মধ্যমগ্রাম-খুনে ফাল্গুনীর ‘প্রেমিকের’ উপস্থিতি খতিয়ে দেখছে পুলিশ

মধ্যমগ্রামে প্রৌঢ়া খুনে এবার অভিযুক্ত ফাল্গুনী ঘোষের প্রেমিকের কথা উঠল। মধ্যমগ্রামের বীরেশপল্লির বাড়িতে মা আরতি ঘোষের সঙ্গে থাকতেন ফাল্গুনী ঘোষ (Falguni Ghosh)। সেখানেই পিসিশাশুড়ি সুমিতা ঘোষকে (Sumita Ghosh) মাথা থেঁতলে খুনের অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে। এতদিন দুই মহিলাকেই এই ঘটনায় জড়িত বলে সন্দেহ ছিল। এবার তৃতীয় ব্যক্তির সন্ধান মিলল। ওই ব্যক্তির সঙ্গে অভিযুক্ত ফাল্গুনীর বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল বলে স্থানীয় সূত্রে খবর।

ফাল্গুনীর স্বামী শুভঙ্কর ঘোষ থাকেন শিলিগুড়িতে (Siliguri)। মধ্যমগ্রামে বীরেশপল্লির বাড়িতে মায়ের সঙ্গে ভাড়া থাকতেন ফাল্গুনী। প্রতিবেশীদের সঙ্গে কোনও সখ্যতা তাঁর ছিল না। উল্টে তাঁর বিরুদ্ধে গুচ্ছ অভিযোগ স্থানীয়দের। অভিযোগ, বচসার জেরে ইট দিয়ে থেঁতলে পিসিশাশুড়িকে খুন করে দেহ খণ্ড খণ্ড করে ট্রলি ব্যাগ ভরে কুমোরটুলির কাছে গঙ্গায় ফেলতে গিয়ে ধরা পড়ে যান মা-মেয়ে। মঙ্গলবারের ঘটনায় শুধু ফাল্গুনী-আরতি জড়িত বলে মনে করা হচ্ছিল। তবে খটকা ছিল, দুই মহিলার পক্ষে দেহ খণ্ড কারার বিষয় নিয়েও। জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার ভোরে একজন ভ্যানরিকশা ভাড়া করতে গিয়েছিলেন। ভ্যান চালককে জিজ্ঞাসাবাদ করে ওই ব্যক্তির কথা জানতে পারে পুলিশ (Police)। পরে এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ মিলিয়ে দেখা হয়। ট্রলি কেনা থেকে দেহ খণ্ড করা— সবেতেই মা-মেয়েকে সাহায্য করেছিলেন সেই যুবক। স্থানীয়দের দাবি, লোকটি মা-মেয়ের পূর্ব পরিচিত। তাঁর সঙ্গে ফাল্গুনীর বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল বলে অভিযোগ। সেই প্রেমিকের খোঁজে করছেন তদন্তকারীরা।

এদিকে ফাল্গুনীর স্বামী শুভঙ্করের অভিযোগ, তাঁর স্ত্রী অতিরিক্ত মদ্যপান করতেন। স্ত্রীর সঙ্গে বৈবাহিক একেবারেই ভালো ছিল না বলে জানিয়েছেন তিনি। ফাল্গুনীর জীবনযাত্রা নিয়ে বিস্তর অভিযোগ তাঁর।

ভ্যান চালকের (Van Driver) দাবি, মঙ্গলবার ভোরে একটি লোক তাঁর রিকশা ভাড়া করতে যান। বয়স আন্দাজ ৪০ থেকে ৪৫ বছর। আরতিদের বাড়িতে যাওয়ার কথা বলে তিনি চলে যান। জানান ভাড়া তাঁরাই দেবেন। বারাসতে পুলিশ (Police) জেলার সুপার প্রতীক্ষা ঝরখড়িয়া বলেন, তদন্ত প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। সন্দেহভাজনের তালিকায় বেশ কয়েকজন রয়েছেন। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। ভ্যান চালকের বয়ান অনুযায়ী ওই ব্যক্তি খোঁজ চলছে বলেও জানান পুলিশ সুপার।