শনিবার উত্তাল হয়েছিল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। একদিকে মন্ত্রী ব্রাত্য বসুর সামনে বিক্ষোভ, গাড়িতে ভাঙচুর। আর অন্যদিকে শিক্ষামন্ত্রীর গাড়ির সামনে পড়ে গিয়ে আহত ছাত্র। দুজনেই বাম ছাত্র সংগঠনের সদস্য। একজন বেশি আহত। নাম ইন্দ্রানুজ রায়। তিনি আরএসএফের সদস্য বলে জানা গিয়েছে। আর অন্যজন অভিনব বসু। তিনি এসএফআইয়ের(sfi) সদস্য বলে। জানা গিয়েছে, এই অভিনব সাঁকরাইল ব্লক তৃণমূলের সভাপতির ছেলে। বাবা শুধু তৃণমূল করেনই না, নেতৃত্ব দেন দলকে। ওই ব্যক্তি জানিয়েছেন, আমার ছেলে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ে। এখন হস্টেলেই পড়াশোনা করছে। ছেলে আহত হয়েছেন বা আঘাত পেয়েছেন বলে তিনি মানতে চাননি।
এদিকে অভিনব জানান, বাবা তৃণমূল(trinamool) করেন। বাবা আমাকে নিয়ে কী বলেছেন জানি না। তবে আমি এসএফআই করি। বামপন্থী রাজনীতি দর্শনে বিশ্বাস করি। সক্রিয়ভাবে রাজনীতিটা করি। তিনি জানিয়েছেন ব্রাত্য বসুর গাড়ির ধাক্কায় তিনি আহত হননি। তার পায়ে ধাক্কা দিয়েছে ওমপ্রকাশ মিশ্রের গাড়ি।এদিকে সোমবার ছাত্র ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে এসএফআই।
এদিকে ফের যাদবপুরের(jadavpur) অন্দরে তৃণমূল শিক্ষাবন্ধু সমিতির অফিসে আগুন। একের পর এক ঘটনা।অমৃত বসু জানান, আমি গতকালই ফেসবুকে ঘটনার নিন্দা করেছি। যা হয়েছে তা মেনে নেওয়া যায় না। তবে হ্যাঁ, অভিনব আমার ছেলে। শুনেছি এসএফআই করে। কিন্তু ওর সঙ্গে আমার কোনও সম্পর্ক নেই। দীর্ঘদিন ধরে সে বাড়িছাড়া। নিজের স্কলারশিপের টাকায় নিজে পড়াশোনা করে। যাদবপুরেই থাকে। যাদবপুরে ভর্তি হলেই পড়ুয়াদের মগজধোলাই করা হয় বলেও তোপ দাগেন তিনি। এদিকে বাবার পরিচয় ব্যবহারে রাজি নন অভিনবও। তার সাফ কথা, দু’জনের রাজনৈতিক বিশ্বাস আলাদা। দু’জনই প্রাপ্ত বয়স্ক। বাবা তৃণমূল করতেই পারেন, কিন্তু আমি এসএফআইয়ের সদস্য।
–
–
–
–
–
–
–
–
–