বাংলাদেশের রোহিঙ্গা-ক্যাম্পে অর্থ সাহায্য কমালো রাষ্ট্রসঙ্ঘ: ট্রাম্পের বরাদ্দ কমানোর প্রভাব

রাষ্ট্রসঙ্ঘ (United Nations) বাংলাদেশের রোহিঙ্গা (Rohinga) ক্যাম্পে প্রত্যেক রোহিঙ্গার মাথা পিছু ১২.৫০ ডলার প্রতি মাসে বরাদ্দ করত। মূলত তাদের খাবারের জন্যই

বাংলাদেশে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বছরের পর বছর পালিত হচ্ছেন মায়ানমারের ‘পলাতক’ রোহিঙ্গারা (Rohinga)। বাংলাদেশ (Bangladesh) প্রশাসনের আদৌ সেই বিপুল পরিমাণ বিদেশী বহনের ক্ষমতা ছিল না যদি না রাষ্ট্রসঙ্ঘ (United Nations) সাহায্য না করত। তবে এবার সেই প্রতিবেশী পালনে কোপ রাষ্ট্রসঙ্ঘের। ছেঁটে ফেলা হল অর্ধেকের বেশি বরাদ্দ। ফেব্রুয়ারিতে গোটা বিশ্বে দান খয়রাতি কমাতে রাষ্ট্রসঙ্ঘের ঘাড়ে কোপ ফেলেছিলেন আমেরিকার রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump)। তারপর যে যে খাতে খরচ কমাচ্ছে রাষ্ট্রসঙ্ঘ, তার মধ্যে এবার পড়ল বাংলাদেশও।

এতদিন রাষ্ট্রসঙ্ঘ (United Nations) বাংলাদেশের রোহিঙ্গা (Rohinga) ক্যাম্পে প্রত্যেক রোহিঙ্গার মাথা পিছু ১২.৫০ ডলার প্রতি মাসে বরাদ্দ করত। মূলত তাদের খাবারের জন্যই এই অর্থ বরাদ্দ হত। এই মাস থেকে সেই বরাদ্দ কমিয়ে ৬ ডলার মাথাপিছু করে দেওয়া হল। অর্থাৎ মাসিক বরাদ্দে প্রত্যেক শরনার্থীর জন্য ৬.৫০ ডলার করে কমিয়ে দেওয়া হল।

রাষ্ট্রসঙ্ঘের (United Nations) পক্ষ থেকে আর্থিক সংস্থান কমে যাওয়ায় এই বরাদ্দ কমানোর দাবি করা হয়েছে। পর্যাপ্ত দান না পাওয়ায় বরাদ্দ কমানোর কথা চিঠিতে জানিয়েছে তারা। রাষ্ট্রসঙ্ঘ গোটা বিশ্বে খাদ্য সঙ্কটের সঙ্গে মোকাবিলা করার জন্য ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রাম (WFP) চালায়। যা মূলত দানের অর্থের উপর নির্ভরশীল। তবে এখানে অর্ধেকের বেশি অর্থ যোগান দিত আমেরিকা। ২০২৪ সালে ৪.৪ বিলিয়ন ডলার সাহায্য পেয়েছিল ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রাম আমেরিকার থেকে।

আমেরিকার রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প রাষ্ট্রসঙ্ঘকে অর্থ সাহায্য কমিয়ে দেওয়ার ঘোষণা করার পরে রাষ্ট্রসঙ্ঘের পক্ষ থেকে জানানো হয়নি তাদের সাহায্য কতটা কমানো হয়েছে। তবে এরপরেই দক্ষিণ আফ্রিকায় (Southern Africa) বন্ধ হয়ে গিয়েছে ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রামের দফতর। এবার কোপ পড়ল বাংলাদেশের (Bangladesh) রোহিঙ্গা শিবিরে (Rohinga camp)। এর ফলে রোহিঙ্গা শিবিরে খাদ্যের মান বহুলাংশে নেমে যাবে বলে দাবি বাংলাদেশের আধিকারিকদের।