Thursday, November 6, 2025

খাদ্য-পানীয়ের গুণমান নির্ধারণে আরও কঠোর পদক্ষেপ নিচ্ছে রাজ্য, চলবে সচেতনতা প্রচারও 

Date:

Share post:

খাদ্য ও পানীয়ের গুণগত মান নিশ্চিত করতে আরও কঠোর পদক্ষেপ নিতে চলেছে রাজ্য সরকার। একই সঙ্গে, সঠিক খাদ্যাভ্যাস গড়ে তোলার লক্ষ্যে ব্যাপক সচেতনতা প্রচার চালানো হবে। এই উদ্যোগের অংশ হিসেবে নবান্নের তরফে প্রতিটি জেলায় খাদ্য পরীক্ষাগার স্থাপন, ভ্রাম্যমান পরীক্ষাগারগুলির কার্যকারিতা আরও বাড়ানো-সহ একাধিক পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।

শুক্রবার নবান্নে মুখ্যসচিব মনোজ পন্থের নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত ‘স্টেট লেভেল অ্যাডভাইজারি কমিটি অন ফুড সেফটি’ নিয়ে বৈঠক হয়। এই বৈঠকে রাজ্যের বিভিন্ন দফতর এবং কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলির প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে স্পষ্ট ভাষায় জানানো হয়, খাদ্যের গুণমান নির্ধারণে কোনও আপোষ করা হবে না। এই মুহূর্তে খাদ্যের গুণগত মানের নিরিখে পশ্চিমবঙ্গ বর্তমানে দেশের মধ্যে পঞ্চম স্থানে রয়েছে। তবে, রাজ্য সরকার এই ক্ষেত্রে শীর্ষস্থানে উঠে আসতে চায় এবং তা নিশ্চিত করতে কী কী পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি, সেই পরিকল্পনাই চূড়ান্ত করা হয়েছে এদিনের বৈঠকে।

নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, খাদ্য ও পানীয়ের গুণমান রক্ষার জন্য দুটি মূল দিককে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে— প্রথমত, কঠোর নজরদারি, যাতে খাদ্যে ভেজাল বা নিম্নমানের উপাদান ব্যবহার পুরোপুরি রোধ করা যায়। দ্বিতীয়ত, সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়ানো, যাতে পরিবর্তিত খাদ্যাভ্যাস গড়ে তোলা যায়, যাতে নাগরিকদের স্বাস্থ্যগত কোনও সমস্যার কারণ না হয়৷ মূলত এটাই ছিল এই বৈঠকের প্রধান লক্ষ্য। জানা গিয়েছে, এই নজরদারি নিশ্চিত করতে প্রশাসনিক পরিকাঠামোকে পুরোপুরি কাজে লাগানো হবে। খাবার ও পানীয় পরীক্ষার ব্যবস্থা আরও দ্রুত ও কার্যকর করতে বর্তমানে রাজ্যের হাতে থাকা প্রায় ৩০টি ‘ল্যাবরেটরি অন হুইল’ বা ভ্রাম্যমাণ পরীক্ষাগারগুলিকে আরও সক্রিয়ভাবে ব্যবহার করা হবে। এগুলি রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে গিয়ে খাবারের নমুনা সংগ্রহ করে তাৎক্ষণিক পরীক্ষার মাধ্যমে খাদ্যের মান যাচাই করবে।শুধু খাদ্য দফতরই নয়, এই উদ্যোগে স্বাস্থ্য দফতর, প্রাণী সম্পদ বিকাশ দফতর এবং জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের নিজস্ব পরীক্ষাগারগুলিও ব্যবহার করা হবে। প্রতিটি জেলায় খাবার ও পানীয়ের গুণগত মান যাচাইয়ের জন্য নির্দিষ্ট কেন্দ্র গড়ে তোলা হবে। খাদ্যে ভেজাল রোধের পাশাপাশি, খাদ্যাভ্যাসজনিত সমস্যা প্রতিরোধে প্রচার কার্যক্রম চালানো হবে।বর্তমান সময়ে অনলাইন খাবার সরবরাহ এবং ক্লাউড কিচেনের জনপ্রিয়তা বেড়েছে। তবে, এই পরিষেবার গুণমান নিয়ন্ত্রণ করা একটি বড় চ্যালেঞ্জ। বিশেষ করে বেসরকারি বিভিন্ন অ্যাপের মাধ্যমে যে খাবারগুলি পারিবারিক পৌঁছে দেওয়া হয়, সেগুলির মান কতটা স্বাস্থ্যসম্মত তা যাচাই করতে চাইছে রাজ্য সরকার তাই, রাজ্য সরকার নিশ্চিত করতে চায় যে অনলাইন খাবার সরবরাহকারী সংস্থাগুলি খাদ্যের গুণমান এবং পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখছে কি না।

আরও পড়ুন- নারী সুরক্ষায় নয়া ভাবনা রেলের! এবার মহিলা আরপিএফ কর্মীদের হাতে থাকবে ‘রক্ষাকবচ’ লঙ্কার গুঁড়ো

_

 

_

 

_

 

_

 

_

 

_

 

_

 

_

spot_img

Related articles

রাত পোহালে প্রথম দফার নির্বাচন বিহারে: হিংসা ঠেকানোই চ্যালেঞ্জ

নির্বাচনের এক সপ্তাহ আগে পরপর খুন। রাজনৈতিক নেতা থেকে সমর্থক। বিহার বিধানসভা নির্বাচনে তাই শান্তি বজায় রাখাই চ্যালেঞ্জ...

বাংলা কথায় দক্ষতা, কোন পদে পান তৃপ্তি? দীপ্তিকে নিয়ে স্মৃতির ঝাঁপি খুললেন ‘অভিভাবক’ মিঠু

সন্দীপ সুর বাংলার প্রথম ক্রিকেটার হিসাবে আইসিসি একদিনের বিশ্বকাপ জিতেছেন রিচা ঘোষ কিন্তু ভারতীয় দলের আরও এক ক্রিকেটারের সঙ্গে...

দিঘার জগন্নাথ ধামে প্রথম রাস উৎসবে ভক্তদের ঢল 

দিঘার জগন্নাথ ধামে এবারই প্রথম পালিত হল রাস উৎসব, আর সেই উপলক্ষে সকাল থেকেই উপচে পড়েছে ভক্তসমুদ্র। উৎসবের...

বেঁচে আছেন, তাই জানতে পারলেন ‘দোষী নন’: আজব বিচার উত্তরপ্রদেশে

বিচারের বাণী নীরবে নিভৃতে কাঁদে। উত্তরপ্রদেশের আলিগড়ের (Aligarh) মিঠু সিংয়ের জীবনে যেন সেটাই সত্যি হতে বসেছিল। অবশেষে ৫৫...