ওয়েবকুপার বার্ষিক সাধারণ সভা ঘিরে শনিবার বেনজির অশান্তির সাক্ষী যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়।পড়ুয়াদের হামলার মুখে পড়তে হয় স্বয়ং শিক্ষামন্ত্রীকে। আহত হয়ে এসএসকেএমে প্রাথমিক চিকিৎসা করান ব্রাত্য বসু। এই পরিস্থিতির জন্য শিক্ষামন্ত্রী নিশানা করেন অতি-বাম ছাত্র সংগঠনগুলিকে। শ্রীরামপুরের তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় রবিবার বৈদ্যবাটিতে এক রক্তদান শিবিরের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসে সিপিএমকে হুঁশিয়ারি দিলেন। তিনি বলেন, শনিবার যাদবপুরে একটি অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রীকে ঘিরে ধরে গাড়ির মধ্যে ঠেলা, ধাক্কা মারা হল। এটা আবার কি ধরনের আচরণ? আপনার যদি কোনও ডিমান্ড থাকে তাহলে সেই ডিমান্ডটাকে অফিশিয়ালি জানাতে পারতেন। যেতে পারতেন। শিক্ষামন্ত্রী সেখানে গেছে বলে তার ওপর ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে? এটা আবার কি। বিগত সাত আট বছর ধরে দেখছি, যাদবপুরের বাম এবং অতিবাম- এরা এমন একটা কাজ করছে যাতে যাদবপুর ইউনিভার্সিটির বদনাম হচ্ছে। এর আগে দেখেছি র্যামগিংয়ের জন্য ছাত্র মৃত্যু হয়েছে। তার আগে আরও অনেক ঘটনা ঘটেছে। এই যাদবপুর ইউনিভার্সিটির বাম এবং অতি বামরা আরজি কর নিয়ে ধুন্ধুমার করেছিল। এরা সিপিএম। এরা সব গুন্ডামি ছাড়া আর কিছুই করতে জানে না।

শ্রীরামপুরের সাংসদ সিপিআইএম রাজ্য সম্পাদকের ‘নাটক’ মন্তব্য প্রসঙ্গে বলেন, মহম্মদ সেলিম মূলত একটি গুন্ডা দলের লোক। খুন ধর্ষণ এই সবে তিনি মাস্টার ছিলেন। এখনও খুঁজলে দেখা যাবে তার বুকে রক্তের দাগ লেগে আছে, এত খুন করেছে। এই সিপিএমের কাছে কোনও ভদ্রতাও পাবে না, সভ্যতাও পাবে না। সব জায়গাতেই শূন্য হয়ে যাচ্ছে। কোথাও কোনও গ্রহণযোগ্যতা নেই। অসভ্যতা করছে। আপনারা যদি ব্রাত্য বসুর মতো শিক্ষামন্ত্রীকে মারেন, তাহলে আপনাদের রাজ্য সম্মেলনে সবাই তো মার খেয়েই চলে যেত। কিন্তু আমরা এইসব করি না। এসব অসভ্যতা করবেন না। তাহলে কিন্তু আগামী দিনে আপনারাও মিছিল মিটিং করতে পারবেন না। আর যদি ভাবেন যাদবপুরে এসেছে বলে মস্তানি করে নেব, তাহলে পশ্চিমবঙ্গে আরও কিন্তু অনেক মাঠ খালি আছে। সেখানেও আমাদের ছেলেরা আছে। আপনাদের দাবি থাকতেই পারে, কিন্তু প্রত্যেকটা দাবি-দাওয়া পেশ করার একটা নির্দিষ্ট পদ্ধতি আছে।

কল্যাণের প্রশ্ন, অতি বাম ছাত্র সংগঠনের সদস্যরা কি মন্ত্রীর কাছে আগে থেকে কোনও এপয়েন্টমেন্ট চেয়েছিলেন? আমি রাস্তা দিয়ে একাই যাচ্ছি, হঠাৎ করে বিজেপি আর সিপিএমের লোকরা এসে যদি আমাকে বলে, এটা আপনাকে করতে হবে তাহলে সেটা কি সঠিক হবে? ক’দিন লাগবে একটা বিজেপির এমপি বা কোনও সিপিএমের নেতাকে রাস্তায় ধরে নিতে! এসব আমরা কেউ সহ্য করব না। এসব সহ্য করার জন্য আমরা আসিনি।

অতীতের বাম বিরোধী আন্দোলনের কথা মনে করিয়ে দিয়ে তৃণমূল সাংসদ বলেন, সিপিএমের বিরুদ্ধে আমরা অনেক আন্দোলন করে এসেছি। তখন অনেক মার খেয়েছি। মার খেয়েও দল করেছি। আমরা মমতা ব্যানার্জির নেতৃত্বে সিপিএমকে হটিয়েছি। পশ্চিমবাংলায় এমন কোনও জায়গা নেই, এমন কোনও পাড়া নেই, এমন কোনও গ্রাম নেই যেখানে সিপিএমের অত্যাচার হয়নি। কিন্তু সেই অত্যাচার আমরা সবাই মিলে রুখে দিয়েছি। তবে এরপর যদি এই ঘটনা আর দেখি রাজ্য জুড়ে তৃণমূল কংগ্রেস কিন্তু রুখে দাঁড়াবে।
সাংসদের চ্যালেঞ্জ, যাদবপুরে বাম, অতিবাম ওসব শক্তিশালী ছেলেমেয়েদের আমাদের দেখা আছে। নিজের পাড়ায় কুত্তাও রাজা হয়। বাইরে বেরিয়ে এসো দেখে নেব।
আরও পড়ুন- গাড়ি নিয়ে নতুন মিথ্যাচার SFI-এর, পর্দাফাঁস করলেন কুণাল

_

_

_

_

_

_
