Thursday, August 21, 2025

ডবল ইঞ্জিন রাজ্যে ৭৮ শতাংশ ভুয়ো রেশন কার্ড! বাংলায় নির্ভেজাল কার্ড ৯৬ শতাংশ

Date:

Share post:

বিজেপির মিথ্যের ফুলঝুরি ফের প্রকট হয়ে গেল। ফের ধরা পড়ে গেল ভাঁওতাবাজি। এতদিন ভুয়ো রেশনকার্ড (ration card) ইস্য়ুতে শুধু পশ্চিমবঙ্গকে দুষছিল কেন্দ্র। কিন্তু মোদি সরকারের রিপোর্টেই দেখা যাচ্ছে ভুয়ো রেশন কার্ডে ভর্তি বিজেপিশাসিত রাজ্যগুলিই। বাংলাই সবথেকে ভালো অবস্থানে রয়েছে বড় রাজ্যগুলির মধ্যে। বিজেপি-রাজ্যগুলিতে যেখানে ভুয়ো রেশন কার্ড (fake ration card) ৭৮ শতাংশ, সেখানে বাংলার মাত্র ৪ শতাংশ। ৯৬ শতাংশই আসল রেশন কার্ড। আর বিজেপি কি না বাংলার ঘাড়ে বন্দুক রেখে নিজেদের অকর্মণ্যতা ঢাকতে ব্যস্ত।

শুধু কি তাই, বিজেপি রাজ্যগুলি ই-কেওয়াইসিতেও (KYC) ফেল। একমাত্র রাজ্য হিসেবে পশ্চিমবঙ্গই ভুয়ো রেশন কার্ড ধরতে ১০০ শতাংশ ই-কেওয়াইসি করেছে। আর কোনও রাজ্য বাংলার ধারে-কাছে নেই। আর এই সব ছবি উঠে এসেছে মোদি সরকারের রিপোর্টে। রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসতেই দেখা গিয়েছে ডাবল ইঞ্জিন রাজ্যগুলিতে ভুয়ো (fake) রেশন কার্ডের (ration card) ‘পাহাড়’! বিজেপি শাসিত অরুণাচল প্রদেশ, হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশ, রাজস্থান, অসম, উত্তরাখণ্ড, গোয়া, ত্রিপুরা থেকে শুরু করে এনডিএ-শাসিত সিকিম, মহারাষ্ট্র, বিহার— কোথাও ৭৮ শতাংশ ‘ডুপ্লিকেট’ (duplicate) রেশন কার্ড, তো কোথাও ৫৮ শতাংশ। আর বিজেপি শুধু বাংলাকে দুষে চলেছে।

রিপোর্ট দেখার পর ডাবল ইঞ্জিন রাজ্যগুলির প্রতিনিধিদের দিল্লিতে ডেকে অবিলম্বে ভুল শোধরানোর পরামর্শ দেয় কেন্দ্র। কিন্তু আদতে কাজের কাজ কিছু হয়নি। ভুয়ো রেশন কার্ড ধরতে ‘ই-কেওয়াইসি’ ব্যবস্থাও সে অর্থে চালু করেনি বিজেপিশাসিত রাজ্যগুলি। বিজেপির পোস্টার বয় যোগী আদিত্যনাথের উত্তরপ্রদেশ মাত্র ২৮ শতাংশ ই-কেওয়াইসি (KYC) করেছে। আর ত্রিপুরা ২ শতাংশ, অসম, মহারাষ্ট্র ১ শতাংশ করে। হরিয়ানা, মধ্যপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, মণিপুর, গোয়া তাও করেনি। আর মোদিরাজ্য? মোদিরাজ্য গুজরাতে ১৭ হাজার ৮৬১টি ভুয়ো কার্ড থাকা সত্ত্বেও সার্ভে হয়েছে মাত্র ১৫.৫৬ শতাংশ। অসম, বিহার, হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশের অবস্থা তথৈবচ। অরুণাচলে ৭৮.২৮ শতাংশ ডুপ্লিকেট কার্ড। সিকিম ৬৮.৪, মহারাষ্ট্রে ৫৮.১৬, হরিয়ানায় ৫৩.১৮, গোয়ায় ৪৪.৩৮, রাজস্থানে ৪১.৫৩, উত্তরাখণ্ডে ৩৮.৫৬, অসমে ৩৫.৮৭, ওড়িশায় ৩৯.৪৬, ত্রিপুরায় ২৩.৮৮ ও বিহারে ২১.৭০ শতাংশ ভুয়ো রেশন কার্ড ধরা পড়েছে।

একমাত্র বাংলায় মমতা বন্দ্যেপাধ্যায়ের উদ্যোগে আধার সংযুক্তিকরণ (link) সম্পূর্ণ। সার্ভেতে ৯৬ শতাংশ কার্ডই আসল বলে প্রমাণ হয়েছে। খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ জানিয়েছেন, শুধুমাত্র রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতে রাজ্যের একাধিক প্রকল্পের টাকা আটকে রেখেছে কেন্দ্র। অথচ তাঁদের নিজেদের রাজ্যেই পাহাড় প্রমাণ দুর্নীতি। কোনও ব্যবস্থাই নেয়নি কেন্দ্র।

spot_img

Related articles

পুজোয় আসছে ৪ বাংলা ছবি, সিনেমা স্ক্রিনিং কমিটির বৈঠকে সিদ্ধান্ত: জানালেন পিয়া

সিনে প্রেমীদের জন্য সুখবর। এই বছর পুজোয় চারটি বাংলা ছবি (Bengali Film) মুক্তি পেতে চলেছে। প্রথম বৈঠকের পরে...

স্বাস্থ্য-জীবনবিমা থেকে GST প্রত্যাহারের প্রস্তাব, মন্ত্রিগোষ্ঠীর কাছে পাঠাল কেন্দ্র 

অবশেষে স্বাস্থ্য ও জীবন বিমায় প্রিমিয়ামের উপর ১৮ শতাংশ জিএসটি পুরোপুরি প্রত্যাহারের প্রস্তাব পাঠাল কেন্দ্র। জিএসটি সংক্রান্ত মন্ত্রীগোষ্ঠীর...

পর্দায় এবার রাজশেখর বসুর জীবন, আসছে ‘পরশুরাম, দ্য আনটোল্ড স্টোরি’

পরিচালক অভিজিৎ পাল ও তাঁর বন্ধুদের প্রযোজনায় আসছে রাজশেখর বসুর (Rajshekhar Basu) জীবন নিয়ে প্রথম তথ্যচিত্র ‘পরশুরাম, দ্য...

নেপালের সঙ্গেও দ্বন্দ্বে মোদি! চিন-বাণিজ্য ইস্যুতে ‘নতুন’ সীমান্ত সমস্যা

চীনের সঙ্গে নতুন করে বাণিজ্য শুরু করতে গিয়ে একের পর এক ধাক্কা ভারতের উপর। একদিকে ভারত চিনের বাণিজ্যিক...