এক্স হ্যান্ডেলে একটা পোস্ট ঘিরে যাবতীয় শোরগোল শুরু হয়েছিল। এক প্রশ্নের উত্তরে লক্ষ লক্ষ মানুষ কমেন্ট করেছিলেন। অ্যামাজনের কর্তা জেফ বেজোস (Jeff Bezos, Executive chairman of Amazon) সোশ্যাল মিডিয়ায় জানতে চেয়েছিলেন হলিউডের আগামী জেমস বন্ড (James Bond) হিসেবে কাকে দেখতে চান দর্শক? এরপরই ধনকুবেরের টাইমলাইনে একাধিক নামের বন্যা। তালিকায় জেমস নর্টন (James Norton) থেকে হেনরি কাভিল কিংবা ইদ্রিস এলবারা। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, নতুন ‘বন্ড’ খুঁজতে কেন আমজনতার দ্বারস্থ হতে হচ্ছে বিশ্বের দ্বিতীয় ধনী শ্রেষ্ঠকে? উত্তর লুকিয়ে বিলিয়ন ডলারের ডিলে।

জেমস বন্ড ফ্র্যাঞ্চাইজির ক্রিয়েটিভ রাইটস কিনেছে অ্যামাজন। তার পরই নতুন করে পর্দায় ০০৭-কে ফেরাতে উদ্যোগী হয়েছেন ধনকুবের বিলিয়নেয়ার।২০২১ সালে ‘নো টাইম টু ডাই’ (No time to die) ছবিতে ব্রিটিশ অভিনেতা ড্যানিয়েল ক্রেগের হাত ধরে পর্দায় শেষবারের মতো বন্ড এসেছিল।গত বছর হলিউডের MGM (মেট্রো গোল্ডউইন মেয়ার) স্টুডিয়োর মালিকানাও রেকর্ড অঙ্কে কিনে নেওয়ার পর থেকেই জেফ ০০৭-কে নতুনভাবে দর্শকের কাছে ফেরাতে উদ্যোগী হয়েছেন। কিন্তু এভাবে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে আইকনিক চরিত্রের অভিনেতা খোঁজার বিষয়টা ভালো চোখে দেখছেন না অনেকেই। অতীতের ‘বন্ড গার্ল’ ভ্যালেরি লিওন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছেন, ‘অ্যামাজন দায়িত্ব নিয়েছে মানে জেমস বন্ড আর ব্রিটিশ রইল না।’ ছয়ের দশকে ইয়ান ফ্লেমিংয়ের জেমস বন্ডকে বড়পর্দায় নিয়ে এসেছিলেন ব্রিটিশ-আমেরিকান দুই প্রযোজক অ্যালবার্ট ব্রকোলি ও মাইকেল জি উইলসন। প্রথমবার পর্দায় জেমস বন্ড হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন স্কটিশ অভিনেতার শন কোনারি। চ্যালেঞ্জিং এই চরিত্রে অভিনয়ের জন্য হাপিত্যেশ করে বসে থাকেন বড় বড় অভিনেতারা। অ্যামাজনের হাত ধরে এবার হিজ ম্যাজেস্টির সার্ভিস থেকে দুনিয়া কাঁপানো গুপ্তচরের মালিক কীভাবে আর কোন রূপে বড় পর্দায় ফেরেন তা নিয়ে আগ্রহ বাড়ছে।

–

–
–

–

–

–

–

–

–

–