আবেদন-নিবেদনের শেষ নেই। ১৪ দিনের টানাপোড়েন শেষে অবশেষে ভিসার আবেদন মঞ্জুর। শুক্রবার সকালে নীলম শিন্ডের বাবা ও ভাইয়ের ভিসার আবেদন মঞ্জুর করল মার্কিন(AMERICA) দূতাবাস।আমেরিকায় পড়তে গিয়ে দুর্ঘটনায় পড়েন নীলম। মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন ক্যালিফোর্নিয়া স্টেট ইউনিভার্সিটির ছাত্রী। ক্যালিফোর্নিয়ার হাসপাতালেই চিকিৎসাধীন কোমায় চলে যাওয়া নীলম। তার কাছে পৌঁছতে ভিসার আবেদন করেও অনুমোদন পাচ্ছিলেন না অসহায় বাবা ও ভাই।শেষ পর্যন্ত এনসিপি সাংসদ সুপ্রিয়া সুলের আবেদন এবং মহারাষ্ট্র সরকারের হস্তক্ষেপে কাটে প্রাথমিক জট। শুক্রবার সকালেই ভিসা ইন্টারভিউয়ের জন্য ডাক পেয়েছিলেন নীলমের বাবা ও ভাই। সেখানেই তাদের ভিসার অনুমোদন দেয় মার্কিন দূতাবাস।

নীলমের বাবা তানাজি শিন্ডে ভিসা পাওয়ার পর কেন্দ্রের সঙ্গে মহারাষ্ট্র(MAHARASHTRA) সরকার, সুপ্রিয়া সুলে ও মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবীশকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। শনিবার ভোরেই ক্যালিফোর্নিয়া যাচ্ছেন নীলমের বাবা ও দাদা। একইসঙ্গে তানাজি জানিয়েছেন, আমেরিকা যেতে ও মেয়ের চিকিৎসার জন্য ৬ লাখ টাকা লোন নিয়েছেন তিনি। এখন মেয়েকে সুস্থ করে তোলাই তার লক্ষ্য।ক্যালিফোর্নিয়া স্টেট ইউনিভার্সিটিতে পড়তে গিয়েছিলেন বছর পঁয়ত্রিশের নীলম শিন্ডে। বিদেশে মেয়ের সঙ্গে যে এমন কাণ্ড হতে পারে তা স্বপ্নেও ভাবেনি পরিবার। গত ১৪ ফেব্রুয়ারি রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময়ে আচমকা একটি গাড়ি তাকে ধাক্কা মারে। তীব্র গতিতে থাকা সেই গাড়ির ধাক্কায় প্রায় ৪০ ফুট দূরে ছিটকে পড়ে গুরুতর আঘাত পান ওই ভারতীয় তরুণী। মাথায়, বুকে গভীর চোটের সঙ্গে ভেঙে যায় হাত ও পায়ের হাড়। চোটের কারণে ব্রেনে একটি জরুরি সার্জারির প্রয়োজন ছিল। বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে দুর্ঘটনার খবর পায় পরিবার। তাদেরই মধ্যস্থতায় সাতারা থেকে ফোনে নীলমের বাবার মৌখিক আশ্বাস পেয়ে সার্জারি করে হাসপাতাল। সার্জারির পর থেকেই কোমায় রয়েছেন ভারতীয় তরুণী।


দুর্ঘটনার খবর পেয়ে নীলমের কাছে পৌঁছনোর জন্য ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ভিসার অ্যাপয়েন্টমেন্টের চেষ্টা শুরু করেন নীলমের বাবা তানাজি শিন্ডে ও তার দাদা। কিন্তু লাভ হয় না কোনও। ১৬ ফেব্রুয়ারি মার্কিন ভিসার আবেদন করেছিলেন বাবা–দাদা। ১০ দিন পেরিয়ে গেলেও মেলেনি অ্যাপয়েন্টমেন্ট। মেডিক্যাল ইমার্জেন্সিতে জরুরি ভিত্তিতে ভিসার ব্যবস্থা থাকলেও সেই সুবিধা পাননি নীলম শিন্ডের পরিবার বলে অভিযোগ। ভিসার ডেট দেখাচ্ছিল পরের বছর বলে জানিয়েছিলেন নীলমের কাকা।

অসহায় পরিবারের কথা জানতে পেরে এক্স হ্যান্ডলে লেখেন এনসিপি নেত্রী সুপ্রিয়া সুলে। এর পরই মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবীশের দফতর থেকে হস্তক্ষেপ করা হয়। মহারাষ্ট্র প্রশাসনের তরফে যোগাযোগ করা হয় বিদেশ মন্ত্রকের সঙ্গেও। সেখান থেকেই ইউএস প্রশাসনের কাছে যায় আর্জি।সান ফ্রান্সিসকোর ভারতীয় কনসুলেটও গোটা ঘটনা নিয়ে পোস্ট করে এক্স হ্যান্ডেলে। নীলমের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে সবরকম সাহায্যের বার্তা দেওয়া হয় সেখানে। তার পরই এদিন সকালে ভিসা ইন্টারভিউয়ের ডাক পান নীলমের পরিবার।


–

–

–

–

–

–

–
