ট্যাংরায় একই পরিবারের তিন সদস্যকে খুন করেছেন ছোট ভাই প্রসূন দে। রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশনের উপদেষ্টাকে এমনই জানিয়েছেন বড় ভাই প্রণয় দের নাবালক ছেলে।বৃহস্পতিবার নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজে ট্যাংরাকাণ্ডে(tangra case) জখম নাবালকের সঙ্গে দেখা করেন রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশনের প্রতিনিধিরা। নাবালক আরও জানিয়েছে, তাকেও খুন করার চেষ্টা করেছিল কাকা। কিন্তু মরার অভিনয় করে প্রাণে বেঁচে গিয়েছে সে। নাবালকের বিস্ফোরক অভিযোগ, কাকা আমাকে চারবার খুনের চেষ্টা করেছিল। তবুও আমি মরিনি। জীবনে বড় হতে চাই।

শনিবার হাসপাতালের বেডে বসে পুলিশকে এমনটাই জানিয়েছে ট্যাংরার অভিজাত দে পরিবারের নাবালক। তার বক্তব্য, বাবা-কাকার ব্যবসার অবস্থা যে ভাল নয়, তা সে জানত। তার মা সুদেষ্ণা দে তাকে ভরসা করে অনেক কথা বলতেন। সেও বিভিন্ন ব্যাপারে মায়ের সঙ্গে আলোচনা করত। কিন্তু আত্মহত্যার পরিকল্পনা তাকে বা তার দিদিকে কখনও জানানো হয়নি।


সে জানিয়েছে, সে জানতে পেরেছিল বাবা-কাকা এবং মা ও কাকিমা একটা সমঝোতা করেছিল। কিন্তু শেষ বেলায় মা ও কাকিমা আত্মহত্যা করতে অস্বীকার করে। তখন কাকা জোর করে তাদের খুন করে। নাবালককেও মুখে বালিশ চাপা দিয়ে খুন করার চেষ্টা করেছিল কাকা। কিন্তু নাবালক যোগব্যায়াম করায় শ্বাস ধরে রাখতে পারে। কাকা মুখে বালিশ চেপে ধরলে শ্বাস বন্ধ করে মরার অভিনয় করে সে। ফলে কাকা তাকে ফেলে রেখে চলে যায়। কিছুক্ষণ পর দোতলায় উঠে দেখে মা-কাকিমা ও খুড়তুতো বোনের দেহ পড়ে রয়েছে। এর পর সে ছাদে গিয়ে দেখে বাবা ও কাকা আত্মহত্যার পরিকল্পনা করছে। তারও আত্মহত্যা করা উচিত বলে নাবালককে বোঝায় তারা। তাতে রাজিও হয়ে যায় নাবালক।

সে আরও জানিয়েছে, গভীর রাতে যখন তারা গাড়ি নিয়ে বেরোয় তখন প্রণয় ও প্রসূনের সিদ্ধান্ত বদলে যায়। নাবালককে হাসপাতালে ভর্তি হতে বলে দুই ভাই। কিন্তু নাবালক(minor) তাতে রাজি হয়নি। সে জানায়, তার ভালোবাসার সবাই মরে গিয়েছে। সে আর বেঁচে থেকে কী করবে? প্রসঙ্গত, গত ১৭ ফেব্রুয়ারি রাতে তার মা ও কাকিমা তার হাতে পায়েসের বাটি তুলে দেন। কাকা তাকে খেতে বলেন। পায়েস খাওয়ার সময় তার সন্দেহ হয় বলে পুলিশকে জানিয়েছে প্রতীপ। ওষুধ মেশানো পায়েস তাকে না জানিয়ে খাওয়ানো হয়েছিল। কাজেই প্রতীপের বক্তব্য, সেটাই তাকে খুনের প্রথম চেষ্টা।


–

–

–

–

–

–

–

–