যাদবপুরের ঘটনার নিন্দায় প্রতিবাদ কর্মসূচি ওয়েবকুপারের, দুপুরে এডুকেশনিস্ট ফোরামের সাংবাদিক সম্মেলন

শনিবার রাতেই বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে পুলিশ পিকেট বসানো হয়েছে। শিক্ষামন্ত্রীর উপর হামলা, সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুরের অভিযোগে একজনকে আটক করা হয়েছে বলে খবর।  

তৃণমূলের (TMC) অধ্যাপক সংগঠন ওয়েবকুপারের মিটিং-এ অংশ নিতে গিয়ে শনিবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে বাম ছাত্র সংগঠনের হামলার মুখে পড়তে হয় রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুকে (Bratya Basu)। তাঁর গাড়ি ভাঙচুর করার পাশাপাশি চাকার হাওয়া খুলে নেওয়ার ঘটনাও ঘটে। এসএফআইয়ের (SFI) গুন্ডাবাহিনীর হাত থেকে বেহাই পাননি অধ্যাপকরাও। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বর্বরোচিত এই ঘটনার নিন্দা করে আগামী ৪ মার্চ ওয়েবকুপারের (WBCUPA ) তরফে একটি প্রতিবাদ মিছিলের ডাক দেওয়া হয়েছে। এছাড়া রবিবার দুপুরে প্রেস ক্লাবে এডুকেশনিস্ট ফোরামের তরফে এক সাংবাদিক সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে। উপস্থিত থাকবেন ওমপ্রকাশ মিশ্র-সহ বিশিষ্ট শিক্ষাবিদরা।

শনিবার বিকেলে শিক্ষামন্ত্রীকে হেনস্থা করার পর রাত সাড়ে নটা নাগাদ তৃণমূল সমর্থিত কর্মী সংগঠন ‘শিক্ষাবন্ধু’র অফিসেও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। অভিযোগের আঙুল এসএফআই-এর দিকে। দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে দীর্ঘচেষ্টা পর দমকলের একটি ইঞ্জিন আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। TMCP- এর তরফ থেকে জানানো হয়েছে, বাম ছাত্র সংগঠনের গুন্ডাবাহিনী তাদের কার্যালয় ভাঙচুর চালাবার পর আগুন লাগিয়ে দেয়। এখানেই শেষ নয়, বিশ্ববিদ্যালয়ে হামলার ঘটনার পর আহতদের দেখতে কেপিসি হাসপাতালে গিয়ে হেনস্থার শিকার হন উপাচার্য ভাস্কর গুপ্ত (Bhaskar Gupta)। শনিবার সন্ধ্যায় তৃণমূলের ধিক্কার মিছিলে রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস (Arup Biswas) জানিয়েছিলেন যে, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় আজ গণতন্ত্র বলে কিছু নেই। যাঁরা শিক্ষামন্ত্রীর গায়ে হাত দেয় অধ্যাপকদের আক্রমণ করে তাঁরা আসলে গুন্ডা, এরা গণতন্ত্র মানে না। শনিবার রাতেই বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে পুলিশ পিকেট বসানো হয়েছে। শিক্ষামন্ত্রীর উপর হামলা, সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুরের অভিযোগে একজনকে আটক করা হয়েছে বলে খবর।