বাংলা মডেল: পুলিশ সুপার ধৃতিমানের দেখানো পথে ড্রোন উড়িয়ে ‘ধর্ষক’ ধরল মহারাষ্ট্র পুলিশ

পথ দেখিয়েছিল বাংলাই। সেই পথ ধরেই অভিযুক্ত ধরেছে মহারাষ্ট্র পুলিশ (Maharastra Police)। পুনের সরকারি বাসস্ট্যান্ডে ধর্ষণের ঘটনায় মুখ পুড়েছিল ডাবল ইঞ্জিন সরকারের। সেই অপরাধীকে ধরতে ৭৫ ঘণ্টা লাগিয়ে দিয়েছে মহারাষ্ট্র পুলিশ। শেষ পশ্চিম মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার ধৃতিমান সরকার (Dritiman Sarkar) দেখানো পথে ড্রোন (Drone) উড়িয়ে ধর্ষকের সন্ধান পায় মহারাষ্ট্রের পুলিশ।

ধর্ষণের পর থেকেই বাড়ির কাছের আখ ক্ষেতে গা ঢাকা দেয় অভিযুক্ত। কিন্তু সেখানে তার হদিশ করতে পারছিল না পুলিশ। সেই সময় ডাকাত ধরতে ধৃতিমান সরকারের তদন্তের পদ্ধতি অনুসরণ করে তারা। তাতেই মেলে সাফল্য।

২০২৩-এ খড়্গপুর গোলবাজারের একটি গয়নার দোকানে ডাকাতির চেষ্টা। গুলিবিদ্ধ হন দোকান মালিক আশিসকুমার দত্ত। গুলি চালিয়ে পালায় ডাকাতদল। সেই ঘটনার সিসি ক্যামেরার ফুটেজও প্রকাশিত হয়। কলকাতা-মুম্বই ৬ নম্বর জাতীয় সড়ক ধরে লোধাশুলির দিকে রওনা দেয় দুষ্কৃতীরা। খড়্গপুর টাউন থানার পুলিশ তাদের পিছু নেয়।

পুলিশ তাড়া করেছে বুঝতে পেরে জাতীয় সড়ক ছেড়ে গোপীবল্লভপুর হয়ে ওড়িশার দিকে রওনা দেয় ডাকাত দল। রান্টুয়া এলাকায় দুষ্কৃতীদের গাড়ি আটকায় পুলিশ। গাড়ি ছেড়ে নেমে ৫ ডাকাত ছুটে শুরু করে। ঢুকে পড়ে ধান ক্ষেতে। সেই সব ডাকাতদলের অবস্থান জানতে বেলিয়াবেড়া থানার বালিয়া এলাকায় ড্রোন (Drone) ওড়ানোর সিদ্ধান্ত নেন ধৃতিমান সরকার। পশ্চিম মেদিনীপুরের পুলিশ সুপারের জানান, ড্রোন উড়িয়ে ওই ডাকাতির ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতার করেন তাঁরা। উদ্ধার হয় আগ্নেয়াস্ত্রও। তাঁর কথায়, “অপরাধী ধরার ক্ষেত্রে এই কৌশল আমাদের খুব কাজে লাগে। তার পরেও আমরা এই ভাবে বেশ কয়েক বার অপরাধী ধরেছি।“ অন্য রাজ্য তাঁর দেখানো পথ অনুসরণ করছে জেনে ভাল লাগছে বলে জানান ধৃতিমান। রাজ্য পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃতিমানদের ড্রোন-উদ্যোগকে পুরস্কৃত করার প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে।
আর খবর: জরুরি কাজ থাকায় ‘ভূতুড়ে ভোটার পর্যালোচনা’ বৈঠকে অনুপস্থিত অভিষেক, নেই ডেরেকও

ড্রোন ব্যবহার করে অপরাধী ধরার কাজ দেশের মধ্যে ধৃতিমান সরকাররাই প্রথম হাতেকলমে করে দেখান। ধৃতিমান সরকারের নেতৃত্বাধীন সেই অভিযানের পথ ধরে বিজেপি-জোটশাসিত মহারাষ্ট্র সরকার। তাতেই মেলে সাফল্য। আখ ক্ষেত থেকে ধরা যায় ধর্ষককে।