Sunday, August 24, 2025

হুমকি দিয়েই চাপে পড়ে দায় ঝাড়ার চেষ্টা বাংলাদেশের। আর জি কর-কাণ্ডের মতো যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনাকেও ইস্যু করার চেষ্টায় ‘বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন’ নামে একটি দল রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুকে হুমকি দেয়। তাদের ছাপানো প্যাডে দেওয়া সেই প্রেস বিজ্ঞপ্তি ভাইরাল হয় (ভাইরাল ছবির সত্যতা যাচাই করেনি ‘বিশ্ববাংলা সংবাদ’)। আর তারপরেই বেকায়দায় পড়ে ওই চিঠিকেই ভুয়ো বলে দাবি করল বাংলাদেশ তত্ত্বাবধায়ক ইউনুস সরকার।

গত শনিবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের (Jadavpur University) ওপেন এয়ার থিয়েটারে ছিল ওয়েবকুপার বার্ষিক সাধারণ সভা। এই কর্মসূচিতে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর (Bratya Basu) বক্তব্য রাখতে শুরু করলেই অভব্য আচরণ করে বাম-অতিবাম সংগঠনগুলি। চেয়ার ভাঙচুর করা হয়। আক্রমণ করা হয় অধ্যাপকদের। বহু অধ্যাপক আক্রান্ত হন। শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে থাকা দু’টি পাইলট কারের কাচও ভেঙে দেন বিক্ষোভরত পড়ুয়ারা। ভেঙে দেওয়া হয় শিক্ষামন্ত্রীর গাড়ির কাচও। তিনি বারবার আলোচনায় বসতে চান। কিন্তু সেই কথায় কর্ণপাত না করে শিক্ষামন্ত্রীর গাড়ির বনেটে উঠে তাণ্ডব চালায় বিক্ষোভকারীরা। সেই সময় আহত হন দুজন ছাত্র। তার মধ্যে যাঁর বেশি লাগে সেই ইন্দ্রানুজ রায়ের বাবা-মায়ের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন স্বয়ং শিক্ষামন্ত্রী(education minister)। এই ঘটনাকে ইস্যু করে বাংলাদেশের ছাত্র ইউনিয়ন। শিক্ষামন্ত্রীকে হুমকি দেয়, অকথ্য ভাষায় আক্রমণ করে এবং পুরো বিষয়টি প্রেস বিজ্ঞপ্তি আকারে নিজেদের সংগঠনের নাম লেখা প্যাডে ছাপিয়ে প্রচার করে।

এর আগে বাংলাদেশে ছাত্র আন্দোলনের সময় যাদবপুরের ছাত্র-ছাত্রীরা তাঁদের সহমর্মিতা প্রকাশ করেছিলেন। কিন্তু লাগাতার বাংলাদেশ সংখ্যালঘুদের উপর আক্রমণের সময় যাদবপুরের সেই পড়ুয়াদের কোনও প্রতিবাদ চোখে পড়েনি। আর জি কর ইস্যু নিয়েও যখন রাজ্যজুড়ে বিক্ষোভ চলছে সেখানেও হাওয়া দিয়েছিল বাংলাদেশ। এবার যাদবপুরকেও ইস্যু করতে চাইছে তারা। অথচ এই দুটোর প্রেক্ষিত একেবারেই আলাদা। ফলে নিজেদের অবস্থান নিয়ে চাপে পড়ে যায় বাংলাদেশ। শুধু তাই নয়, বিভিন্ন মহলে এভাবে পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষামন্ত্রীকে বাংলাদেশের ছাত্র ইউনিয়নের হুমকির বিষয়টি নিন্দিত হয়।

এবার মুখ বাঁচাতে পুরো চিঠিকেই ভুয়ো বলে দাবি করল বাংলাদেশ সরকার। বিজ্ঞপ্তি দিয়ে তারা জানাচ্ছে বাংলাদেশ সরকার বা তাদের কোনও ছাত্র সংগঠন পররাষ্ট্রনীতি নিয়ে চিন্তিত নয়। সুতরাং এই বিষয় নিয়ে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের নামে যে চিঠি প্রকাশ করা হয়েছে সেটি ভুয়ো। কিন্তু প্রশ্ন হল কে বা কারায় এই পোস্ট দিল, তা কিন্তু বলতে পারছে না বাংলাদেশ। আর পশ্চিমবঙ্গে বেছে বেছে মেডিক্যাল কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনা হলেই সে দেশের ছাত্র সংগঠনগুলিবা এত আগ্রহ দেখাচ্ছে কেন! চিঠির ভাষা থেকে স্পষ্ট বাংলার শাসকদল তৃণমূলকে নিশানা করা হয়েছে। কে বা কারা এই চিঠি প্রকাশ করল সে বিষয়ে মুখে কুলুপ বাংলাদেশ সরকারের।

 

Related articles

ষোলতেই ১৩০ কেজি! ছেলের খাবার জোগাতেই নাজেহাল বাবা-মা

মুর্শিদাবাদ জেলার সাগরদিঘি থানার কাবিলপুর পঞ্চায়েতের মথুরাপুর গ্রাম। এখানেই থাকেন দিনমজুর মুনশাদ আলি। তাঁর ছোট ছেলে জিশান আলি...

কবে থেকে শুরু জয়েন্টের কাউন্সেলিং? দিনক্ষণ জানিয়ে দিল বোর্ড

ফলপ্রকাশের পর এবার ১৫ দিনের মধ্যেই কাউন্সেলিং প্রক্রিয়া তথা ভর্তি প্রক্রিয়া শেষ করবে জয়েন্ট এন্ট্রান্স বোর্ড। এবার কাউন্সেলিং...

ফলতা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ইলিশ উৎসব, পড়ুয়াদের জন্য পাতে ভাপা–ভাজা ইলিশ

বাজারে ইলিশের যা আগুন ছোঁয়া দাম তাতে উচ্চবিত্তদেরই পাতে ইলিশ জোটাতে হিমশিম খাওয়ার জোগাড়। কিন্তু সেই  দুর্মূল্যের বাজারেই...

আমেরিকায় চিঠি–পার্সেল পাঠানোয় বিধিনিষেধ, সিদ্ধান্ত কেন্দ্রীয় ডাক বিভাগের 

ভারত–মার্কিন শুল্কযুদ্ধের জেরে এবার বড়সড় প্রভাব পড়ল ডাক পরিষেবায়। আমেরিকায় চিঠি ও পার্সেল পাঠানোর প্রক্রিয়ায় বিধিনিষেধ জারি করল...
Exit mobile version