মধ্যমগ্রামে পিসিশাশুড়ি খুনের ঘটনায় চাঞ্চল্যকর মোড় (Trolly Bag Madhyamgram)! আরও একটি ট্রলির খোঁজ পেল পুলিশ। অভিযুক্ত ফাল্গুনী ঘোষ ও তার মা পুলিশি জেরায় শিকার করেছে এই ট্রলির কথা। বারাসাত আদালতে তোলা হলে সাতদিনের পুলিশি হেফাজত হয় তাদের। প্রাথমিক জিজ্ঞেসাবাদের পর মিলেছে দ্বিতীয় ট্রলির সন্ধান। বুধবারই ঘটনার পুনর্নির্মাণ করা হয়েছিল। ঘটনাস্থলে নিয়ে আসা হয়েছিল ফাল্গুনী ও আরতিকে। জেরার মুখে অভিযুক্তরা জানায়, খুনের জন্য হাতুড়ি, বঁটি এবং ছুরি ব্যবহার করা হয়েছিল। তাতে করেই রক্তমাখা শাড়ি ফেলা হয়। ঘটনার পুনর্নির্মাণের সময় তারা জানায়, কোথায় খুনের অস্ত্র ফেলা হয়েছে। অভিযুক্তদের নির্দেশে পুকুরে নামে ডুবুরি। উদ্ধার হয় হাতুড়ি ও বঁটি। এখনও ছুরি উদ্ধার হয়নি।

মঙ্গলবার সকালে অভিযুক্ত ফাল্গুনী ঘোষদের বাড়ির কাছে এক পুকুর থেকে ওই অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে। একই সঙ্গে সন্ধান পাওয়া গিয়েছে একটি হাতুড়ি এবং দা-র, যা খুনে ব্যবহার করা হয়ে থাকতে পারে বলে অনুমান তদন্তকারীদের।মঙ্গলবার সকাল থেকে ধৃতদের বাড়ির কাছে একটি পুকুরে তল্লাশি চালিয়ে খুনে ব্যবহৃত বঁটিটি উদ্ধার হয়েছে। সঙ্গে একটি রক্তমাখা বিছানার চাদরও পাওয়া গিয়েছে। পাশাপাশি, তল্লাশি করতে গিয়ে একই পুকুর থেকে উদ্ধার হয়েছে হাতুড়ি আর দা-ও। তবে ধৃতদের বক্তব্য, তারা দা আর হাতুড়ি ফেলেননি।সবটাই তদন্ত করে দেখছে পুলিশ।

সোমবারই ট্রলি-কাণ্ডে উঠে এসেছিল নতুন তথ্য। মধ্যমগ্রামে(MADHYAMGRAM) এলাকার সিসিটিভি ফুটেজে(CCTV FOOTAGE) তদন্তকারীরা লাল রঙের আরও একটি ট্রলি দেখতে পান অভিযুক্তদের হাতে। অথচ নীল রঙের বড় একটি ট্রলিতে পিসিশাশুড়ির দেহ কেটে ঢুকিয়েছিলেন ফাল্গুনীরা। তখনই জেরায় জানা যায়, একটি নয়, দু’টি ট্রলি ছিল। তদন্তকারীদের অনুমান, ওই ট্রলি ব্যাগে সুমিতার জামাকাপড় এবং অন্যান্য ব্যবহার্য সামগ্রী থাকতে পারে। ধৃতদের জেরায় জানা গিয়েছে, বড় ট্রলিতে সুমিতার দেহ ভরে গঙ্গায় ফেলতে যাওয়ার আগে দ্বিতীয় ট্রলিটি নিয়ে বেরিয়েছিলেন তারা। তার পর ট্রলিটি পুকুরে ফেলে দিয়েছিলেন।

–
–

–

–

–

–

–

–

–