Friday, November 7, 2025

হুমকি দিয়েই চাপে পড়ে দায় ঝাড়ার চেষ্টা বাংলাদেশের। আর জি কর-কাণ্ডের মতো যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনাকেও ইস্যু করার চেষ্টায় ‘বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন’ নামে একটি দল রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুকে হুমকি দেয়। তাদের ছাপানো প্যাডে দেওয়া সেই প্রেস বিজ্ঞপ্তি ভাইরাল হয় (ভাইরাল ছবির সত্যতা যাচাই করেনি ‘বিশ্ববাংলা সংবাদ’)। আর তারপরেই বেকায়দায় পড়ে ওই চিঠিকেই ভুয়ো বলে দাবি করল বাংলাদেশ তত্ত্বাবধায়ক ইউনুস সরকার।

গত শনিবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের (Jadavpur University) ওপেন এয়ার থিয়েটারে ছিল ওয়েবকুপার বার্ষিক সাধারণ সভা। এই কর্মসূচিতে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর (Bratya Basu) বক্তব্য রাখতে শুরু করলেই অভব্য আচরণ করে বাম-অতিবাম সংগঠনগুলি। চেয়ার ভাঙচুর করা হয়। আক্রমণ করা হয় অধ্যাপকদের। বহু অধ্যাপক আক্রান্ত হন। শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে থাকা দু’টি পাইলট কারের কাচও ভেঙে দেন বিক্ষোভরত পড়ুয়ারা। ভেঙে দেওয়া হয় শিক্ষামন্ত্রীর গাড়ির কাচও। তিনি বারবার আলোচনায় বসতে চান। কিন্তু সেই কথায় কর্ণপাত না করে শিক্ষামন্ত্রীর গাড়ির বনেটে উঠে তাণ্ডব চালায় বিক্ষোভকারীরা। সেই সময় আহত হন দুজন ছাত্র। তার মধ্যে যাঁর বেশি লাগে সেই ইন্দ্রানুজ রায়ের বাবা-মায়ের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন স্বয়ং শিক্ষামন্ত্রী(education minister)। এই ঘটনাকে ইস্যু করে বাংলাদেশের ছাত্র ইউনিয়ন। শিক্ষামন্ত্রীকে হুমকি দেয়, অকথ্য ভাষায় আক্রমণ করে এবং পুরো বিষয়টি প্রেস বিজ্ঞপ্তি আকারে নিজেদের সংগঠনের নাম লেখা প্যাডে ছাপিয়ে প্রচার করে।

এর আগে বাংলাদেশে ছাত্র আন্দোলনের সময় যাদবপুরের ছাত্র-ছাত্রীরা তাঁদের সহমর্মিতা প্রকাশ করেছিলেন। কিন্তু লাগাতার বাংলাদেশ সংখ্যালঘুদের উপর আক্রমণের সময় যাদবপুরের সেই পড়ুয়াদের কোনও প্রতিবাদ চোখে পড়েনি। আর জি কর ইস্যু নিয়েও যখন রাজ্যজুড়ে বিক্ষোভ চলছে সেখানেও হাওয়া দিয়েছিল বাংলাদেশ। এবার যাদবপুরকেও ইস্যু করতে চাইছে তারা। অথচ এই দুটোর প্রেক্ষিত একেবারেই আলাদা। ফলে নিজেদের অবস্থান নিয়ে চাপে পড়ে যায় বাংলাদেশ। শুধু তাই নয়, বিভিন্ন মহলে এভাবে পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষামন্ত্রীকে বাংলাদেশের ছাত্র ইউনিয়নের হুমকির বিষয়টি নিন্দিত হয়।

এবার মুখ বাঁচাতে পুরো চিঠিকেই ভুয়ো বলে দাবি করল বাংলাদেশ সরকার। বিজ্ঞপ্তি দিয়ে তারা জানাচ্ছে বাংলাদেশ সরকার বা তাদের কোনও ছাত্র সংগঠন পররাষ্ট্রনীতি নিয়ে চিন্তিত নয়। সুতরাং এই বিষয় নিয়ে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের নামে যে চিঠি প্রকাশ করা হয়েছে সেটি ভুয়ো। কিন্তু প্রশ্ন হল কে বা কারায় এই পোস্ট দিল, তা কিন্তু বলতে পারছে না বাংলাদেশ। আর পশ্চিমবঙ্গে বেছে বেছে মেডিক্যাল কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনা হলেই সে দেশের ছাত্র সংগঠনগুলিবা এত আগ্রহ দেখাচ্ছে কেন! চিঠির ভাষা থেকে স্পষ্ট বাংলার শাসকদল তৃণমূলকে নিশানা করা হয়েছে। কে বা কারা এই চিঠি প্রকাশ করল সে বিষয়ে মুখে কুলুপ বাংলাদেশ সরকারের।

 

Related articles

চিংড়িঘাটা মোড়ে যানজট কমাতে নতুন সেতু নির্মাণের উদ্যোগ কেএমডিএ-র

ইএম বাইপাসের চিংড়িঘাটা মোড়ে দীর্ঘদিনের যানজট সমস্যার সমাধানে বড় পদক্ষেপ নিতে চলেছে কেএমডিএ। শান্তিনগর খালের উপর বর্তমান সরু...

নামের বানানভুল থেকে ডিটেনশন আতঙ্ক! এসআইআর আতঙ্কে মানসিক চাপে সাঁইথিয়ায় মৃত্যু বৃদ্ধের

ইলামবাজারের ঘটনার পর ফের এসআইআর আতঙ্কে মৃত্যু বীরভূমে। হৃদরোগে প্রয়াত হলেন সাঁইথিয়া পুরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা বিমান...

বিহারে প্রথম দফায় অতিরিক্ত ভোটদানে নতুন সমীকরণ! চিন্তায় শাসক শিবির

বিহার বিধানসভা নির্বাচনের প্রথম দফায় ভোটদানের হার নিয়ে রাজনৈতিক চর্চা তুঙ্গে। বৃহস্পতিবার ১২১টি আসনে ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে। নির্বাচনী...

JNU-তে ফের বাম জোটের জয়জয়কার, খাতা খুলতে পারল না ABVP

ফের দিল্লির জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ভোটে (JNU Students' Union Elections) খাতা খুলতে পারল না এবিভিপি। JNU ছাত্র...
Exit mobile version