হুমকি দেওয়ার অভিযোগ। হাই কোর্টে দাঁড়িয়ে তৃণমূল সাংসদ তথা বর্ষীয়ান আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Kalyan Banerjee) কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইলেন তৃণমূল বিধায়ক রত্না চট্টোপাধ্যায় (Ratna Chatterjee)। আদালত সূত্রে খবর, বিচারপতির সামনে দাঁড়িয়ে নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়ে রত্না বলেন, “আবেগের বশে বলে ফেলেছি”।

দীর্ঘদিন ধরেই বেহালা পূর্বের তৃণমূল বিধায়ক রত্না চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা চলছে শোভনের। ডিভোর্স দিতে নারাজ রত্না। বিচ্ছেদের দাবিতে অনড় শোভন। এতদিন সে মামলা ছিল আলিপুর আদালতে। একাধিকবার রত্নার বিরুদ্ধে শুনানিতে ইচ্ছাকৃত দেরির অভিযোগ করেন শোভন চট্টোপাধ্যায় (Sobhan Chatterjee)। সম্প্রতি নিম্ন আদালতের একটি নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে হাই কোর্টের মামলা করেন রত্না। বুধবার বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের এজলাসে মামলার শুনানি হয়। সেখানেই শোভনের পক্ষে মামলা লড়েন কল্যাণ। শুক্রবার, বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের এজলাসে তৃণমূল বিধায়ক রত্না চট্টোপাধ্যায়ের (Ratna Chatterjee) বিরুদ্ধে প্রভাবশালী তত্ত্ব এনে শোভনকে অকারণ হয়রান করার অভিযোগ তোলেন কল্যাণ। রত্নার বিরুদ্ধে তাঁরই দেওয়া সাক্ষাৎকারের প্রসঙ্গ তুলে সওয়াল করেন শোভনের আইনজীবী। তুলে ধরনের দীর্ঘদিন ধরে শোভনের অসুবিধার কথাও। অভিযোগ, এর পর থেকেই তাঁকে হুমকি দেন বিধায়ক। শুক্রবার, সওয়াল করার পর থেকেই তিনি হুমকি শুনছেন বলে অভিযোগ শোভনের আইনজীবীর। শুধু তাই নয়, তাঁর কন্যার নামেও কুরুচিকর মন্তব্য করা হচ্ছে বলে অভিযোগ কল্যাণের।

সোমবার আদালতের উল্লেখপর্বে বিচারপতির দৃষ্টি আকর্ষণ করে কল্যাণ বলেন, “গত শুক্রবার রত্না চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে সওয়াল করেছি। তারপর থেকে তিনি প্রেস কনফারেন্স করে আমার নামে অসম্মানজনক মন্তব্য করছেন।” এর প্রেক্ষিতে শুক্রবার রত্নার কৈফিয়ত চান বিচারপতি হিরন্ময় ভট্টাচার্য। দুপুর ১টার মধ্যে রত্নার আইনজীবীকে তাঁর মক্কেলের বক্তব্য জানাতে বলা হয়।

আরও খবর: ধর্ষণের পর বাড়বে বাসস্ট্যান্ডে নিরাপত্তা! অপরাধী গ্রেফতারে দাবি ফাড়নবিশের


সেখানেই নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়ে নিয়েছেন রত্না। বিচারপতির সামনে বিধায়ক বলেন, “আবেগের বশে বলে ফেলেছি”। এই ধরনের মন্তব্য না করার জন্য তাঁকে সতর্কও করেছেন বিচারপতি।

–

–

–

–

–

–
