শীতেও ডেঙ্গি (Dengue) মাথা ব্যথার কারণ হয়েছে রাজ্য প্রশাসনের। শীত শেষে বৃষ্টি ও আবহাওয়ার বদলে ফের ডেঙ্গি সতর্কতা রাজ্যে। আসন্ন গরম ও বর্ষার আগে কীভাবে ডেঙ্গি রোখা যাবে, জরুরি বৈঠকে মুখ্যসচিব (Chief Secretary)। রাজ্যের স্বাস্থ্যসচিবকে (Health Secretary) নিয়ে সব জেলার জেলাশাসকদের সঙ্গে বৈঠক করে গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশ দেওয়া হল শুক্রবার। পর্যালোচনা করা হয় জেলাগুলির বর্তমান ডেঙ্গি ও তার চিকিৎসা পদ্ধতিও।

সব জেলাশাসক (district magistrate), কলকাতা পুরসভা সহ সংশ্লিষ্ট সব দফতরের সঙ্গে ডেঙ্গি মোকাবিলায় বৈঠক করলেন মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ (Manoj Pant)। উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগম সহ স্বাস্থ্য দফতরের কর্তারা। নবান্নে এই বৈঠকে জেলাশাসকরা (district magistrate) ভার্চুয়ালি উপস্থিত ছিলেন। মূলত জমা জল নিয়েই উদ্বেগ প্রকাশ করেন আধিকারিকরা। কোথাও জল জমে থাকছে কিনা তা দেখার জন্য বাড়ি বাড়ি গিয়ে সমীক্ষা করার কাজ ফের শুরু করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মশার লার্ভা মারার জন্য ড্রোনের (drone) ব্যবহারের কথাও বলা হয়েছে। ডেঙ্গি থেকে রেহাই পেতে সাধারণ মানুষকে সচেতন করার কাজও শুরু করার জন্য পঞ্চায়েত ও পুরসভাগুলিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

পাশাপাশি ডেঙ্গি চিকিৎসার জন্য জেলা থেকে শহরের সব হাসপাতালকে প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। গত দুমাসে রাজ্যে ডেঙ্গি (Dengue) আক্রান্তের সংখ্যা ৪০০ পেরিয়েছে। রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের রিপোর্টে নতুন বছরের সপ্তম সপ্তাহ বা ১৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত কলকাতা ও পার্শ্ববর্তী জেলাগুলিতে রোগের বাড়বাড়ন্ত দেখা যাচ্ছে। ওই রিপোর্ট অনুযায়ী রাজ্যে ডেঙ্গি সংক্রমণে এখন শীর্ষে রয়েছে হাওড়া (Howrah)। সেখানে আক্রান্তের সংখ্যা ৭০। ৫১ জন ডেঙ্গি আক্রান্ত নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে মুর্শিদাবাদ। তৃতীয় স্থানে রয়েছে কলকাতা লাগোয়া জেলা উত্তর ২৪ পরগনা। ওই জেলায় বর্তমানে ডেঙ্গি আক্রান্ত সংখ্যা ৪৫। চতুর্থ এবং পঞ্চম স্থানে রয়েছে যথাক্রমে পশ্চিম বর্ধমান এবং মালদহ । ওই দুই জেলার আক্রান্ত সংখ্যা যথাক্রমে ৩৬ এবং ৩৩।

–
–

–

–

–

–

–

–
