সম্মুখ সমরে রাহুল – প্রীতি, কংগ্রেস নেতার বিরুদ্ধে আইনি পথে বলিউড অভিনেত্রী!

রাজনীতির ময়দানে পা ফেলতে না ফেলতেই বিতর্কের বাউন্সারে জর্জরিত প্রীতি জিন্টা (Preity Zinta)। নিউ ইন্ডিয়া কোঅপারেটিভ ব্যাঙ্ক থেকে নেওয়া অভিনেত্রীর ১৮ কোটি টাকার ঋণ মকুবের নেপথ্যে কি বিজেপি (BJP)প্রভাব! বলিউড নায়িকার এক্স হ্যান্ডল নাকি বিজেপি-র দ্বারা পরিচালিত জানার পরই কেরল কংগ্রেসের অফিশিয়ালের এক্স হ্যান্ডল থেকে প্রীতির বিরুদ্ধে এমনই অভিযোগ করা হয়েছে। তারকার ঘনিষ্ঠ মহল সূত্রে খবর এই গোটা বিষয়ে এতটাই চটেছেন প্রীতি যে এবার তিনি নাকি রাহুল গান্ধীর (Rahul Gandhi)বিরুদ্ধে মামলা করার পরিকল্পনা করছেন। কিন্তু এই খবরের সত্যতা কতটা। সমাজ মাধ্যমে অনুরাগীদের সঙ্গে কথোপকথনে সবটাই ফাঁস করলেন অভিনেত্রী।

‘লাহোর ১৯৪৭’ ছবির হাত ধরে অনেক বছর পর বড় পর্দায় প্রীতি জিন্টা। শাহরুখ-সইফ-সলমনদের একসময়ের লাস্যময়ী নায়িকা প্রচারের আলোয় থাকতেই কি সিনেমা মুক্তির আগে রাজনৈতিক বিতর্কে নিজেকে জড়িয়ে রাখার চেষ্টা করছেন? আপাতত এই প্রশ্ন ঘুরছে বলিউডের অন্দরে। এর পাশাপাশি আবার বিরাট কোহলির অনুরাগীকে অপমান করার অভিযোগও রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। অর্থাৎ একেবারে সাঁড়াশি চাপে নায়িকা। প্রীতি অবশ্য নিজের নিরপেক্ষ অবস্থান বজায় রেখে জানান, “অকারণে কাউকে অপমান করার পক্ষপাতী নই। কারণ, রাহুল গান্ধী সরাসরি আমাকে কিছু বলেননি বা সমাজমাধ্যমে লেখেননি। রাহুল গান্ধীর সঙ্গে কোনও সমস্যা নেই। তাঁকে শান্তিতে থাকতে দিন। আমিও শান্তিতে থাকি।” এখানেই শেষ নয় অভিনেত্রীর এক্স অ্যাকাউন্ট যে অন্য কেউ পরিচালনা করে না সেটাও তিনি স্পষ্ট করে দিয়েছেন।

অন্যদিকে, বিরাট কোহলির অনুরাগী হিসাবে পরিচিত জনৈক নেটাগরিক (এনার প্রোফাইলে বিরাটের ছবি) সমাজমাধ্যমে বলিউড নায়িকাকে তীব্র আক্রমণ করে লেখেন, “মুখের যা অবস্থা তাতে ‘লাহোর ১৯৪৭’ ছবিতে সুযোগ পাওয়ার কথা নয়। খুশি করে এই কাজ পেয়েছেন জিন্টা!” পাল্টা জবাব দিয়েছেন ‘কাল হো না হো’ গার্ল। লেখেন, “যাঁর নিজের মুখ দেখানোর সাহস নেই, খ্যাতনামীর ছবি ব্যবহার করেন, তিনি জবাবের যোগ্যই নন।” ব্যস, আবার চর্চা শুরু। এর মাঝে বিতর্কিত সেই নেট ব্যবহারকারী ডিপিতে বিরাটের ছবি বদলে অন্য ছবি আপডেট করেছেন। ফলে কিং কোহলির অনুরাগীরা অভিনেত্রীর মন্তব্যকে একহাত নিয়েছেন। বাকযুদ্ধ এতেই থেমে থাকেনি। নায়িকা এখানেও তাঁর নিজের যুক্তি তুলে ধরেছেন। ফলে রাজনীতি, খেলা, বিনোদন – এই তিন জগতেই চর্চার কেন্দ্রবিন্দু প্রীতি জিন্টা।