সল্টলেকের ১৪টি ওয়ার্ডের প্রায় ৩০ কিলোমিটার পথ সংস্কারের কাজ শুরু হচ্ছে। আগামী ৩ মার্চ পুরসভার ২৮ নম্বর ওয়ার্ডের নয়াপট্টিতে রাস্তা সংস্কার প্রকল্পের কাজ আনুষ্ঠানিক শুরু হবে। প্রকল্পের মোট ব্যয় ধরা হয়েছে কবমেশি ৩৭ কোটি টাকা। বিপুল এই অর্থ অনুমোদন দিয়েছে রাজ্য নগরোন্নয়ন ও কেএমডিএ৷

শুক্রবার সল্টলেকের ১৪টি ওয়ার্ডের কাউন্সিলরদের সঙ্গে বৈঠকের পর এই সংস্কারের কথা জানান বিধাননগরের বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী সুজিত বসু। মন্ত্রী বলেন, “দীর্ঘদিন সল্টলেকের রাস্তাঘাট সারাই হচ্ছে না৷ খারাপ অবস্থা৷ তা অস্বীকারের নয়৷ আগামী এক মাসে সেই পথের চেহারার ভোলবদল হতে চলেছে৷ সংযোজিত ২৮, ৩৫, ও ৩৬ সহ সল্টলেকে মোট ১৪টি ওয়ার্ডের বেহাল রাস্তার দ্রুত হাল ফিরবে৷ সেই কাজের জন্য ইতিমধ্যেই ২৫ কোটি টাকা অর্থ বরাদ্দ করেছে রাজ্য নগরোন্নয়ন দফতর৷ ইতিমধ্যেই প্রকল্পের দরপত্র প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে৷ আগামী সোমবার থেকে ১৪টি ওয়ার্ডে পথ মেরামতির কাজ শুভারম্ভ হচ্ছে৷

এছাড়াও সল্টলেকের মেইন ভাঙাচোরা পথগুলিরও দ্রুত হাল ফেরানো হচ্ছে৷ সেই প্রকল্পের কাজের জন্য অন্য একটি সরকারি সংস্থা থেকে বিপুল অনুমোদন হয়েছে৷ সল্টলেক শহরের মেইন রাস্তার মেরামতিতে ১২ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে কলকাতা মেট্রোপলিটন ডেভলপমেন্ট অথরিটি (কেএমডিএ৷ বিপুল সেই অর্থের প্রথম ধাপে সাড়ে চার কোটি টাকার দরপত্র ডাকার কাজ শেষ হয়েছে৷ বাকি টেন্ডার প্রক্রিয়া দ্রুত সম্পন্ন হবে বলে জানিয়েছেন পুর আধিকারিকেরা৷ মেয়র কৃষ্ণা চক্রবর্তী জানিয়েছেন, এবার রাস্তা মেরামতির কাজে আরও কড়া হচ্ছে পুরসভা৷ সংস্কার হওয়া প্রতিটি রাস্তার মেয়াদ ধরা হয়েছে পাঁচ বছর৷ এই সয়মকালে কোনও রাস্তার হাল খারাপ হলে, ঠিকাদারকে পুনরায় সারাই করে দিতে হবে৷ নিয়ম অমান্য করলে, প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারকে কালো তালিকাভুক্ত করার হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছেন মেয়র৷ রাস্তার পাশাপাশি পুর পরিষেবায় জল, আলো, জঞ্জাল প্রভৃতি ক্ষেত্রেও আমূল পরিবর্তন আসবে৷ এদিন সংবাদিক সম্মেলনের আগে পুরসভার রাস্তা নির্মাণের ঠিকাদার সংস্থাগুলিকে নিয়ে একটি বৈঠকও করেন সুজিত বসু৷

আরও পড়ুন- দুরারোগ্য ক্যানসারকেও হার মানিয়ে মঞ্চ মাতালেন পিউ-সৌরিকরা
_

_

_

_

_

_

_
