলেন। তিনি জানান প্রকৃত কুম্ভ মাঘ মাসেই শেষ হয়ে গিয়েছে।

একটা দীর্ঘ সময় ধরে মহা কুম্ভের আয়োজন করে ভিড় বাড়ানো ও বিশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ করতে না পারার সাক্ষী থেকেছে গোটা দেশ। সেই আয়োজনে যোগী প্রশাসন ও বিজেপির প্রোপাগান্ডার মুখোশ খুললেন শংকরাচার্য অভিমুক্তেশ্বরানন্দ। তিনি বলেন, আগের পূর্ণিমাতেই মহাকুম্ভ (Mahakumbh) শেষ হয়ে গিয়েছে। যা এখন চলছে তা সরকারি কুম্ভ। প্রকৃত কুম্ভ মাঘ (Magh) মাসেই হয়। মাঘ মাসের পূর্ণিমা (new moon) পেরোতেই কুম্ভে (Mahakumbh) উপস্থিত কল্পবাসীরা বিদায় নিয়েছেন। অথচ বুধবার পর্যন্ত প্রয়াগরাজের ভিড় দেখিয়ে ব্যবসা করেছে যোগী প্রশাসন। সেখানেই প্রশ্ন উঠেছে এত লম্বা সময় ধরে তবে কী মানুষের বিশ্বাসের সঙ্গে খেলেছেন যোগী আদিত্যনাথ।

–
–

–

–

–

–

–
