ভোটার তালিকার ‘ভূত ধরতে’ ডবল স্ক্রুটিনি, জেলায় জেলায় তৃণমূলের কোর কমিটি

দলনেত্রীর নির্দেশিত পথে হেঁটে এবার ভোটার তালিকা পরিষ্কার করতে জেলায় জেলায় কোর কমিটি গড়ে দিল তৃণমূলের রাজ্য কমিটি। বৃহস্পতিবার, তৃণমূল (TMC) ভবনের বৈঠকে ভোটার তালিকার ‘ভূত ধরতে’ ডবল স্ক্রুটিনির নির্দেশ দিয়েছেন তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব। জেলায় জেলায় গড়ে দেওয়া হয়েছে কোর কমিটি (Core Committee)।

২৭ ফেব্রুয়ারি নেতাজি ইনডোর স্টেডিয়ামের মেগা সভা থেকে ভূতুড়ে ভোটার নিয়ে সতর্ক করেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। তাঁর অভিযোগ ‘ভূতুড়ে’ ভোটার দিয়ে বাংলা দখলের খেলায় নেমেছে বিজেপি। ভোটার লিস্ট পরিষ্কার করতে কমিটি গড়ে দেন তৃণমূল সুপ্রিমো। সুব্রত বক্সির নেতৃত্বে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ ৩৬ নেতা-নেত্রীকে নিয়ে তৈরি হয় নয়া কোর কমিটি (Core Committee)। তৃণমূল সভানেত্রী জানান, সাত দিনের মধ্যে প্রতিটি ব্লকে কোর কমিটি গঠন করা হবে। যারা রাজ্য কমিটিকে রিপোর্ট দেবে।

সেই মতো এদিন বৈঠকে বসেন সুব্রত বক্সি, ফিরহাদ হাকিম, অরূপ বিশ্বাসরা। বৈঠক থেকে ডবল স্ক্রুটিনির নির্দেশ দেওয়া হয়। ভোটার হেল্প লাইন অ্যাপ থেকে একবার খতিয়ে দেখতে হবে। এর পরে বাড়ি বাড়ি গিয়ে খতিয়ে দেখতে হবে।
বুথ কর্মীদের নির্দেশ-
১. ভোটার হেল্প লাইন অ্যাপ থেকে একবার খতিয়ে দেখুন
২. বাড়ি বাড়ি গিয়ে খতিয়ে দেখুন

বৈঠকে নির্দেশ দেওয়া হয়,
• এ রাজ্যে ভোট দেওয়ার অধিকারী নন এমন নামগুলিকে আলাদা করে নথিভুক্ত করতে হবে।
• একই এপিক নাম্বারে আলাদা আলাদা নাম থাকলে সেটাকে পৃথকভাবে নথিভুক্ত করতে হবে
• ২০২৫ এর ভোটার তালিকার বিধানসভা ভিত্তিক প্রত্যেকটি বুথের প্রতিটি পার্টে ভোটারদের সঙ্গে যোগাযোগের মাধ্যমে স্ক্রুটিনি করতে হবে। একই সঙ্গে ভোটার তালিকার সত্যতা যাচাই করতে হবে
• অন্যায় বা অযাচিতভাবে ভোটার তালিকা থেকে যে সমস্ত নাম বাদ গিয়েছে সেগুলিকে ফের নথিভুক্ত করতে হবে
• অনলাইনে আবেদনের মাধ্যমে যে সমস্ত ভোটারের নাম নথিভুক্ত হয়েছে সেগুলিকে বিশেষ নজরদারি করতে হবে

এদিন বৈঠক থেকে জেলা ভিত্তিক কোর কমিটি তৈরি করে দেওয়া হয়।
প্রত্যেক জেলায় কোর কমিটিতে থাকবেন-
সাংগঠনিক জেলার সভাপতি, চেয়ারম্যান, বিধায়ক, সাংসদ, জেলার শাখা সংগঠনের সভাপতি, ব্লক আর টাউনের সভাপতিরা, জেলা পরিষদের সভাধিপতি, সহ সভাধিপতি, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি, পুরসভার চেয়ারম্যানরা।

৩৬ জনকে বিভিন্ন জেলার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এক এক জন একাধিক জেলা দেখবেন। ৩-৪ জন করে একটা জেলাতে রাখা হয়েছে। তাঁরা ওই জেলার কমিটির সঙ্গে যোগাযোগ রাখবেন। সেই সঙ্গে তৃণমূল ভবনে রিপোর্ট করবে।